নারায়ণগঞ্জে ৪ মামলায় আসামি যারা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের তিনটি থানায় পৃৃথক ৪টি নাশকতার মামলায় বিএনপি জামাতের ২২১জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসব মামলায় ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ৪টি মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা সরকার উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল।

থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ বাদী হয়ে ৩৯ জনকে আসামী করে নাশকতার মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির, হাজী নূরউদ্দীন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মনিরুল ইসলাম সজল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, মহানগর শ্রমিকদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক গোলাম কাদের, শহর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমএইচ মামুন সহ ৩৯জনকে আসামী করা হয়।

শনিবার শীতলক্ষ্যা ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪জনকে আসামী করা হয়। এ মামলায় অভিযোগ করা হয় আসামীরা সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। আসামীদের কাছ থেকে ২টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ৫টি ইটের টুকরো উদ্ধার দেখানো হয়।
এদিকে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলায় বিএনপি জামাতের ১৩১ জনকে আসামী করা হয়েছে। এ দুটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৬৩ জনকে।

শনিবার সকালে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের এসআই কামরুল হাসান ও এসআই আব্দুল শাফিউল আলম বাদী হয়ে পৃথক দুটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা নয়ামাটি পাগলা হাইস্কুল, প্রাইমেরী স্কুলের পাশের গলি ও মাসদাইরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসা থেকে আসামীদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ মামলায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনিত মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান রোজেল, মহানগর যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রশিদুর রহমান রশু সহ ১৩১ জনকে দুটি মামলায় আসামী করা হয়। এছাড়াও মোল্লা সল্ট ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের মালিক খবির উদ্দীন মোল্লা, সুপার স্টার বাল্প লিমিটেডের মালিক ইব্রাহীম, ডা. আলী আশরাফ, সৈয়দ নূরউদ্দীন আহমেদ খুশি, ডা.মানিক ও খুলিলুর রহমানকে নাশকতার পরিকল্পনায় পৃষ্টপোষকত ও অর্থযোগানদাতা হিসেবে আসামী করা হয়। দুটি মামলায় মুল অভিযোগ আসামীরা সরকার উৎখাতে ষড়যন্ত্র করে নাশকতার পরিকল্পনা করেছে। মামলায় ১৮টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও ৩০টি জিহাদী বই উদ্ধার দেখানো হয়।

অন্যদিকে বন্দর থানা পুলিশের এসআই হানিফ বাদী হয়ে আরেকটি নাশকতার মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৫১জনকে আসামী করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে ৩২ জনকে। বন্দরের গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে আটক করা হয় তাদের। গ্রেপ্তারকৃত ৩২জনকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

‘আমি মুরগীওয়ালা সেলিম ওসমান’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, আমি যদি আবারো আপনাদের গোলামীর সুযোগ পাই তাহলে এ এলাকার কেউ হতদরিদ্র থাকবেনা। বন্দরের কোন স্কুল চার তলার নিচে থাকবে না। এটা আমার ওয়াদা। আমি যা বলি তাই করি। মনে রাখবেন সেলিম ওসমান বন্দরবাসীর উন্নয়ণ চায়। উন্নয়ণমুলক যেকোন কাজে আমি অংশীদার হতে পারলে নিজেকে ধণ্য মনে হয়। সেলিম ওসমান দলের নেতাদের কথা শুনেনা। সেলিম ওসমান সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে।

১৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদ এলাকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমি ওসমান পরিবারের কেউনা। আমি মাছওয়ালা সেলিম ওসমান আমি মুরগীওয়ালা সেলিম ওসমান। আমি অসহায় মানুষের জন্য সেলিম ওসমান। যেখানে অসহায় দুঃখী মানুষ সেখানেই সেলিম ওসমান। আমার একটাই স্বপ্ন সেটা আমার ভবিষৎ প্রজন্মের উন্নয়ন। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমরা যুদ্ধ করেছি বঙ্গবন্ধুর ডাকে। আজ বিএনপির হান্নান সরকার আমাকে উন্নয়ণমুলক কাজে সহায়তা করছে। আপনাদের সমস্যাগুলো হান্নানের কাছে বলবেন। হান্নানের ডাকে প্রয়োজনে প্রতিমাসে আপনার কথা শোনার জন্য আপনাদের গোলাম চলে আসবে।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি প্রফেসর ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, মহানগর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, মহানগর জাতীয়পার্টি আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, বন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, বন্দর মহিলা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী সালিমা রহমান শান্তা, সোনিয়া আহমেদ, যুবলীগ নেতা আলী হোসেন, ছামসুল হাসান, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন ও নাজমুল প্রমূখ।

বিএনপির জানাযা বাকি, বলেছিলেন এই কাজী মনির

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

‘বিএনপি মরে গেছে, এখন জানাযা বাকি’ এমন মন্তব্য করে নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী কাজী মনিরুজ্জামান মনির। অথচ সেই কাজী মনিরের হাতেই ওঠলো দলের প্রতীক। কাজী মনিরের এমন মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে তার পদত্যাগ করেছিলেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

ঘটনা সূত্রে জানাগেছে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের কয়েক মাস পর নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় জেলা ও শহর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় নেতাদের নারায়ণগঞ্জে সমাবেশে যোগদান উপলক্ষ্যে ওই প্রস্তুতি সভাটি করা হয়।
ওই সভার শুরুর পূর্বে বিএনপি নেতারা প্রথমে তৈমূর আলম খন্দকারের বাড়ির সামনে বাগানে জড়ো হন। ওই সময় স্থানীয় সাংবাদিক ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সামনে কাজী মনির বলেছিলেন, বিএনপি তো মরে গেছে, এখন জানাযা বাকি।’ এমন মন্তব্য পরদিন নারায়ণগঞ্জের একটি জনপ্রিয় অনলাইনে প্রকাশিত হয়। যার পরদিন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়ার নেতাকর্মীরা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে কাজী মনিরের পদত্যাগ দাবি করেন। যদিও কাজী মনিরের ওই মন্তব্যের বিষয়ে শহর বিএনপির তৎকালীন সেক্রেটারি এটিএম কামাল বলেছিলেন, ‘প্রস্তুতি সভায় কাজী মনির এমন কোন মন্তব্য করেননি।’ তবে কাজী মনির প্রস্তুতি সভার পূর্বে এমন মন্তব্য করেন।

২০১১ সালে বিএনপির ডাকা হরতালে রূপগঞ্জে কাজী মনিরের ফ্যাক্টরীতে হামলা চালায় স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। কাজী মনির আপাততমস্তক একজন ব্যবসায়ী। তার কাছে রাজনীতি কিছু না। তাই তিনি তার দলের ডাকা হরতালে তার ফ্যাক্টরী খোলা রাখতেন। যে কারন যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছিলেন, তাদের দলের ডাকা হরতালে বিএনপি নেতা হয়ে তিনি তার ফ্যাক্টরী কেন খোলা রাখলো? এমনও অভিযোগ করেন, কাজী মনিরের ফ্যাক্টরীতে হরতালে শ্রমিকেরা উপস্থিত না হলে বেতনের দিগুন কেটে নিতেন। তবে ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির নেতারা নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনও করেছিলেন। অথচ সেই কাজী মনির এখন বিএনপির প্রার্থী!

৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর সারাদেশে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করে ব্যবসায়ীদের বৃহত সংগঠন বিজেএমইএ। সেই সভায় বেগম খালেদা জিয়াকে আগুন সন্ত্রাসী হিসেবে সহ নানা ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত করে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ীরা। সেই সভায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গিয়ে উপস্থিত ছিলেন কাজী মনির। এ খবরও স্থানীয় মিডিয়াতে প্রকাশিত হয়।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সম্মেলনে জেলা বিএনপির সেক্রেটারি নির্বাচিত হন কাজী মনির। কমিটিতে সভাপতি হন তৈমূর আলম। সেক্রেটারি হয়েও বিএনপির আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা দলের মানবনন্ধনেও উপস্থিত ছিলেন না কাজী মনির। জেলা বিএনপির রাজনীতি একাই সামাল দিয়েছিলেন তৈমূর। কিন্তু গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কাজী মনিরকে জেলা বিএনপির সভাপতি করা হয়। বেশকটি মামলায় কাজী মনির আসামী হলেও তাকে রহস্যজনক কারনে জেল খাটতে হয়নি।

এ আসনে বিএনপির হেভিওয়েট মনোনয়ন প্রত্যাশি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে আসলেও তলে তলে কাজটি করেছেন কাজী মনির। দুজনকে পিছনে ফেলে মনোনয়নের কাগজটা ভাগিয়ে এনেছেন কাজী মনির। কিন্তু রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষের সঙ্গে কাজী মনিরের সম্পর্ক নেই। কারন তিনি সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূ দিয়ে মুছেন। অনেক সময় তিনি রাস্তায় বের হলে হাতে টিস্যূ বা রুমাল হাতে রাখেন। তবে কাজী মনিরের অনুগামীরা দাবি করেন তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় তাকে সচ্ছভাবে চলাফেলা করতে হয়। এমনকি তাকে দেশের বাহিরের বোতলজাতকৃত পানি পান করতে হয়। যে এ বোতল পানির মূল্য ১৬শ টাকা। এমন নেতাকে নিয়ে এখন খেটে খাওয়া মানুষের কোন আগ্রহ নেই।

লাঙ্গলে ভোট চাইলেন বিএনপি নেতা!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির এমপি ও মহাহোটের প্রার্থী একেএস সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার। তিনি বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের ঘটনায় বেশকটি নাশকতার মামলায় আসামী। তবে তিনি এর আগেও সেলিম ওসমানের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় ছিলেন। এর আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করতে যত টাকা লাগে তিনি খরচ করবেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, এছাড়াও এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদের সভাপতিত্বেও সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ আসনে সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ সহ বিএনপির বেশকজন কাউন্সিলর। তারা নিয়মিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় গিয়ে সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দিচ্ছেন। এ আসনে বিএনপি থেকে কাউকে মনোনিত করা হয়নি। এখানে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত করা হয়েছে।

১৫ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ডের বন্দর শাহী মসজিদ এলাকায় সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও কাউন্সিলর হান্নান সরকার। ওই সময় হান্নান সরকার লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর বিএনপি নেতা হান্নান সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ড. শিরিন বেগম, নারায়ণগঞ্জ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট এসএম ওয়াজেদ আলী খোকন, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু প্রমুখ।

ধানের শীষের ঝান্ডা হাতে মান্নানের শোডাউন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সন্ত্রাসী হামলার পরেও নির্বাচনী আওয়াজ থেকে থমকে নেই নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। ১৫ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থক, স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ ভোটারদের নিয়ে শোডাউন করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

জানাগেছে, শনিবার সকাল থেকে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড থেকে ১নং ওয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে শোডাউন করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। এসময় স্থানীয় লোকজন ও সাধারণ ভোটাররাও এসে শোডাউনে যোগদান করেন। সোনারগাঁয়ে এই প্রথম শুধুমাত্র ধানের শীষ প্রতীকে বিশাল এই শোডাউন দেখালো।

অন্যদিকে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এদের ছাড়াও সব মিলিয়ে ৮ জন প্রার্থী এ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে বর্তমান এমপি তেমন কোন চমক এখনও দেখাতেই পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলমের সামনেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ওই ঘটনায় যদিও তাৎক্ষনিক হামলাকারী পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়দানকারী রনি বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে রনি বিল্লাহকে তিন মাসের কারাদন্ড দেন আদালত। এ রনি বিল্লাহ স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে কাজ করে আসছিলেন। মুলত সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের বলয়ে রাজনীতি করে আসছিলেন। তবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর ন্যাক্কাজনক হামলায় সাধারণ মানুষের কাছে মান্নানের প্রতি সমর্থন আরও বেড়ে গেছে।

প্রার্থী ধানের শীষের, আওয়ামী ভোটে ভরসা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট প্রার্থনায় আগ্রহী নন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করলেও বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আচরণ করছেন অনেকটা সতীনের মত। তবে আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি নির্বাচনী বৈতরী পার হওয়ার জন্য ভরসা করছেন আওয়ামীলীগের একটি অংশের ভোটের উপর।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন ও সদরের দুটি ইউনিয়ন এলাকা ছাড়া বাকি পুরো এলাকাটিই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। এ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দায়িত্বে রয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় আইভীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। টানা দুইবার মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আইভী। একবার শামীম ওসমানকে পরাজিত করে এবং পরের বার বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি মেয়র হন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম এখন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হলেও তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখলে অনেকটা নাক ছিটকাচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর এসএম আকরাম ভরসা রাখতে পারছেন না। দুচারজন বিএনপির ওয়ানম্যান খ্যাত নেতাদের নিয়ে দুদিন এলাকায় ঘুরলেও জন¯্রােত তৈরি করতে পারেননি। যদিও সাবেক এমপি আবুল কালামকে তার সঙ্গে নামকাওয়াস্তে একবার দেখাও গিয়েছিল।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, নারায়ণগঞ্জে শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে উত্তর মেরু ও দক্ষিন মেরুর মধ্যে বিরোধ দ্বন্ধ রয়েছে। এদিকে শামীম ওসমান অন্যদিকে মেয়র আইভী। নির্বাচনী আচরণ বিধিতে বাধা নিষেধ থাকায় মেয়র আইভী নির্বাচনের প্রচারণায় থাকতে পারবেন না। এতে এসএম আকরামের জন্যও আরেকটু সুযোগ হয়ে দাড়িয়েছে। নতুবা মেয়র আইভীকে অনেকটা বাধ্য হয়েই মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষেই নামতে হতো। কারন তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।

আওয়ামীলীগের বিরোধের কারনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম ওসমান বিরোধী ভোটের উপর ভরসা করছেন। তবে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, ইতিমধ্যে মেয়র আইভী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঙ্গে গোপন আতাত রয়েছে। এমন আতাতে শামীম ওসমান বিরোধীদের অনেকেই রয়েছেন। যারা বর্তমানে শামীম ওসমানের সঙ্গে থাকলেও কয়েক মাস আগেও যারা ওসমান বিরোধী ছিলেন তারাও ওসমান পরিবারকে এবার সাইজ করতে নীল নকশা তৈরি করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন, ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আইভীকে সুযোগ করে দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এসএম আকরাম। তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থন পাননি। যে কারনে নির্বাচনের পরের দিন আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক পদে ছিলেন। যার প্রতিদান এবারের নির্বাচনে দক্ষিণ মেরুর আওয়ামীলীগ নেতারা দিতে যাচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- নির্বাচনের দুদিন আগে জেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা বন্দরের মাঠে নামবেন। বিশাল বাজেট নিয়ে তিনি লাঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে সেটাপ রয়েছে সেই সেটাপে এসএম আকরামের পক্ষে কাজ করবেন। তবে এসব বিষয় নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা বললেও আরো নানান ধরনের সন্দেহ ও তথ্য বের হয়ে আসছে। তবে দক্ষিণ মেরুর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এখনও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। যে কারনে এসব বিষয়গুলো আরো জোড়ালোভাবে দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন রয়েছে শেষ পর্যন্ত মেয়র আইভীর অনুগামী ও আইভীর ভোট ব্যাংক কার বাক্সে যাবে? এমপি সেলিম ওসমান নাকি এসএম আকরামের বাক্সে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে যেসব বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে সেইসব দলের সমর্থকদের ভোটও যাবে এসএম আকরামের বাক্সে। যে কারনে বিএনপির উপর ভরসা করছেন না এসএম আকরাম।

বন্দরে লাঙ্গলের পক্ষে খান মাসুদের মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ। ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে মিছিলটি থানার ১নং খেয়াঘাট হতে বন্দর সমরক্ষেত্রে নির্বাচনী সভায় মিলিত হয়। এসময় তার সমর্থকরা লাঙ্গল লাঙ্গল শ্লোগানের রাজপথ মুখরিত করেন।

এতে খান মাসুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজকের নীর বাংলায় সহ-সম্পাদক শরিফ হাসান চিস্তি, যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম, শেখ মমিন, লুৎফর রহমান, খোরশেদ আলম, মোঃ হোসেন, নাদিম, রতন, আজিজুল হক বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, মাকসুদ হোসেন, কামাল হোসেন, মোঃ রাজু, মোঃ মোখলেছ ও অনিক হাসান প্রমূখ।

এখানে উল্লেখ্যযে, শুক্রবার বিকেলে বন্দর সমরক্ষেত্রে থানা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় প্রচারনা যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

লাঙ্গলের পক্ষে বন্দরের আওয়ামীলীগ নেতা রশীদ চৌধূরী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্তী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুর রশিদ চৌধুরী। ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তার নেতৃত্বে বন্দরের মদনগঞ্জ টিক্কার মোড় হতে শুরু করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রার্র্থনা করেন।

এ সময় তারা দাবি করেন- একজন দানবীর, নিঃস্বার্থ পরোপকারী জনদরদী বন্ধু মনে করে সেলিম ওসমানের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। একই সাথে বন্দরে শিক্ষা ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লাঙ্গলে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান।

গণসংযোগকালে আবদুর রশীদ চৌধূরীর সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ আসাদউল্লাহ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান, আবু খালিদ খান বকুল, খন্দকার হারুন অর রশীদ, বিজয় কুমার সাহা, বাবুল আচার্য্য শংকর ভৌমিক, খন্দকার মবিন, আবদুর রহিম ডালিম, তমাল কান্তি দে, অ্যাডভোকেট বুলবুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এখন আমার অনেক শক্তি: এসএম আকরাম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি শান্তিতে বিশ্বাসী। ভয়ভীতি পরিহার করে আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনারা ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। তিনি এও বলেছেন, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা বন্দরের নবীগঞ্জ দরগাহ জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর গণসংযোগে কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ধানের শীষের এই প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা আরো বলেন, আমি উপ-নির্বাচনে একা নির্বাচন করেছিলাম। আমি জয়ী হয়েছিলাম। ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। এখন আমার অনেক শক্তি। কারন সাবেক এমপি আবুল কালাম ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, এটিএম কামালসহ বিএনপি নেতারা আমার সাথে রয়েছেন। নির্বাচনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। ধানের শীষের প্রচারনায় বাধাগ্রস্থ করছে সরকারী দল। প্রচারনায় মাইক কেড়ে নিচ্ছে তারা। বর্তমান সরকার জানে নির্বাচন সুষ্ঠ হলে তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাই তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানীসহ তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে মারধর করা হচ্ছে। তবে এ দুঃশাসনের একদিন পরিসমাপ্তি ঘটবে। জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এ সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিবে।

এ সময় তার সাথে ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আব্দুল সবুর খান সেন্টু, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল, যুবদল নেতা রতন, মহানগর জেএসডি সভাপতি আব্দুল মোতালিব মাষ্টারসহ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।

লাঙ্গলের জনসভায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কমলের যোগদান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক কমেলের নেতৃত্বে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে মিছিলটি থানার নবীগঞ্জ সরকারি কদমরসুল কলেজ হতে বন্দর সমরক্ষেত্রে নির্বাচনী সভায় মিলিত হয়। এসময় তার সমর্থকরা লাঙ্গল লাঙ্গল শ্লোগানের রাজপথ মুখরিত করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন মনু, যুবলীগ নেতা সুমন ভূইয়া, জাকির হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য জিয়াউল হক বাবু, মোঃ সোহেল মিয়া সহ অন্যান্যরা।

এখানে উল্ল্যেখযে, শুক্রবার বিকেলে বন্দর সমরক্ষেত্রে থানা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় প্রচারনা যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

সর্বশেষ সংবাদ