সেলিম ওসমানের সভায় বিএনপির সহ-সভাপতি মুকুল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান এমপি মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের সভায় গিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। যদিও এর আগেও বেশকটি সভায় মুকুল উপস্থিত ছিলেন। এমনকি সেলিম ওসমানের জনসভায় আতাউর রহমান মুকুল উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন বিএনপির এই নেতা। এ আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী নেই। এখানে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।

ওই সভায় যোগদান করায় একেএম সেলিম ওসমান বলেন, মুকুল এখানে এসেছে ভাই হিসেবে। তিনি বিএনপি নেতা হিসেবে আসেন নাই। মুকুল মনে করছেন এই নির্বাচন খালেদা জিয়ার জন্য মঙ্গল বয়ে আনবেনা বরং খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতেই এই নির্বাচন।

১২ ডিসেম্বর বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ডে ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মিলাদ মাহফিল ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

এমপি সেলিম ওসমান আরো বলেন, বিএনপির অনেক ভোট আমিই পাব কেননা ওরা আমাকে অনেক ভালবাসে। বিগত নির্বাচনে বিএনপি আমাকে ভালবেসেই ভোট দিয়েছিল। আর আমি এমন বাড়ীর সন্তান যে বাড়িতেই আওয়ামীলীগের জন্ম। অতএব আমার চেয়ে বড় আওয়ামীলীগার আর কে হতে পারে। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রতি আস্থা রেখেই এ দায়িত্ব অর্পণ করেছেন।

মুচে তেল লাগিয়ে বইসা থাইকেন না: শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমান বলেছেন, আমার কাছে খবর আছে নারায়ণগঞ্জের চারদিকে জঙ্গিদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওরা জানে ভোট হলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের তাদের প্রার্থী ১০% ভোটও পাবে না। আর আমি জানি আমার সাথে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে কেন দেয়া হয়েছে? বিএনপির মধ্যে অনেক ভাল লোক আছে। তাদের ভাল লোককে মনোনয়ন না দিয়ে জঙ্গি মতবাদের সখ্যতা রয়েছে এমন ব্যক্তিকে কেন প্রার্থী দেয়া হলো? তাদের উদ্দেশ্য খারাপ। তারা আবার নারায়ণগঞ্জে জঙ্গি হামলা চালাতে চায়।

এখানে উল্লেখ্যযে, শামীম ওসমানের এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে। একই সঙ্গে বিগত হেফাজতে ইসলামীর আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীর নির্বাচনে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে আসছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামীর সমন্বয়ক ও মহানগর হেফাজতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান।

১২ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ফতুল্লার হরিহরপাড়ায় স্থানীয় যুবলীগের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠক ও গণসংযোগে শামীম ওসমান এসব কথা বলেন। পরে এনায়েতনগর বিভিন্ন এলাকায় উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন তিনি।

শামীম ওসমান আরও বলেন, জঙ্গির বিষয়ে যাদের (আইনশৃংখলা বাহিনী) তৎপর থাকার কথা নারায়ণগঞ্জের সেই আইনশৃংখলা বাহিনীকে তৎপর দেখছি না। আমরা ভিকটিম ১৬ জুনের ভিকটিম। তাই আমরা টের পাই কোথায় কখন কি হচ্ছে। আর নারায়ণগঞ্জে কেউ কেউ জামাতকে নিয়ে জঙ্গি কানেকশনের কাজ করতাছেন। সাবধান, একদম সাবধান। এবার আর ছাড় দেয়া হবে না। সাবধান জনগণের উপর হামলা করার চেষ্টা করবেন না। হামলার চেষ্টা করলে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে আপনাদের প্রতিরোধ।

শামীম ওসমান বলেন, আর নারায়ণগঞ্জের প্রশাসনকে বলবো জনগণের জানমালের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। আর খবর নেন কারা কখন নারায়ণগঞ্জে ঢুকছে আর কারা কখন বের হচ্ছে। মুচে তেল লাগিয়ে বইসা থাইকেন না। আর যদি না পারেন তাহলে বলেন আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো, সেই ক্ষমতা আমাদের আছে। আর সাংবাদিক ভাইদের বলছি আপনারা চোখ কান খোলা রাখেন।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পক্ষে কথা বলেছিলাম ও পতিতা পল্লী তুলে দেয়ার কারনে আমাকে হত্যার জন্য ১৬ জুনে চাষাড়া আওয়ামীলীগ অফিসে বোমা হামলা করা হয়েছিল। এ বোমা হামলায় আমার আশে পাশে যারা ছিল তারা টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। এ বোমা হামলায় ২০ জন লোক মারা গেছে। তাই বলছি ১৬ জুন আর হতে দিবো না। জনগণকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ করবো।

ফতুল্লার নায়েতনগর ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা শফিকুর রহমানের আয়োজনে নির্বাচনী উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামান, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লিটন, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জামাল উদ্দিন সবুজ, ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক বিএম শফিকুল ইসলাম সফি, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সস্পাদক আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা থানা কৃষকলীগের সভাপতি আবু হানিফ, এনায়েতনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রাজ্জাক মাষ্টার, মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন রতন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন, আসমা আকতার রিতা, আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর হামিদ প্রধান প্রমুখ।

ধানের শীষে ভোট দিন, মামলা হামলার রায় দিন: তৈমূর আলম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীদের নামে একের পর এক গায়েবি মামলা দিয়ে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। এখন নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ থাকার কথা থাকলেও প্রতিটি আসনেই বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা হচ্ছে। ধানের শীষের প্রচারে বাধা দেয়া হচ্ছে।

অবিলম্বে এসব মামলা হামলা ও প্রচারে বাধা প্রদান থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন তৈমুর আলম খন্দকার। একই সাথে আগামী সংসদ নির্বাচনে মুক্তির প্রতীক ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে বর্তমানের সরকার অত্যাচার নির্যাতন গুম খুন ও শিক্ষার্থীদের উপর হেলমেট বাহিনী ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে জনগণের রায় দিতে আহবান জানান তৈমুর।

বুধবার ১২ ডিসেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয, দুপুরে উচ্চ আদালত থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, শহর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমেদ সদর ও ফতুল্লা থানার দুটি নাশকতার মামলা জামিন পাবার পর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৈমূর এসব কথা বলেন।

এর আগে উচ্চ আদালতের বিচারপতি মোঃ আন্দুল হাফেজ ও মহিউদ্দিন শামীমের দ্বৈত বেঞ্চে জামিন শুনানির পর খোরশেদ ও হাসানকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন আদালত। এর মাধ্যমে সকল মামলায় জামিন নিলেন খোরশেদ। মামলায় আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তৈমুর আলম আরও বলেন, আমি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহবান জানাই। আমি আশা করি তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। নির্বাচনে বিএনপির সকল প্রার্থী ৫টি আসনেই বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে আমি আশা করি। আসুন সবাই দলমত নির্বিশেষে ধানের শীষের পক্ষে মাঠে নেমে দেশকে রক্ষার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ি। গণতন্ত্রের প্রতীক ধানের শীষের ভোট দেয়ার মাধ্যমেই আমাদের মুক্তি ও দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। ৫টি আসনেই চলমান হামলা মামলা বন্ধে পুলিশ সুপারের কাছে তিনি আবেদন জানান।

অন্য একটি বেঞ্চে মহানগর যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীনের জামিন মঞ্জুর করেছেন উচ্চ আদালত। জয়নাল আবেদীনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। জয়নাল আবেদীন বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন।

সোনারগাঁয়ে মান্নানের পক্ষে মাঠে জামায়াতে ইসলামী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির রাজনৈতিক সহায়ক শক্তি নারায়ণগঞ্জ ও সোনারগাঁ জামায়াতের আনুষ্ঠানিক সমর্থন পেলেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নœান। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী বিএনপির নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজনীতির মাঠে কাজ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উভয় জোটের কয়েকজন নেতা।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ১২ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বসুন্ধরার বাসায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও সোনারগাঁও উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনী মত বিনিময় ও নির্বাচন শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা হয় কিভাবে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীকে বিজয়ী করা যায়। এসময় জামায়াতে ইসলামীর নেতারা বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

এ সময় প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমির মোঃ মোমিনুল হক, জাময়াত নেতা অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী খান, জেলা শূরা সদস্য মোঃ জাকির হোসাইন, জেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক অ্যাডভোকেট দেওয়ান মোঃ খোরশেদ আলম, জেলা শূরা সদস্য ও সাদিপুর আলিম মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মাঃ আবু জাফর, মোঃ আতাউল্লাহ, সোনারগাঁও জামায়াতের শূরা সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র মোঃ ইসহাক, জেলা ছাত্রদলের সেক্রেটারি খাইরুল ইসলাম সজিবসহ বিএনপি নেতা ও আজহারুল ইসলাম মান্নানের পিএস সেলিম হোসেন দিপু প্রমুখ।

নূর হোসেনের কালেক্টর ও তৈমূরের কর্মী গেল আওয়ামীলীগে

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের নিয়ন্ত্রনে থাকা সিদ্ধিরগঞ্জে বেবী স্টান্ড থেকে চাঁদা কালেক্টর সেই টিএইচ তোফা আওয়ামীলীগে যোগদান করেছিলেন। এই তোফা ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ঘনিষ্ট কর্মী।

এই টিএইচ তোফা একটি চুরি মামলায় এক সপ্তাহ জেল খেটে জামিনে বের হলে তৈমূর আলম খন্দকার তার বাসভবনে রাজকীয় সংবর্ধনাও দিয়েছিলেন। টিএইচ তোফা নূর হোসেনের কালেক্টর থাকাকালীন সময়ে তৈমূর আলমের ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। তোফা জেলা তরুণ দলের সভাপতি ছিলেন। এর আগে জেলা তরুণ দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি বেলাল নামে একজন আওয়ামীলীগে যোগদান করেন।

এখানে আরও উল্লেখ্যযে, ২০১৪ সালে নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলায় আসামী হয়েছিলেন নূর হোসেনের গানম্যান আনোয়ার হোসেন আশিক। তিনি ওই মামলার চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পান। আসামী হয়ে পালিয়ে গেলেও অব্যাহতি পাওয়ার পর আশিক আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। এই আনোয়ার হোসেন আশিক নূর হোসেনের গাণম্যান থাকাবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকদলের সভাপতি পদে অধিষ্ট হন। এ পদে তাকে অধিষ্ট করেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা।

পরবর্তীতে তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে আনোয়ার হোসেন আশিক। যার ফলশ্রুতিতে তৈমূর আলম খন্দকারের বাসায় মহানগর শ্রমিকদলের সম্মেলনে অনেকটা তৈমূর আলমের পরোক্ষ সমর্থনেই আনোয়ার হোসেন আশিককে মহানগর শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মনোনয়ন বঞ্চিত শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলমেরও ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিল আনোয়ার হোসেন আশিক। এই আশিকের মাধ্যমেই সিদ্ধিরগঞ্জে শাহআলমের ব্যানার পোস্টার ফ্যাস্টুন লাগানো হতো। কারন ওই সময় আশিক দাপটশালী নূর হোসেনের গানম্যান ছিলেন।

জানাগেছে, ১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টিএইচ তোফার অনুসারী বেশকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ফুলের নৌকার মিছিল করে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। ওই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়ার হাতে ফুলের নৌকা দিয়ে যোগদান করেন।

ওই সময় কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন- থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, প্রচার সম্পাদক তাজিম বাবু, সিদ্ধিরগঞ্জ আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী, থানা আওয়ামীলীগ সদস্য মো: বাদল হোসেন মেম্বার, মো: জাহাঙ্গীর আলম, থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল মজিদ ও মোতাহার হোসেন মনা প্রমুখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপি নেতা টিএইচ তোফার নেতৃত্বে বিএনপি কর্মী মোতালিব, আলী হোসেন, নাহিদ, মোমিন মিয়া, খোকা, কবির হোসেন, জাকির বেপারী, মহিদ, মনির হোসেন সহ বেশকজন বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

এ সময় টিএইচ তোফা তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মুক্তিযোদ্ধের চেতনায় অনুপ্রানিত হয়ে আমার অনুগত বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগদান করেছি ।আওয়ামী লীগের আদর্শ বুকে ধারণ করে বাকী জীবন কাটানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু বলে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।

টিএইচ তোফার যোগদানের বিষয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি মজিবুর রহমান বলেন, আওয়ামীলীগ এমন একজন নেতার দল যার নেতৃত্বে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। আজ তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়ন ও জনগণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছেন। তাই সবার উচিৎ দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসা। যারা আজকে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে তাদেরকে সকলকে স্বাগত জানাই।

এরশাদ নয় শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী চাই: লাঙ্গলের প্রার্থী সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, এরশাদ নয় শেখ হাসিনাকেই প্রধাণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এরশাদ যদি আমাকে দল থেকে বের করেও দেয় তাহলে আমার কিছু যায় আসে না। আমার হাত মুক্তিযোদ্ধার হাত তাই থাবাটাও মুক্তিযোদ্ধাদের মত কিন্তু আমি প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হলেও আমি ভুলে যাইনি আমি মাছওয়ালা সেলিম ওসমান, আমি ফেরিওয়ালা সেলিম ওসমান। আওয়ামীলীগের সাথে ওসমান পরিবারের কখনো বিভেদ হতে পারেনা। আমার সঙ্গে আওয়ামীলীগের কোন শত্রুতা নাই। আমি কখনোই আওয়ামীলীগের কমেন্ট অমান্য করিনা।

১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের সোনাকান্দা সড়কে মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, কেউ আছে নৌকা করেন আবার আনারস করেন। পরে আবার ধানের শীষও করেন। এই রকম চিটা ধান নারায়ণগঞ্জবাসী চায় না। এই এলাকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই তারা উন্নয়ন যে করে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে। আওয়ামীলীগ আমার প্রতি এত রাগ কেন? আমার তো কোন দোষ নাই। দোষ থাকলে আপনাদের সভাপতি রশিদ ও আনোয়ার সাহেবের। তারা তো একবারও আমার কাছে এসে কিছু বলেননি। তাহলে কেন আমার প্রতি এত বিষোধগার। আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ওয়াদা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অত্যাধুনিক অফিস করব। আর সেই অফিসে বসেই আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উন্নয়ণমুলক কাজ করব। জোহা পরিবার কখনো আওয়ামীলীগের শত্রু নয়। যেখানে আওয়ামীলীগ সেখানেই জোহা পরিবার। আমাকে যে যাই বলুক সাধারণ মানুষের জন্য আমি কাজ করবই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমি কাজ করবই। সর্বোপরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে হবে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সভাপতি আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, এসআই জুয়েল, মহানগর যুব মহিলালীগের নেত্রী নুরুন নাহার সন্ধ্যা, ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আশাদুজ্জামান খোকন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সামসুজ্জামান, মশিউর রহমান সুজু, মোকাদ্দেছ আলী আঙ্গুর, আজিজ মিয়া, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান, মোঃ ফারুক, আমজাদ, সেলিম, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ডা.শফিউল্লাহ, এমএ কাইয়ুম, আমানউল্লাহ আমান, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, সালাউদ্দিন ও নাজমুল প্রমূখ।

ভোট চেয়ে খালেদা জিয়ার জন্য কাঁদলেন মান্নান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

দীর্ঘ ১০ মাসের বেশি সময় ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি রয়েছেন এমন কথা বলেই কেঁদে ফেলেন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। মান্নানের কান্নায় তখন উপস্থিত নেতাকর্মীদের চোখেও জল এসে যায়।

জানাগেছে, নারয়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বিএনপির নির্বাচন কেন্দ্রীক কেন্দ্র ভিত্তিক ইউনিয়ন কমিটি পিরোজপুর এলাকায় কর্মীসভায় কাঁদলেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। তিনি বলেন, দেশমাতা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য যে কোন ত্যাগের বিনিময় হলেও ভোট কেন্দ্রে অটল থাকতে হবে। মনে রাখবেন যত গর্জে তত বর্ষে না। আপনারা জানেন এই সরকারের আমলেই উপজেলা নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছেন। সেই ভোট রক্ষা করেছি এবং রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছি। এমপি নির্বাচনেও কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। জনগণের ভোটাধিকার, গণতন্ত্র, বিচার ব্যবস্থা ও আমার মাকে মুক্তি করতেই আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছি। আমাদের সামনে কারো বাউতাবাজি চলবে না। নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনে বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান এ সময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে সোনারগাঁও মেঘনা শিল্পাঞ্চল প্রতাপনগরে কর্মীসভায় পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সিরাজুল হক ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-পিরোজপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি সিরাজুল হক ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি বরকত মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মেম্বার, সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজীব প্রমুখ।

ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিতে বললেন এসএম আকরাম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়নগঞ্জ-৫ আসনের ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকে প্রার্থী এসএম আকরাম বলেছেন, আমরা ক্ষমতার জন্য নির্বাচন করছিনা। এ নির্বাচন জনগণের অধিকার আদায়ের নির্বাচন। আমাদেরকে বিজয়ী হতেই হবে। এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। সেই হিসেবে আমি নিজেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শক্তিশালী প্রার্থী মনে করি। আপনারা ভোট কেন্দ্র পাহাড়া দিবেন যেন কোন কুচক্র ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার না করতে পারে। ইনশাহআল্লাহ বিজয়ের মালা আমাদেরই হবে।

১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে বন্দর থানার আলীনগর এলাকায় কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ঐক্যফ্রন্ট আয়োজিত নির্বাচিত মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসএম আকরাম আরো বলেন, আওয়ামীলীগের অনেক নেতা হাজার হাজার টাকা লুটপাট করেও বুক ফুলিয়া রাস্তায় হাটছে কিন্তু হয়ত সামান্য একটু গড়মিলের কারনে ম্যাডাম খালেদা জিয়াকে মাসের পর মাস জেলে পঁচতে হচ্ছে। এর মানেটা স্পট। তারা দেশনেত্রীকে ভয় পায়। তারা মামলা হামলা করে ভিতুর মত রাজনীতি করছে। এবার সময় এসেছে জনগণের রায়েই দেশনেত্রী কুৎসিত কারাগার ভেঙ্গে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।

এ মতবিনিময় সভায় এসএম আকরাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বন্দর পৌর বিএনপির সভাপতি নুর মোহাম্মদ পনেছ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দুলাল হোসেন, থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, মহানগর যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছানোয়ার হোসেন, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমানউল্লাহ আমান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর মহিলা দলের আহ্বায়ক রাশিদা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজেদা খাতুন মিতা, মহিলা দলের নেত্রী সুলতানা বেগম, তাসলিমা বেগম, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সদস্য শিউলী সুলতানা রুবি, ছাত্রদল নেতা এমএএম সাগর ও রফিউদ্দিন আহমেদ রিয়াদ প্রমূখ।

চিটা ধান নারায়ণগঞ্জবাসী চায় না: সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের এমপি একেএম সেলিম ওসমান বলেছেন, তিনি আরো বলেন, কেউ আছে নৌকা করেন আবার আনারস করেন। পরে আবার ধানের শীষও করেন। এই রকম চিটা ধান নারায়ণগঞ্জবাসী চায় না। এই এলাকার মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। তাই তারা উন্নয়ন যে করে তাকেই ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগ আমার প্রতি এত রাগ কেন? আমার তো কোন দোষ নাই। দোষ থাকলে আপনাদের সভাপতি রশিদ ও আনোয়ার সাহেবের। তারা তো একবারও আমার কাছে এসে কিছু বলেননি। তাহলে কেন আমার প্রতি এত বিষোধগার। আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে ওয়াদা করেছিলাম নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগের অত্যাধুনিক অফিস করব। আর সেই অফিসে বসেই আমি আওয়ামীলীগ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে নারায়ণগঞ্জে উন্নয়ণমুলক কাজ করব। জোহা পরিবার কখনো আওয়ামীলীগের শত্রু নয়। যেখানে আওয়ামীলীগ সেখানেই জোহা পরিবার। আমাকে যে যাই বলুক সাধারণ মানুষের জন্য আমি কাজ করবই। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমি কাজ করবই। সর্বোপরি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আসতে হবে।

১১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরের সোনাকান্দা সড়কে মহানগর আওয়ামীলীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

জাতীয়পার্টি তাকে বহিষ্কার করলেও কিছু যায় আসেনা দাবি করেন সেলিম ওসমান বলেন, এরশাদ নয় শেখ হাসিনাকেই প্রধাণমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। এরশাদ যদি আমাকে দল থেকে বের করেও দেয় তাহলে আমার কিছু যায় আসে না। আমার হাত মুক্তিযোদ্ধার হাত তাই থাবাটাও মুক্তিযোদ্ধাদের মত কিন্তু আমি প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হলেও আমি ভুলে যাইনি আমি মাছওয়ালা সেলিম ওসমান, আমি ফেরিওয়ালা সেলিম ওসমান। আওয়ামীলীগের সাথে ওসমান পরিবারের কখনো বিভেদ হতে পারেনা। আমার সঙ্গে আওয়ামীলীগের কোন শত্রুতা নাই। আমি কখনোই আওয়ামীলীগের কমেন্ট অমান্য করিনা।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক সভাপতি আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানু, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, মহানগর আওয়ামীলীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম চৌধুরী, বীরমুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদা মালা, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, বন্দর থানা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ, বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক রাফিয়ান আহমেদ, বন্দর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, এসআই জুয়েল, মহানগর যুব মহিলালীগের নেত্রী নুরুন নাহার সন্ধ্যা, ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক আশাদুজ্জামান খোকন, ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা সামসুজ্জামান, মশিউর রহমান সুজু, মোকাদ্দেছ আলী আঙ্গুর, আজিজ মিয়া, ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর থানা যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান, মোঃ ফারুক, আমজাদ, সেলিম, ২০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা ডা.শফিউল্লাহ, এমএ কাইয়ুম, আমানউল্লাহ আমান, ২১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেত্রী রাশিদা বেগম, সালাউদ্দিন ও নাজমুল প্রমূখ।

সেলিম ওসমানের আসনে ‘বিএনপি নেতা বিকিকিনি’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে আবারো উপ-নির্বাচনের মতই বিকিয়ে যাচ্ছেন নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতারা। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় গিয়ে সেলিম ওসমানকেই নির্বাচিত করার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাশেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার ও বিএনপি নেতা সুলতান আহমেদ। এদের মধ্যে হান্নান সরকার নিজেই একটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা দিয়েছেন সেলিম ওসমানকে এমপি নির্বাচিত করতে যত টাকা লাগবে তা হান্নান সরকার দিবেন। ফলে আবারো সামনে চলে আসছে বিএনপি নেতাদের কেনা বেচার বিষয়টি। এ আসনে বিএনপির কোন প্রার্থী না দিয়ে নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত করে ঐক্যফ্রন্ট।

তবে বেশকটি সূত্রে জানাগেছে, এবারের নির্বাচনে বিগ এমাউন্ডের বাজেট রয়েছে বিএনপির কিছু নেতার জন্য। তারা হলেন- মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব ও মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের জন্য। এসবের মধ্যেস্থতা করবেন গত উপ-নির্বাচনের মতই নারায়ণগঞ্জের কিং মেকার খ্যাত বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। মোহাম্মদ আলীও ইতিমধ্যে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় গিয়ে তাকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দিয়ে আসছেন। মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের বিএনপির যে সব নেতারা এতদিন সেলিম ওসমানের সঙ্গে ছিলেন না তাদেরকে মুল টার্গেট রয়েছে কেনার। তবে অনেকেই বলেছেন, ইতিমধ্যে দেনদরবারও চলছে। এদের কেউ কেউ আবার আশায় রয়েছেন এসএম আকরাম আর্থিক সুবিধা নিয়ে টেনে নেন কিনা।

এসব নেতাদের ছাড়াও সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিটি কর্পোরেশনের বিএনপির ১৬ জন কাউন্সিলর। যাদের মধ্যে শওকত হাসেন শকু, হান্নান সরকার, সুলতান আহমেদ, এনায়েত হোসেন, গোলাম নবী মুরাদ ইতিমধ্যে সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এছাড়াও রয়েছেন শহর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টু কমিশনার যিনি আগে থেকেই সেলিম ওসমানের হয়ে কাজ করছেন।

যা ঘটেছিল ২০১৪ সালের ২৬ জুন উপ-নির্বাচনে: ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ওই নির্বাচনে এ আসনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে মনোনয়ন পান প্রয়াত নাসিম ওসমান। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ। আওয়ামীলীগ এ আসনটি জাতীয়পার্টিকে ছেড়ে দিলে শুক্কুর মাহামুদ তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন নাসিম ওসমান। ওই বছরের ৩১ এপ্রিল নাসিম ওসমান মৃত্যুবরণ করেন।

নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর এ আসনে ওই বছরের ২৬ জুন উপ-নির্বাচনে মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হন সেলিম ওসমান। ওই নির্বাচনেও সেলিম ওসমানের পক্ষে মাঠে নামেন বিএনপির সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এসএম আকরাম। নির্বাচনের সময় সেলিম ওসমানের মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে গিয়েছিলেন তৎকালীন শহর বিএনপির সভাপতি প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদ আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি হাজী শাহিন, শহর মহিলা দলের সাবেক সেক্রেটারি দিলারা মাসুদ ময়নার মত নেতারাও।

বন্দরে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় যান মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল ও হান্নান সরকার। সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন শওকত হাসেম শকু। কাজ করেছিলেন শহর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টুও। নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন এ ওয়ার্ডের আশপাশেই দেখা গিয়েছিল জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীবকে। যদিও ওই সময় রাজীব দাবি করেছিলেন শুধুমাত্র তিনি নির্বাচনে ভোট গ্রহণের পরিবেশটি দেখতেই এক মুহুর্তের জন্য গিয়েছিলেন।

নির্বাচনের পূর্বে তৎকালীন শহর বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেওয়ানের উপর যায় খড়গ। এমন সব নেতারা সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করলেও কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারলেও আনোয়ার হোসেন দেওয়ানকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে আনোয়ার হোসেন দেওয়ান সেলিম ওসমানের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

নির্বাচনে তৎকালীন শহর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামালের একটি বিবৃতি নিয়ে বিরোধীতা করেন শহর বিএনপির সহ-সভাপতি সুরুজ্জামান সহ অনেক নেতারা। কামালের বিবৃতিটি একজন প্রার্থীর পক্ষে চলে যাওয়ার কারনে রহস্যজনক ভুমিকায় এটিএম কামালকে বহিস্কার করার জন্য শহর বিএনপির নেতারা ডিআইটিতে বিএনপি কার্যালয়ে সভার আহ্বান করেন। ওই সভায় দলের কোরাম পূরন না হওয়ার কারনে এটিএম কামালকে বহিস্কার করা সম্ভব হয়নি।

ওই নির্বাচনের সময় আরো রহস্য দেখা যায়, যখন নির্বাচনের মাত্র ১৫ দিন আগেই তৎকালীন জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও তার ভাই কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ দেশের বাহিরে চলে যান। দলের নেতাকর্মীদের কোন রকম নির্দেশনা না দিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করে অনেকটা সেলিম ওসমানকে সুযোগ করে দিয়ে তৈমূর আলম বিদেশে পাড়ি জমান। দেশের বাহিরে যান খোরশেদও।

নির্বাচনের আগের রাতে বিএনপি ও যুবদল ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের একটি অভিজাত ক্লাবে। মহানগর যুবদলের তৎকালীন যুগ্ম আহ্বায়ক সরকার আলম ওই ক্লাবে অনেক সময় পার করেও খালি হাতে ফিরে আসেন। যার ক্ষোভ তিনি পরের দিন স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘এটিএম কামাল ২ লাখ টাকা সেলিম ওসমানের কাছ থেকে নিয়েছেন। যা মোহাম্মদ আলীর মাধ্যমে দেয়া হয়।’ তবে নির্বাচনের দুইদিন আগে থেকেই ফতুল্লায় মোহাম্মদ আলীর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সিরিয়াল ধরেছিলেন বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। যাদের মধ্যে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও ছিলেন। ছিলেন শহর ও জেলা বিএনপির অনেক স্তরের নেতাকর্মীরা। অনেকে মোহাম্মদ আলীর সেই কার্যালয়ে খালি পকেটে ঢুকে ভরা পকেটে বের হন বলেও নেতাকর্মীরা মন্তব্য করেছিলেন। ওই নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে সরাসরি মাঠে ছিলেন মোহাম্মদ আলী।

এদিকে জানাগেছে, এবারের নির্বাচনেও তার ব্যতয় হবেনা। এবার বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে তাদের সেলিম ওসমানের পক্ষে নেয়ার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে অনেকেই সেলিম ওসমানের পক্ষে নেমে পড়েছেন। বেশকজন রয়েছেন পর্যবেক্ষনে। কেউ কেউ যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছেন মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে। যে কারনে বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনও এসএম আকরামের ধীনের শীষের পক্ষে নামছেন না। আরও সুযোগ তৈরি হচ্ছে যখন মহানগর বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম চিকিৎসার জন্য যাবেন সিঙ্গাপুরে। এই সুযোগে পকেট ভারির জন্য বিএনপি নেতাকর্মীরা মুখিয়ে রয়েছেন। ফলে এবারের নির্বাচনে এসএম আকরামের পক্ষে বিএনপি নেতাকর্মীদের তেমন একটা দেখা নাও যেতে পারে। এসব নেতাদের লাঙ্গলের পক্ষে ভাগিয়ে নিতে পারলে তাদের অনুসারীদের প্রতি নির্দেশনা থাকবে এসএম আকরামের বিপক্ষে ভোট দেয়ার জন্য। ফলে ভোট পাবেন সেলিম ওসমান।

সর্বশেষ সংবাদ