যেখানে কায়সার সেখানেই গণজোয়ার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার সোনারগাঁয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সোনারগাঁয়ের যেখানেই কায়সার সেখানেই গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও নেতাকর্মী সমর্থক ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি। সোনারগাঁয়ের একজন সহজ সরল সাদা মনের এমপি হিসেবে নারী ও যুবক ভোটারদের কাছেও প্রিয় এখন কায়সার হাসনাত।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার কায়সার হাসনাত সোনারগাঁয়ের কাচপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কাচপুুরে তিনি গণসংযোগে নামার পর সাধারণ মানুষ তাকে দেখার জন্য সামনে চলে আসে। এখন পর্যন্ত কায়সার হাসনাতের দখলে রয়েছে নির্বাচনী মাঠ।

অপর দুই প্রার্থী মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা জোড়ালোভাবে মাঠেই নামতে পারেননি। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানও জোড়ালোভাবে মাঠে নামতে পারেনি। তবে সোনারগাঁয়ের মানুষ বলছেন-এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে সিংহ প্রতীকের প্রার্থী কায়সার হাসনাতের হবে মুল লড়াই। এদের ছাড়াও আরও প্রার্থী থাকলেও তাদের নিয়ে ভোটারদের তেমন আগ্রহ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।

আকরাম উত্তরা ক্লাবে মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন: শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সেলিম ওসমানের আসনের বন্দরের এক জনসভায় শামীম ওসমান বিএনপি নেতাকর্মীরা এসএম আকরামকে নিয়ে মাতামাতি করছেন বলে মন্তব্য করে বলেছেন, নির্বাচনের পর আকরাম উত্তরা ক্লাবে মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। এছাড়াও তিনি হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, খোচা দিবেন না। খোটা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।

শামীম ওসমান বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি। এ মাটিতেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল। আর আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোথায় এটা সবারই জানা। অতএব আকরাম সাহেবদের একা জন্ম হয়নি এ মাটিতে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে অথচ নির্বাচনের পরের দিন আকরামকে খুজেই পাওয়া যাবেনা। তিনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে। ওখানে বসে তিনি মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই বলছি খোচা দিবেন না। খোচা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বন্দরের সমরক্ষেত্রে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে এখন তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের আসনে জনসভায় লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

এদিকে শামীম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। অন্যদিকে সেলিম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম।

এর আগে শামীম ওসমান বলেন, এ আসনে নাকি নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। গিরগিটির মত এত রং বদলান তিনি ভাবাই যায়না। আবার মার্কা লাগিয়েছেন ধানের শীষ। বিগত সময়ে এ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রেক্ষাপট এক রকম আর এখন আরেক রকম। তখন মহাজোট প্রার্থীর বিপরীতে আকরাম সাহেব স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই আওয়ামীলীগের ভোট পেয়েছিলেন। এখন আওয়ামীলীগের লোকজন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা সৈনিকরা কখনো আকরামকে ভোট দিবেনা।

পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী সেলিম ওসমানও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি চন্দন শীল প্রমূখ।

এসময় অন্যানদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জিএম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান ও বন্দর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ প্রমুখ।

এখন সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা হবে: তৈমূর আলম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হামলা, সোনারগাঁয়ে বিএনপি প্রার্থীকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসির সামনে মারধর এবং রুপগঞ্জে দলীয় নেতা-কর্মীদের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, সরকারী দলকে আর জুলুম করার সুযোগ দেয়া হবে না। এখন থেকে সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার এক বিবৃতিতে অ্যাডভোকেট তৈমূর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। আর বসে থাকার সময় নেই। সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তিনি আরও বলেন, ধানের শীষকে বিজয়ী করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করেই ঘরে ফেরার শপথ নিতে হবে সবাইকে। তিনি অবিলম্বে কারাবন্দী সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেছেন।

কাশিপুরে শামীম ওসমানের পক্ষে গণজোয়ার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায় গণজোয়ার সৃষ্টি করে দেখালেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইফুল্লাহ বাদল। কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিশাল এই শোডাউনটির উদ্বোধন করেন তিনি।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে ফতুল্লা থানাধীন কাশীপুরের খিল মার্কেট এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নৌকার প্রচারণা কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচিটির উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন এম সাইফুল্লাহ বাদল।

কাশিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের উদ্যোগে তাক লাগানো আয়োজনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমপি শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত বিশাল ফেস্টুনসহ জাতীয় পতাকার আদলে বিশাল নৌকা নিয়ে প্রচারণা চালান ছাত্রলীগের কয়েক হাজার নেতাকর্মী।

এতে ছাত্রলীগের প্রচারণা গণজোয়ারে পরিনত হয়। পাশাপাশি নৌকার শ্লোগানে প্রকম্পিত হয় কাশীপুরের রাজপথ। প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদেরও দৃষ্টি আকর্ষন করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

প্রচারণায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুণরায় নির্বাচিত করার আহ্বান জানান এম. সাইফুল্লাহ বাদল।

প্রচারণা কর্মসূচির আয়োজনে ছিলেন- কাশীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা ফাহাদ সরদার, শরীফ হোসেন, সোলাইমান ইমরান, রিয়াজ উদ্দিন কবির, দিপ্ত সিকদার, আব্দুল্লাহ আল শিহাব, আরাফউল্লাহ মহান ও রকি প্রমুখ।

প্রচারণায় উপস্থিত ছিলেন- কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাত্তার, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিসুর রহমান শ্যামল, ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহীন আলম, ছাত্রলীগ নেতা আল-আমিন, সৌরব, কাউছার, নাসিম, অলিন্দ, হৃদয়, আহাদ, লিমন, রাব্বি, তানিল ও মিন্টন প্রমূখ।

কাউন্সিলর সাদরিলকে নিয়ে নৌকার পক্ষে নামলেন অয়ন ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের ছেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিলকে নিয়ে নৌকার পক্ষে প্রচারণা শুরু করেছেন অয়ন ওসমান। নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে ৫নং ওয়ার্ড থেকে অয়ন ওসমান এই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে এমপি একেএম শামীম ওসমানের বিকল্প নাই। দল মত নির্বিশেষে সবাই আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে সবাই মিলে দিব এবার নৌকায় ভোট। সেই লক্ষেই কুশল বিনিময় করছেন তরুণ সমাজের অহংকার একেএম অয়ন ওসমান ও বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনের ছেলে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল। এসময় কাউন্সিলর সাদরিল অয়ন ওসমানকে স্বাগত জানান। প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে অয়ন ওসমান নির্বাচনী প্রচারণায় যাবেন।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার অয়ন ওসমান নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালান। সাধারণ মানুষের কাছে তিনি শেখ হাসিনার সরকারের হাজারো উন্নয়ন চিত্রের লিফলেট বিলি করেন। প্রথমে তিনি যান গিয়াসউদ্দীনের বাসায়। সেখান থেকে কাউন্সিলর সাদরিলকে সঙ্গে নিয়ে এ প্রচারণা চালান। প্রথমে অয়ন ওসমান কাউন্সিলর সাদরিলের হাতে উন্নয়নের প্রচারপত্র তুলে দেন।

ওই সময় অয়ন ওসমানের সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রাফেল প্রধান, ছাত্রলীগ নেতা শাহরিয়ার রহমান বাপ্পী সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলর সাদরিলের সঙ্গে ওই সময় স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনায় ৫নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, এ আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর চেয়ে জনপ্রিয়তায় ব্যাপক এগিয়ে রয়েছেন শামীম ওসমান যিনি প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। এছাড়াও ডিএনডি জলাবদ্ধতার মেগা প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের পথে যা শামীম ওসমানের মাধ্যম হয়েছে।

ভাঙ্গা লাঙ্গলের ভার কাধে নিলেন কালাম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে সুষ্ঠ নির্বাচন হলে এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পরাজয় অভিসম্ভাবী। এমপি খোকার এমন পরাজয়ের সম্ভাবনা বুঝেও লাঙ্গলের ভার কাধে নিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম। উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থনের ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

যদিও তাদের যুক্তি মহাজোটের প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হবে। এখানে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়ার চেয়ে জনপ্রিয়তা বেশি কালামের। যে কারনে লাঙ্গল প্রতীকটি যতটুকু সামনে যাবে সেটা কালামের হাত ধরেই। তবে এই লাঙ্গলকে কতটুকু সামনে নিয়ে যাওয়া যাবে সেটাও তারা বুঝতে পেরেছেন। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সিংহ প্রতীকের লড়াই হবে।

ইতিমধ্যে সোনারগাঁও উপজেল পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেছেন, আপনি খোকা যদি সোনারগাঁয়ের ১০ পারসেন্ট ভোট পান তাহলে আমরা ধরে নিব আপনি এমপি হয়ে গেছেন। আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান। এছাড়াও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাই বলছেন, এমপি খোকার নিশ্চিত পরাজয় জেনেও মাহফুজুর রহমান কালাম লাঙ্গলের বোঝা কাধে নিয়েছেন। তিনি এখন ভাঙ্গা লাঙ্গলের ভার কাধে নিয়েছেন। এখানে সুষ্ঠ শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলেও এমপি খোকা লড়াই করার মত প্রতিদ্বন্ধিতাও দেখাতে পারবেন না। তবে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব থাকার কারনেই কালাম এখন এমপি খোকার পক্ষ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অনেকেই।

গত ১২ডিসেম্বর সকালে সোনারগাঁও উপজেলার পৌরসভার দিঘিরপাড়া এলাকায় রয়েল রির্সোট অডিটোরিয়ামে এক কর্মীসভা করে উপজেলা আওয়ামীলীগ এ সমর্থন জানায়। তবে আওয়ামীলীগ এই সমর্থন জানানোর তিনদিন চললেও সোনারগাঁয়ে লাঙ্গলের পক্ষে কোন আওয়াজ তুলতে পারেননি। উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টে ওই কর্মীসভা শেষে যার যার বাড়িতে গিয়ে ঘুমাচ্ছেন। লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী নিয়ে তাদের কোন আগ্রহ দেখা যাচ্ছেনা। এমন পরিস্থিতিতে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কায়সার হাসনাত। এদিকে মাঠে নামার চেষ্টা করছেন মান্নানও। ইতিমধ্যে মান্নান আবার এমপি খোকা অনুগামী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহর হামলার শিকার হয়েছেন। ভ্রাম্যমান আদালত রনি বিল্লাহকে তিন মাসের কারাদন্ডও দিয়েছেন।

আওয়ামীলীগের কর্মীসভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন- মহাজোটের মনোনিত লাঙ্গলের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ মোল্লা বাদশা, কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নোয়াগাও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মোল্লা, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সিদ্দিক মোল্লা, সনমান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসহাক মোল্লা প্রমুখ।

ওসির সঙ্গে সেলফি, তবুও সন্ত্রাসীর ৩ মাসের কারাদন্ড

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলাকারী পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহকে ৩ মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তবে এই ঘটনার পর ওই সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহর বেশকটি ছবি স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, ইউএনও শাহিনূর ইসলাম এবং সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলমের সঙ্গে সেলফি ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। কিন্তু সোনারগাঁয়ে হর্তাকর্তা এই তিনজনের সঙ্গে সেলফি তুলেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দায় থেকে মুক্তি পায়নি রনি বিল্লাহ।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনও শাহিনুর ইসলাম ও ওসি মোরশেদ আলমের সামনেই রনি বিল্লাহ বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালায়। মুুলত স্থানীয় এমপি, ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে সন্ত্রাসীর সখ্যতা থাকার কারনেই মান্নানের উপর এমন ন্যাক্কাজনক হামলা চালানোর সাহস করেছে রনি বিল্লাহ। তবে ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রনি বিল্লাহকে তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিএম রুহুল আমিন রিমন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বিএম রুহুল আমিন রিমন বরাত দিয়ে প্রধান সহকারী আব্দুল খালেক সরকার জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলাকারী রনি বিল্লাহকে ৩ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার বিকেলে সোনারগাঁয়ের উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে মিটিং চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই মান্নানের উপর হামলা চালানো হয়। তবে এমপি, ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে সখ্যতা গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি রনি বিল্লাহর। তাকে তিন মাসের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

আড়াইহাজারে শুরু এমপি বাবুর তান্ডবলীলা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দীর্ঘ দশ বছর নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে এমপি রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি নজরুল ইসলাম বাবু। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর চালিয়ে আসছিলেন স্টীমরোলার। গত দশ বছরে আড়াইহাজার বিএনপি কার্যালয়ের তালাও খুলতে দেয়নি বাবু। দুইবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীদের উপর হামলা মামলা নির্যাতন করে জোড় করে ছিনিয়ে নেয় দশটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদগুলো। দশ বছরে আড়াইহাজারে খুন মারামারি রাহাজানি ডাকাতির ঘটনায় সন্ত্রাসীদের এক অভয়ারণ্যে পরিনত হয়। খুনের শিকার হয় পুলিশ কনেস্টবল সুমন। এমপি হওয়ার পর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীদের নির্বাচনের দিন বেধে রাখা হয়। নির্যাতন করা হয়। হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়। এ নিয়ে বিএনপি নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনও করেছিল।

আবারো সেই রূপ দেখাচ্ছেন নজরুল ইসলাম বাবু। এবার জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর চালাচ্ছেন তান্ডবলীলা। চলছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেতাকর্মী সমর্থক এমনকি ভোটারদেরও হুমকি ধমকি। থানা ইউনিয়ন পৌর থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মী সমর্থক ভোটারদের তালিকা তৈরি করে ধরে ধরে মারধর করা হচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাওয়ার চেয়ে নজরুল ইসলাম বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপি কর্মী সমর্থক ও ভোটারদের ভয়ভীতি হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এমনকি প্রত্যেকের নামে তালিকা হচ্ছে বলেও ভয় দেখাচ্ছে। এমনি চলছে আড়াইহাজারে। ভোট প্রার্থনাতেই নামতে পারছেনা ধানের শীষের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে সাতগ্রাম ইউনিয়নের পুরিন্দা বাজারের মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি ও মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন স্থানীয় নজরুল ইসলাম বাবুর সেকেন্ড ইন কমান্ড সাতগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্ত্রাসী ওয়াদুদের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীদল। এসময় নজরুল ইসলাম আজাদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রতিরোধ গড়তে চাইলে দেশীয় অস্ত্রর সাথে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলোপাতারী হামলা চালানোর ফলে বিএনপির প্রায় চল্লিশ জন নেতাকর্মী গুরুত্বও আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

তাৎক্ষনিক সংবাদ সম্মেলন করে নজরুল ইসলাম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, এই সন্ত্রাসী ঘটনা আগ থেকেই সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিল। কিন্তু তারা নিশ্চুপ ছিলেন। প্রশাসনের সামনেই বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী এই ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। ঘটনার পর আড়াইহাজার থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ অভিযোগ গ্রহণ করেননি। আমি বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি। সেইসাথে নির্বাচনের লেভেল প্লেং ফিল্ড নিশ্চিতের জোর দাবি জানাচ্ছি ।

তিনি দাবি করেন- বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে জুবায়ের, নাজমুল, সিফাত, হৃদয়, আনোয়ার, জলিল, আইয়ুব আলী, মনির, সাদেক গুরুত্বর আহত সহ ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে এর আগের দিনও নজরুল ইসলাম আজাদের লোকজনের উপর হামলা চালায় এমপি বাবুর সন্ত্রাসী বাহিনী।

শামীম ওসমানের আসনে আটক ১০৩ জন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে পৃথক অভিযানে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মী সন্দেহ ১০৩ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এসময় তাদের কাছ কয়েকটি ককটেল ও জিহাদী বই উদ্ধার করা হয়। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শুক্রবার বিভিন্ন এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগে পাগলা ও মাসদাইর ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ১০৩ জনকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল সংখ্যক জিহাদী বই ও বেশ কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। তারপরও তাদের মধ্যে যাচাই বাচাই করা হচ্ছে।

তিনি জানান, এই অভিযানের বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন।

এখানে উল্লেখ্যযে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। এখানে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি একেএম শামীম ওসমান। গত ১২ ডিসেম্বর ফতুল্লার এক অনুষ্ঠানে শামীম ওসমান বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গীদের আনাগোনা। বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী দেয়া হয়েছে একজন জঙ্গী সখ্যতা রয়েছে এমনকে। এ বিষয়ে প্রশাসনকে মুচে তেল দিয়ে না ঘুমানোর আহ্বান জানিয়ে চোখ কান খোলা রাখতে বলেছিলেন শামীম ওসমান।

সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা এমপি,ইউএনও,ওসি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এখন সন্ত্রাসীদের শেল্টারদাতা হিসেবে চিহ্নিত হলেন জাতীয়পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলম। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর হামলা চালিয়েছে সোনারগাঁও পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রনি বিল্লাহ।

এ ঘটনার পর ওসি সহ থানা পুলিশের আরও দুই কর্মকর্তার প্রত্যাহার দাবি করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্থানীয় এমপি, ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে বেশকটি ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে দেখা যায়। যা রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছে। এসব ছবিতে সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহকে অন্তরঙ্গ মুহুর্তে দেখা যায়। হামলার শিকারও মান্নান এও দাবি করেছেন, ওসি ইউএনও এর সামনেই তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সোনারগাঁও থানার এই ওসি মোরশেদ আলম নিজেকে গোপালগঞ্জের ওসি দাবি করেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই তিনি বলে বেড়াচ্ছেন ভোট বাক্সে ভোট জালিয়াতি করে এমপিকে জয়ী করতে হবে। তাই এই গোপালগঞ্জের নাম ভাঙ্গানো ওসিকে দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। গোপালগঞ্জের ওসি পরিচয়ে মোরশেদ আলম আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের এপিএস শাহিদুল ইসলাম স্বপনকে ধরে এনে থানায় অমানসিক নির্যাতন করে ছেড়ে দেয়। সোনারগাঁও থানা এখন টর্চার সেলে পরিনিত করেছেন মোরশেদ আলম। এই টর্চার সেলের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করছেন পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিম মিয়া ও সেকেন্ড অফিসার এসআই সাধন চন্দ্র বসাক। যে কারনে মান্নান এই দুজনেরও প্রত্যাতার দাবি করেছেন।

জানাগেছে, ১৩ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সভা চলা অবস্থায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সোনারগাঁ থানার ওসির সামনেই মান্নানের উপর এ হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রনি বিল্লাহকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় সোনারগাঁ থানা পুলিশ।

এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, ‘উপজেলা পরিষদের ভেতরে নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে ইউএনও, আমি, নির্বাচন অফিসারসহ আমরা সবাই মিটিংয়ে ছিলাম। এমন সময় হঠাৎ করেই রনি বিল্লাল নামে ছেলেটি দৌড়ে এসে আজহারুল ইসলাম মান্নানের পাঞ্জাবী কলার ধরে টেনে নিচে নামিয়ে ফেলে। আমরা তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিয়ে তাকে আটক করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘রনি বিল্লাহ ইন্টারনেটের লাইনের কাজ করে। তবে আমি শুনেছি সে পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।’

সর্বশেষ সংবাদ