আজাদের পাশে বহিরাগত, নেই আড়াইহাজার বিএনপি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদের পাশে বহিরাগতদের বিচরণ। তার পাশে নেই আড়াইহাজার বিএনপি নেতাকর্মীরা। কারন গত কয়েক বছর ধরে আড়াইহাজারের রাজনীতিতে অবস্থান করে নেয়ার চেষ্টা করলেও তিনি আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে আসতে পারেননি। আড়াইহাজারের বাহিরে নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যান্য থানা ও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে আড়াইহাজারে বিচরণ করেছিলেন। দলের মনোনিত প্রাথীর পক্ষে তাই নেই বিএনপি। তার সঙ্গে সার্বক্ষনিক রয়েছেন মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীরা। যে কারনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে লড়াইটারও সম্ভাবনা নেই।

এছাড়াও এ আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুুর ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের নিয়ন্ত্রনে যখন বিএনপি তখন কর্মী শূন্য নজরুল ইসলাম আজাদকে প্রার্থী করায় বিএনপি নেতাকর্মীরা এখনও মাঠে নামেননি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তখনকার বিএনপির মনোনিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেননি আঙ্গুর। সেই দকল কুলিয়ে ওঠে পাস করতে পারেননি ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এবার নজরুল ইসলাম আজাদের পক্ষে নেই খসরুর ছেলে মাহমুদুর রহমান সুমন ও আতাউর রহমান আঙ্গুর। ফলে নজরুল ইসলাম আজাদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ।

আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবু এক সময় আজাদের সঙ্গে থাকলেও কয়েক মাস আগে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরে। আজাদের বিরুদ্ধে থানায় জিডিও করেছিলেন হাবিবুর রহমান হাবু। এখানে আড়াইহাজারে বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে অগ্রহণযোগ্য বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তার ছাড়া আড়াইহাজারের কোন নেতা আজাদের পক্ষে নেই। আর পারভীন আক্তার আড়াইহাজার পৌরসভা নির্বাচনে দুইবার নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছেন। ফলে বুঝা যায় তাদের স্বামী স্ত্রীরও তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই এখানে।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, আজাদের পাশে সার্বক্ষনিক দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেককে। যিনি বসবাস করছেন ফতুল্লার কাশিপুর এলাকায়। তার পেত্রিক ভিটা আড়াইহাজারে হলেও আড়াইহাজারে তার কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই। একইভাবে মহানগর বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজলও দৌড়াচ্ছেন আড়াইহাজারে। অথচ তার নামের উপর রয়েছে নানা বিতর্ক। তার সঙ্গে আবার মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিউদ্দীন রিয়াদ, ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম আপন, এরশাদ আলী সহ ছাত্রদলের বর্তমান সাবেক নেতাকর্মীদের অনেককেই নিয়ে পাড়ি জমিয়েছেন আড়াইহাজারে। সঙ্গে দৌড়াচ্ছেন মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টিও। এসব নেতাদের দিয়ে আড়াইহাজারে আজাদ তার নির্বাচনী বৈতরনী পাড় হতে চাচ্ছেন। কিন্তু এদের কথায় আড়াইহাজারে দশটা ভোটও টানতে পারবেন না আজাদ।

এসব ছাড়াও রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহামুদ উল্লাহ। যাকে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের পূর্বে কেউ চিনতোইনা। মুলত আজাদের চাটুকার শ্রেণির একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের কর্মী মাহামুদ উল্লাহকে জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ট করিয়ে আনেন আজাদ। এদের ছাড়াও মহানগর ও জেলা ছাত্রদলের বেশকজন নেতাকর্মীও আড়াইহাজারে ধাবিয়ে বেড়াচ্ছেন যারা আড়াইহাজারের বাহিরে রাজনীতি করেন। আজাদের চাচা লুৎফর রহমান আবদু বিএনপির রাজনীতিতে তেমন সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু জেলা বিএনপির কমিটিতে তাকে সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ট করিয়ে আনেন আজাদ। তিনি বিএনপির সমর্থক পর্যায়ের ভুমিকায়ও ছিলেন না এর আগে। আড়াইহাজারের বিএনপি ছাড়াই এখনও আড়াইহাজারে জনসমাগম দেখাতে পারেননি আজাদ। আঙ্গুুর ও সুমনের বাসায় গিয়ে আজাদ সাক্ষাত করলেও নেতাকর্মীদের প্রতি আঙ্গুর ও সুমনের কোন নির্দেশনা না থাকায় বিএনপি নেতাকর্মীরা চুপসে রয়েছেন।

সিংহ মার্কায় আলোচনায় দ্যা হিরো অব সোনারগাঁও

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

প্রায় এক যুগ পূর্বে বিটিভিতে একটি বিজ্ঞাপন ছিল সবচেয়ে আলোচিত। যে বিজ্ঞাপন চিত্রে মডেল হিসেবে ছিলেন আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। সহজ সরল একজন সাংস্কৃতিকমনা মানুষ। দেখতে সুদর্শন। পিতা প্রয়াত আবুল হাসনাতের শক্তিশালী করে গড়ে তোলা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে পা দেন তিনি। বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে পুলিশের বেদম পিটুনির শিকার হন রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে। খেয়েছেন মামলা, করেছেন কারাভোগ। ওই সময় তরুণ কায়সার হাসনাতের রক্তমাখা ছবির পোস্টারে ছেয়ে যায় পুরো সোনারগাঁও। সোনারগাঁয়ে তার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগের আন্দোলন দৃষ্টি কেড়ে নেয় জাতীয় রাজনীতিতে। তৎকালীন সোনারগাঁও থানার ওসির নাম এখনও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের মনে হলে আতংকে ওঠেন তারা।

সাদা সিদে এই রাজনীতিক এমপি হওয়ার পর তার মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খেয়েছেন অনেকেই। কিন্তু বদনামের ঝুড়ি গিয়েছে কায়সার হাসনাতের নামে। সরলতার সুযোগ নিয়ে অনেকেই পকেট ভারি করেছেন। চাচা মোশারফ হোসেনের সঙ্গে বিরোধ বাধিয়ে সুবিধা আদায় করেছেন কেউ কেউ। কিন্তু এবার পাকাপোক্ত রাজনীতিক কায়সার হাসনাত মাঠ ছাড়ছেন না। সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একাই মাঠে নড়ছেন তিনি। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তার চাচা মোশারফ হোসেন। রয়েছেন সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ। যে কারনে আবারো আলোচনায় সেই সাদা মনের মানুষ কায়সার হাসনাত। একজন ভদ্র ন¤্র রাজনীতিক মিথ্যা বলতে পারেননা, যে কারনে ইনিয়ে বিনিয়ে বানিয়ে মিথ্যার ফুলঝুড়ি নেই তার মুখে। তার বক্তব্যেও সেটা স্পষ্ট। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নেই তার মুখে। যে কারনে পারেননা তিনি অনড়গল বক্তব্য হৃদমে চালিয়ে যেতেও।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে আলোচনায় এখন নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও)। এ আসনে তিনি আওয়ামীলীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। এখানে এবারের নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী দেয়া হয়নি। মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টি থেকে এখানে গত নির্বাচনে বিনা ভোটে নির্বাচিত লিয়াকত হোসেন খোকাকে আবারো করা হয় মহাজোটের প্রার্থী। কিন্তু গত ৫টি বছরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের যে দূর্দিন গিয়েছে সেই দিনের মুখোমুখী আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আর হতে চাননা। সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির এমপি থাকার কারনে আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতায় থাকলেও সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ ছিল বিরোধী দলের ভুমিকায়। এসব কারনে সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, আসলেই কায়সার হাসনাত হিরো। এখন সিংহ প্রতীক নিয়ে আলোচনায় দ্যা হিরো অব সোনারগাঁও।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করছেন। ১০ ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাত থেকে সিংহ প্রতীক তুলে নেন কায়সার হাসনাত। ফলে এ আসনে মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার জয় এখন অনিশ্চিত। কেউ কেউ বলছেন এখানে লিয়াকত হোসেন খোকার জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরাও। যে কারনে এখন সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একটাই পথ সেটা হলো সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া। যে কারনে খোকার পক্ষে এখনও নামেনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। তারাও বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছেন। নিশ্চিত পরাজয় জানা প্রার্থীর পক্ষে লড়াই করার চেয়ে কায়সার হাসনাতের পাশে এসে দাড়ানোটাই হবে তাদের জন্য শ্রেয়।

সোমবার প্রতীক বরাদ্ধের পর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা বলেছেন, সোনারগাঁয়ে বাঘের হাতেই সিংহ মার্কা। এ আসনে অন্তত ১০ জনের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশি মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তারা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একাট্টা হননি। এখানে আনাড়ি ধাচের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ছড়াছড়ির কারনে আসনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া ছাড়া আওয়ামীলীগের কোন পথ খোলা নেই। মহাজোটের প্রার্থীকে নিয়েও ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে লড়াই করার মত অবস্থানও নেই। ফলে কায়সার হাসনাতকে নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবেও দূর্বল। বৃহত দল বিএনপির কারনে মুলত কায়সার হাসনাতের সঙ্গে তার লড়াইটাই দেখছেন তারা।

তবে এ আসনে ভোটের হিসেবে রয়েছে নানান হিসেবে নিকেশ। যেখানে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিপক্ষে রয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। এই দুইজন নেতা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা কম। যদিও খন্দকার আবু জাফর এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিলই করেননি। তিনি মান্নানের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানে রেজাউল করিমের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যার বেশির ভাগ ভোট চলে যাবে কায়সার হাসনাতের বাক্সে। কারন কায়সার যখন এমপি ছিলেন ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা কমই ছিল।

এখানে আওয়ামীলীগের একটি অংশ কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে এবং এমপি খোকা হলেন মহাজোটের প্রার্থী। সেই হিসেবে খোকার পক্ষেও থাকবে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। তবে সেই ভোট জয়ের জন্য যথেষ্ট নয়। তিন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে বেশি এ আসনে জনপ্রিয়। নির্বাচনের হলফনামা থেকেও জানাগেল, শিক্ষাগত দিক থেকে কায়সার হাসনাত বিএসএস পাস আর বাকীরা কেউই প্রাইমেরী স্কুলের গন্ডি পেরুতে পারেননি। কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তিনি আপীল করেও বৈধতা পাননি। তবে তিনি সোমবার কায়সার হাসনাতের পক্ষেই মাঠে নেমেছেন। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। এর আগে সোনারগাঁয়ে কারো কাছেই এমপি খোকা পরিচিত ছিলেন না। সোনারগাঁয়ে জাতীয় পার্টির হাল ধরেছিলেন এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী।

সন্তুষ্ট করতে পেরেছি কিনা জানিনা : সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন, আমি জানি না বিগত সাড়ে ৪ বছরে আমি গোগনগর ইউনিয়নবাসীকে উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি কিনা। বিগত দিনে আমি দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করেছি। আগামীতেও আপনাদের সবাইকে সাথে নিয়ে তাদের উজ্জল ভবিষ্যত গড়ে তুলতে কাজ করে যাবো। আর অতীতে যদি আমার কাজ করতে গিয়ে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সেই ভুলের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী। তবে ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবেনা। প্রতিটি এলাকার সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমি ভবিষ্যত উন্নয়ন কাজগুলো পরিচালনা করবো।

১০ ডিসেম্বর সোমবার বিকেলে পুরান সৈয়দপুর বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গনে গোগনগর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগে ১৬ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সেলিম ওসমান আরও বলেন, আমার বাবা, দাদা ও আমার পরিবার সম্পর্কে আপনারা সবই জানেন। এই নারায়ণগঞ্জে বাইতুল আমানেই আওয়ামীলীগের জন্ম। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। কিন্তু আমার ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমাকে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করতে হয়েছে। আপনারা আমার পাশে থেকে আমাকে নির্বাচিত করেছেন। আমি জানি না আপনাদেরকে উন্নয়ন কাজ দিয়ে সন্তুষ্ট করতে পেরেছি কিনা। আমি আগামী প্রজন্মের জন্য কাজ করে, আগামী প্রজন্মের জন্য যেন একটি উজ্জল ভবিষ্যত রেখে যেতে পারি আপনাদের সকলকে সাথে নিয়ে সেই উজ্জল ভবিষ্যত দ্বার উম্মোচন করে যেতে চাই। আর এতে আপনাদের সহযোগীতা সব থেকে বেশি প্রয়োজন। বিগত দিনে আমি আপনাদের গোলামী করেছি। আগামীতেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে আবারো ক্ষমতায় আনতে এবং উনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমি আবারো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ী করতে এবং আবারো আপনাদের গোলামী করার জন্য আরেকবার সুযোগ চাই। এসেছি।

শিক্ষিত বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, এডিবি’র অর্থায়নে বিকেএমইএ তে প্রকল্প চলছে। এর আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে তারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে, নিজেদের কর্মসংস্থান তৈরি করছে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের ছেলেমেয়েরা এখানে প্রশিক্ষন নিতে আগ্রহী হয় না। তোমাদের কাছে আমি আহবান রাখছি তোমরা এই প্রশিক্ষণটি নিয়ে নিজেদেরকে স্বাবলম্বী করে গড়ে তোল।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি জসিম উদ্দিন, জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সালাউদ্দিন সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

শামীম ওসমানের পক্ষে ২১৬টি ভোট কেন্দ্রে নৌকার পক্ষে মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্ধের পর নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী এমপি একেএম শামীম ওসমানের পক্ষে ২১৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রে একযোগে মিছিল বের করেছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী সমর্থক ও স্থানীয় লোকজন। প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে হাজার হাজার লোকজন শামীম ওসমান ও নৌকার শ্লোগানে মুখরিত ছিল এ আসনের ২১৬টি ভোট কেন্দ্রের এলাকায়।

১০ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল হতে সন্ধা পর্যন্ত ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকার ২১৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় একযোগে মিছিল বের করা হয়।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী প্রার্থী শামীম ওসমানকে জেলা রিটার্নিং অফিসার মো: রাব্বি মিয়া নৌকা প্রতীক ঘোষণা করায় উল্লাসিত আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। আর প্রতীক পাওয়ার পর পূর্ব ঘোষিত শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকার মিছিল বের করেন তারা।

শামীম ওসমানের পক্ষে ফতুল্লা থানার বিভিন্ন নির্বাচনী কেন্দ্রে নৌকার মিছিলের মনিটরিং করেন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী। মিছিল সফল করতে তারা পৃথকভাবে মনিটরিং করেন। আর সিদ্ধিরগঞ্জ থানার নির্বাচনী কেন্দ্রে নৌকার মিছিলের মনিটরিং করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি মজিবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়া। তারাও সিদ্ধিরগঞ্জের নির্বাচনী কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের মিছিলে মনিটরিং করেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী শামীম ওসমানের পক্ষে বিকেলে ফতুল্লা পঞ্চবটি, শাসনগাও, মুসলিমনগর, আমতলা, নবীনগর, মাসদাইর, কাশিপুর, ভোলাইল, দেওভোগ, খিলমার্কেট, হাটখোলা, বক্তাবলীর কানাইনগর, গোপালনগর, রাধানগর, পাগলা, দেলপাড়া, রসুলপুর, দাপা, লালপুর, ইসদার, সস্তাপুর, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমুলপাড়া, হিরাঝিল, আদমজী, শিমরাইল, এনায়েতনগরসহ ২১৬ টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে মিছিল বের করেন।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জানান, শামীম ওসমানের পক্ষে শতঃস্ফূর্তভাবে নৌকার মিছিল বের করা হয়। ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জের ২১৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নেতাকর্মীরা একযোগে মিছিল বের করা হয়েছে।

ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম সাইফউল্লাহ বাদল জানান, শামীম ওসমানের পক্ষে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের ২১৬টি নির্বাচনী কেন্দ্রের নেতাকর্মীরা একযোগে সতঃস্ফূর্তভাবে মিছিল বের করা হয়। বিশাল এ মিছিলে প্রমান করে শামীম ওসমানের বিজয় নিশ্চিত।

৮ ব্যবসায়ী সংগঠনের সমর্থন পেলেন সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমানকে সমর্থন জানিয়ে তাঁকে আবারো বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ভিত্তিক ৮টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

১০ ডিসেম্বর সোমবার সকালে চাষাঢ়ায় অবস্থিত হীরা মহলে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় ৮টি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা এমপি সেলিম ওসমানকে আগামী নির্বাচনে সমর্থন জানিয়ে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার আহবান জানান।

বাংলাদেশ নীট ওয়্যার ম্যানুফেকচারার্স ইমপোর্ট এন্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ), বাংলাদেশ হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ নীট এন্ড ডাইং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ পাট আড়ৎদার মালিক সমিতি, বাংলাদেশ নীটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পাল্স লেনটিল ক্রাশিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।

মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, দেশের অন্যান্য জায়গা থেকে আমরা নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ীরা তুলনামূলকভাবে অনেক ভালো আছি। দেশের আর কোথাও ৪৮টি ব্যবসায়ী সংগঠন একটি ছাতার নিচে থাকে না। তাই যেকোনো বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়। আর এ কারনেই সুষ্ঠু ব্যবসায়ীক পরিবেশ ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় ২০০০ সালে দলমত নির্বিশেষে সাদা পতাকা মিছিলের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জে হরতাল নৈরাজ্য বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীদের কাউকে চাঁদা দিতে হয়না। এমন অভিযোগ পেলে আমি সব সময় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আর সেই কারণেই নারায়ণগঞ্জের বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষ, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সভাকক্ষ, পুলিশ লাইনস স্কুল সহ নারায়ণগঞ্জে সহ সর্বত্র ব্যবসায়ীদের অবদান রয়েছে। তাই কোনো মহল বা চক্র যদি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে তাহলে সেলিম ওসমান তাকে ছাড় দিবে না।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি আরো বলেন, নিজের পরিবারের চেয়ে আমার ব্যবসায়ীদের সাথে আমার সম্পর্ক বেশি ঘনিষ্ঠ। তাই এখানে উপস্থিত বিভিন্ন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেতৃবৃন্দদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা অ্যাসোসিশেয়ন গুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত অফিসে পরিণত করবেন না।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দোয়ায় বেশ কিছু কাজ সম্পন্ন করতে পেরেছি এবং আরো কিছু কাজ সামনের দিনে করতে চাই। আপনারা পাশে থাকলে সমর্থন করলে সেই কাজগুলো শেষ করতে পারবো। ইতিমধ্যে আমার সাতটি ইউনিয়নে সাতটি স্কুল করতে পেরেছি। নারায়ণগঞ্জ কলেজ ১০ তলায় উন্নিত করতে পেরেছি। শ্রম উন্নয়ন ভবন নির্মাণ করতে পেরেছি। ভারতের সাথে যৌথভাবে একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল হচ্ছে যেখানে নারায়ণগঞ্জের শ্রমিকরা স্বল্প খরচে চিকিৎসা নিতে পারবে। তাই একটা কথা বরারবই বলে এসেছি আমি দলমত বুঝি না, উন্নয়ন বুঝি। যে কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবারো আপনাদের গোলামী করতে চাই। তাই লাঙল প্রতীক নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি। যা লাঙল তাই নৌকা। আমি বেশি ভোট চাই না। এখানে নেতৃবৃন্দ যারা উপস্থিত আছেন তাদের বলবো আপনারা আপনাদের মেম্বারদের সাথে কথা বলেন, পরিবারের সাথে কথা বলেন আপনাদের পরিবারের ভোটটুকুই আমার জন্য যথেষ্ট।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই এর সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বাংলাদেশ ইয়ার্ন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম সোলায়মান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, সহ সভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা পাবলিক প্রসিকিউটার অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, বিকেএমইএ এর সহ সভাপতি(অর্থ) হুমায়ন কবির খান শিল্পী, পরিচালক জিএম ফারুক, বাংলাদেশ পাট আড়ৎদার মালিক সমিতি, ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, বাংলাদেশে হোসিয়ারী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল আলম সজল, বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহ সভাপতি মো: মুসা, বাংলাদেশ নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের শামীম, বাংলাদেশ পাল্স লেনটিল ক্রাশিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতান উদ্দিন নান্নু, বাংলাদেশ নীট ডাইং ওনার্স অ্যাসোসিশেনের সিনিয়র সহ সভাপতি জিএম হায়দার আলী বাবলু সহ ব্যবসায়ী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

খোকা আপনি বাড়ি গিয়ে ঘুমান: বললেন মোশারফ হোসেন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে তার বায়ান্নটা ভোট নিয়ে বাড়িতে গিয়ে ঘুমাতে বলেছেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি এও মন্তব্য করেছেন যদি এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা সোনারগাঁয়ে ১০ পারসেন্ট ভোট পান তাহলে ধরে নেয়া হবে খোকাই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

১০ ডিসেম্বও সোমবার বিকেলে সোনারগাঁও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের নির্বাচনী সমাবেশে মোশারফ হোসেন বলেন, সারা সোনারগাঁয়ে আমাদের যে ভোট আছে সেই ভোটের ১০ পারসেন্ট ভোট যদি আপনি (লিয়াকত হোসেন খোকা) এই নির্বাচনে পান তাহলে আমরা মনে করবো আপনি সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য হইয়া গেছেন। আমার জানা মতে সোনারগাঁয়ে আপনার ১০ পারসেন্ট ভোটও নাই।

তিনি লিয়াকত হোসেন খোকাকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, তিনি প্রচারনা করেন সোনারগাঁয়ের সরকারী লোক ও পুলিশ প্রশাসন নাকি উনার পিছনে আছেন। কিন্তু উনার পিছনে তারা নাই যারা আছে জনগণের পিছনে। আর যদি তারা আপনার পিছনে থাকে তাহলে তারা সারা জীবনের জন্য ভুল করবেন আমি বলে দিলাম।

প্রশাসনকে তিনি বলেন, আমি আশা রাখি সরকারী প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে এ নির্বাচনে কাজ করবেন তাহলে আপনারা জনগণের প্রশংসা নিয়ে যাবেন। আপনি খোকা নারায়ণগঞ্জ থাইকা আইয়া বাতাস কইরা খাইয়া খাইয়া যাইবেন এটা চলবেনা।

তিনি আরো বলেন, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নে আমান সিমেন্ট নামে একটি কারখানা হয়েছে সেই কারখানার ট্রাক চলতে চলতে বিভিন্ন রাস্তা গর্ত হয়ে গেছে। বাঁশ ফেলে সিমেন্ট কোম্পানী থেকে টাকা নিয়ে কাজ না করে সেই টাকা মেরে খেয়েছেন। তার জবাব দিতে হবে। আর আপনার যেই ইচ্ছা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়া রাইতের বেলা সিল মাইরা বাক্স বইরা দিয়া পাশ করবেন সে চিন্তা বাদ দেন। এ সাপ নিয়া আমরা গত ৬০ বছর ধইরা খেলি। এই খেলা আমরা ৬০ বছর ধইরা খেলি। কোন সাপে কিভাবে ছোবল দেয় এইডা আমাদের জানা আছে। আপনাকে সহযোগিতা করবো যখন আপনে নিরপেক্ষভাবে ভোট নিবেন।

এমপি খোকাকে অনেকটা তিরস্কার করেই মোশারফ হোসেন বলেন, মান্নান সাব ভোটে দাড়িয়েছে। আপনে তো তার কাছে দিয়াও যাইতে পারবেন না। এই বায়ান্নটা ভোট লইয়া তিন লাখ ভোটের হিসাব কইরেনা। হেই চিন্তা বাদ দিয়া এখন বাড়ি গিয়া ঘুমান। আপনে যে সমস্ত কাজ করছেন তার হিসাব জনগণকে দিতে হইব।

এসময় তিনি সামবেশে আসা লোকদের অনুরোধ করে বলেন, আপনারা আজ থেকে বাড়িতে গিয়ে সিংহ মার্কাকে জয়ী করার জন্য কাজ করবেন। সিংহ মার্কা জয়যুক্ত হলে মনে করমু আপনারা জয়যুক্ত হয়েছেন। আমরা যখনই দায়িত্বে থাকি তার খেয়ানত করি না।

তিনি আরো বলেন, কায়সার হাসনাত এমপির দায়িত্বে থাকার সময় যদি তার কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আবার যদি দায়িত্বপায় সেক্ষেত্রে যদি কোন ভুল করে ভুল রাস্তায় চলে তাহলে আমাদের বলবেন আমরা সংশোধন করে দিবো।’ এসময় কায়সার হাসনাতও উপস্থিত ছিলেন।

ফতুল্লা কুতুবপুরে শামীম ওসমানের নৌকা প্রতীকের পক্ষে বিশাল মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমানে নির্বাচনী প্রচারনার নৌকা মার্কা প্রতীক পাওয়ায় ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নে একটি বিশাল মিছিল করেছে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনগণ।
সোমবার (১০ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগ নেতা লুৎফর রহমান স্বপন এবং সানোয়ার হোসেন জুয়েলের নেতৃত্বে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন ৮নং ওয়ার্ডে (শেয়াচর ভোট কেন্দ্রে) অনুষ্ঠিত হয় বিশাল এই নির্বাচনী মিছিল।
উক্ত মিছিলে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় এলাকার বিএম কামরুজ্জামান আবুল, রফিকুল ইসলাম রাহাত, মজিবর রহমান, সাইদুল হক, মোর্শেদ আলম, ছালাম, আবুল বেপারী, মাহতাব উদ্দিন, আনিসুজ্জামান অণু, সফিকুল ইসলাম চুন্নু, মায়া বেগম, সফিউদ্দিন, আবুল বাশার, আব্দুল খালেক মাদবর, সানোয়ার হোসেন শান্ত, সফিকুল হক শামীম, মিন্টু, মিজু, মানিক, আব্দুর রব, ওয়ালিউল্লা, মুক্তিযোদ্ধা মোল্লা আব্দুর রশিদসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থক ও স্থানীয় লোকজন।

শামীম ওসমানের আসনে প্রার্থী নয় ধানের শীষ ফ্যাক্টর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে এমপি শামীম ওসমান। কারন এ আসনে বিএনপির প্রার্থী নয় ধানের শীষ প্রতীকটাই ফ্যাক্টর হয়ে দেখা দিয়েছে। গিয়াসউদ্দীন নির্বাচনী মাঠে থাকলে যে সুযোগটি শামীম ওসমানের ছিল সেটা আর রইলো না। যদিও এখানে বিএনপির হেভিওয়েট বেশ কজন মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে কাউকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দিতে পারেনি বিএনপি।

আগের দিন ৮ ডিসেম্বর শনিবার ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। ৯ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মনির হোসাইন কাসেমী নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার চূড়ান্ত মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। ১০ ডিসেম্বর তিনি প্রতীক ধানের শীষ বরাদ্ধ পেয়েছেন।

মনোনয়ন জমা দিয়ে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাংবাদিকদের বলেন, এখানে বিএনপির অনেক ভাল ভাল প্রার্থী ছিল। কিন্তু জোটের স্বার্থে দেশের স্বার্থে সকলে গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করব। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হতে হবে। গণতন্ত্রের সুফল ঘরে ঘরে পৌছতে হবে। আমাদের সুযোগ দেয়া হলেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে, প্রমান করতে পারব জনগণ কাকে বেছে নেয়। অনেক দিন নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত ছিল।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির উপর থেকে সব স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। নির্বাচনী মাঠে আপনারা সকলকে দেখতে পাবেন। কারন আমি রক্তে মাংসে সবকিছুতে বিএনপির। আমি ইসলামী একটি সংগঠন করি। কিন্তু আমি বিএনপির।

তিনি বলেন, যদি ৮০ ভাগ নির্বাচন সুষ্ঠ হয় তাহলে আমি এখানে জয়ী হবে আশা করি।’ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান সহ কয়েকশ আলেম ওলামা। তিনিও মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক। পিছনে জামায়াত ইসলামী ও হেফাজত ইসলামের সমর্থন এই নেতার পক্ষে রয়েছে বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

এদিকে রবিবার বিকেলে এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দল ও দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবেও চিঠি পাননি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে তিনি বলেছিলেন তিনি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন। কিন্তু রবিবার তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সূত্রমতে, এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এবং বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তাদের মনোনিত করা হলেও চূড়ান্তভাবে বিএনপির দুই নেতাকে বাদ দিয়ে জোটের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনিত করা হয়।

এ আসনে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। তবে এখানে জোটের শরীক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের খবর পাওয়া যায়নি।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

কারাভোগ-পুলিশের পেটানি, বিএনপিতে জরিমানা!

মাজহারুল ইসলাম রোকন:

দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে রাজপথে পুলিশের এলোপাতারি প্যাদানি। তারপর টেনে হেছড়ে কাউকেবা চেংদোলা করে পুলিশ পিকআপে তুলে গ্রেপ্তার। তারপর মাসের পর মাস কারাবাস। প্রতিদিন আদালতের কাঠগড়ায় হাজিরা। ডজন ডজন মামলা। কারোবা সেই মামলা ৩০ ছাড়িয়ে। কিন্তু কমিটি গঠন ও নির্বাচনের সময় এরাই সবার আগে বাদ ও বাতিলের তালিকায়। এখন হয়তো উপলুব্ধির সময় যারা রাজপথে আন্দোলন করেন, যারা আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের পেটানি খান, যারা ডজন ডজন মামলায় আসামী হন, জেল খাটেন এবং মামলায় আসামী হয়ে বছর বছর বাড়ি-ঘর সংসার ছাড়া বালিশ ছাড়া বনে জঙ্গলে পথে ঘাটে রাস্তায় শুয়ে থাকেন তাদেরকে বিএনপি এখন রীতিমত জরিমানা আদায় করছে। এসব ত্যাগের বিনিময়ে তাদের কাছে এটাই জরিমানা যাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও মশিউর রহমান রনি এখন কারাগারে বসেও হয়তো ভাবছেন এ কারাভোগটাই সামনে তাদের যেনো বিফলে গেল।

নেতাকর্মীরা বলছেন- নারায়ণগঞ্জে সবচেয়ে বেশি রাজপথে সক্রিয় ছিলেন এটিএম কামাল। যিনি মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি। ২৪ ঘন্টা যিনি রাজনীতিতে মগ্ন। ৩৪টির মত মামলা তার ঘারে। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে অমানসিক লাঠি পেটার শিকার হয়েছিলেন তিনি। একাধিকবার গ্রেপ্তার হয়েছেন গত দশ বছরে। তার জীবন থেকে গত দশ বছরে বেশকবার জেলখানায় থেকে কয়েক বছর কেটে গেছে সেখানেই। কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবচেয়ে অযোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচিত হলেন এটিএম কামালই। নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। সোনারগাঁও বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর কিংবা চূড়ান্ত মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের ভুমিকা এটিএম কামালের দ্বারে কাছেও নাই। কিন্তু এটিএম কামালের টাকা নাই। তাই নমিনেশনের কাগজটিও তিনি দেখতে পারলেন না। সেখানে খন্দকার আবু জাফর আবার প্রতিবাদটা করেছেন কঠোর। তিনি প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জমাই দেননি। কারন তিনি আগেই বুঝে গেছেন পকেট গরম থাকা মান্নানের ঝুলিতেই যাবে দলের মনোনয়ন। তবে খন্দকার আবু জাফরের চেয়ে মান্নানের ভুমিকাও অনেক। এটিএম কামালকে জরিমানা করা হলো দিগুণ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব তৈমূর আলম খন্দকার সেই ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর। এর আগে তিনি সেক্রেটারি ছিলেন। ছিলেন আহ্বায়ক কমিটির দায়িত্বে। দলের কঠিন সময়ে একাই দলকে চালিয়ে নিয়ে আসছিলেন। ২০১১ সালে সিটি নির্বাচনে তাকে প্রার্থী করা হলেও নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে তাকে বসিয়ে দেয়া হয়। ২০১১ সালের জুনে তিনি শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি কোর্টের সামনে থেকে টেনে হেছড়ে তৈমূর আলমকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ। জেলও খাটেন তিনি। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর হরতাল অবরোধ সভা সমাবেশে রাজপথে ছিলেন তিনি। গত বছরের ১৩ ফেব্রুযারি জেলা বিএনপির সভাপতির পদ থেকে তৈমূরকে সরিয়ে কাজী মনিরকে সভাপতি করা হয়। কিন্তু কাজী মনির সেক্রেটারি থাকলেও তিনি রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন না। নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে তৈমূরকে বাদ দিয়ে মনোনয়ন তুলে দেয়া হয়েছে কাজী মনিরের হাতে। ফলে তৈমূরকে জরিমানা। এর আগেও জেল খেটেছিলেন ২৬ মাস।

এক সময় সংস্কারবাদীদের সঙ্গে গেলেও নারায়ণগঞ্জের ক্লিন ইমেজধারী রাজনীতিক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম জেল খেটেছেন ২১ দিন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে বন্দরে আন্দোলন করে জাগানি দিয়েছিলেন আবুল কালাম। পরবর্তীতে বেশকটি মামলার আসামীও হন তিন বারের সাবেক এই এমপি। যিনি টেবিল রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত থাকলেও এবার তিনি মাঠে নেমেছিলেন। তার ছেলে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউসার আশাও জেল খেটেছেন বেশকবার। পুলিশের বেদম মারধরের শিকারও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এখানে জোটের তলালিতে আবুল কালামও পেলেন না দলের মনোনয়ন। এটাই তার জরিমানা কেন তিনি মামলা খেলেন, কেন তিনি জেল খাটলেন, কেন তার ছেলেকে রাজনীতিতে নামিয়ে তাকেও জেল খাটালেন।

জরিমানা গুণেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। যদিও তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্তীর তালিকায় ছিলেন। নারায়ণগঞ্জের রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে যার ভুমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। জেলার মধ্যে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরাই যেমন সক্রিয় ছিলেন রাজপথে তেমনি মামলার বোঝাও তাদের ঘারেই বেশি। যুবদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে ধাবিয়ে বেড়িয়েছিলেন খোরশেদ। কিন্তু মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি থেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনেও খোরশেদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। রাজপথে নির্যাতনের শিকার যুবদলের নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে নিষ্ক্রিয়দের নেতৃত্বে যুবদল। খোরশেদ জোড়াজুড়ি করলে হয়তো তার সভাপতি পদটিও হারাতেন। তিনিও জেল খেটেছেন বহুবার। রাজপথে একাধিকার পুলিশের লাঠি পেটার শিকার হয়েছেন। বছর বছর ঘর সংসার ছেড়ে পালিয়ে বেড়িয়েছেন ফেরারী জীবনে। ফলে বড় ভাই তৈমূর আলম খন্দকারের মতই তাকেও করা হলো জরিমানা।

অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। তিনি জেলা বিএনপির সেক্রেটারি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে তিনি দলের মনোনয়ন চাইলেও প্রাথমিক তালিকায় তিনি মনোনয়ন পান। তবে এখানে জমিয়তের প্রার্থী দেয়া হয়। পাননি তিনিও। তার মনোনয়ন কিনেছিলেন দলের নেতাকর্মীরা যখন তিনি ছিলেন কারাগারে। জেল থেকে বের হয়ে সাক্ষাতকার দিলেও তিনি মনোনয়ন পাননি। ২০১২ সালে তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি থাকাকালীন জেল থেকে বের হলে তার সভাপতি পদে কেড়ে নিয়ে কমিটিই বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করে যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা নিরব। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পরে সিদ্ধিরগঞ্জে আন্দোলনে নামতে গেলে পুলিশের বেদম মারধরের শিকার হন মামুন মাহামুদ। বেগম খালেদা খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সোনারগাঁও থেকে গ্রেপ্তার হন। কয়েক মাস কারাভোগের তিনি জামিনে মুক্তি পান। এর কদিন পরেই আবারো নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে গ্রেপ্তার হন তিনি। এর আগের মামলায় আদালতে মামুন মাহামুদকে কোমরে দড়ি বেধে আনা হয়।

অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। তিনি নারায়ণগঞ্জের একজন আলোচিত আইনজীবী। সাত খুনের ঘটনার সময় তিনি জোড়ালো আন্দোলন করে দেশব্যাপী আলোচিত হয়ে ওঠেন। যার বিনিময়ে তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নও পান। সেই নির্বাচনে পরাজিত হলেও তিনি রাজনীতিতে থেমে থাকেননি। নেমে যান নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে। কাজ করতে থাকেন মাঠে। ৫ ফেব্রুয়ারি তিনি সাইনবোর্ড এলাকায় মিছিল করতে গিয়ে আরও দুই আইনজীবী নেতা সহ গ্রেপ্তার হন সাখাওয়াত। ১৮দিন কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। গত ৫ নভেম্বর তিনি নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া থেকে গ্রেপ্তার হন। ১১ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও কারাগারের সামনে আরেকটি মামলায় তিনি গ্রেপ্তার হন। এখনও তিনি রয়েছেন কারাগারে। তার পক্ষে নেতাকর্মীরা মনোনয়ন পত্র কিনেছিলেন। কিন্তু মনোনয়নের প্রাথমিক তালিকাতেও আসেনি তার নাম। ফলে তাকেও জেল খাটার দায়ে করা হয়েছে জরিমানা।

হ্যাট্রিকের পথে বাবু, আজাদে বাধা চাচা-ভাতিজা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে আবারো এমপি নির্বাচিত হয়ে হ্যাট্রিকের পথে বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এ আসনে বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নজরুল ইসলাম আজাদকে মনোনিত করা হলেও তার জয়ের সবচেয়ে বড় বাধা এ আসনে বিএনপি থেকে বঞ্চিত দুই হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও মাহমুদুর রহমান সুমন। আজাদের জয় ছিনিয়ে আনতে হলে এই নেতার পুরোদমে প্রত্যক্ষ সহযোগীতা ছাড়া সম্ভব নয়। যদিও ইতিমধ্যে দুজনের বাসায় গিয়ে দেখা করেছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। আড়াইহাজারের মানুষের কাছে সবচেয়ে অযোগ্য নজরুল ইসলাম আজাদ একজন ধাম্ভিক অহংকারী হিসেবে পরিচিত।

নেতাকর্মীরা বলছেন- আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জ-২ (আড়াইহাজার) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু সরব হয়ে ওঠলেও অনেকটা নিরবতাই পালন করছেন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া নজরুল ইসলাম আজাদ। আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে আজাদের সম্পর্ক নেই। মহানগরীর বিএনপি নেতাকর্মীরাই থাকছেন আজাদের চারপাশে। যে কারনে আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরাও আজাদ থেকে দুরে রয়েছেন। নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে হ্যাট্রিক জয় করতে চান বাবু। আওয়ামীলীগের দূরত্ব কমিয়ে সকলে এখন বাবুর পক্ষে। কিন্তু নজরুল ইসলাম আজাদের জয় পথেই বাধা হয়ে দাড়িয়েছে চাচা সাবেক তিনবারের এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন।

জানাগেছে, কেন্দ্রীয় লবিং কওে বিশেষ সুবিধার মাধ্যমে মনোনয়ন আনলেও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপি নেই আজাদের পক্ষে। আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির দশটি ইউনিয়নের প্রায় সবগুলো সভাপতিরা ছিল মাহমুদুর রহমান সুমনের বলয়ে। তাছাড়া তৃণমূল নেতাকর্মীদের অভিযোগ নজরুল ইসলাম আজাদ নাকি আড়াইহাজার উপজেলা দশটি ইউনিয়নের আজ অবধি পা ও রাখেননি। গত কয়েক বছরে অনেক ইউনিয়ন এলাকায় তিনি যাননি। কালাপাহাড়িয়া এলাকায় কখনই যাননি আজাদ। যেখানে বিপুল পরিমান ভোট। জেলা ও মহানগর পর্যায়ের কিছু নেতাকর্মী নিয়ে তিনি সবসময় বলয় তৈরি করে ঘুরাফেরা করতেন। ছাত্রদল, যুবদল, মূলদলের নেতাকর্মীরা আজাদের মাধ্যমে পদ ভাগিয়ে আনতে পদপদবী পাওয়ার আশায় রাত দিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন তার পিছনে। কিন্তু নেই আড়াইহাজারের নেতাকর্মীরা। একমাত্র বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন অনু ও তার স্ত্রী মহিলা দলের সভাপতি পারভীন আক্তারই রয়েছেন আজাদের পক্ষে। পারভীন আক্তার দুইবার মেয়র পদে নির্বাচনে করেও তিনি পাস করতে পারেননি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আড়াইহাজারের আইনজীবী বিএনপি নেতা বলেন, নজরুল ইসলাম আজাদকে বিএনপির দল মনোনয়ন প্রদান করলেও তিনি আমজনতার নেতা হয়ে ওঠতে পারেননি। যা নজরুল ইসলাম বাবু পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, আজাদ সবসময় দূরের মানুষকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, আপনারা লক্ষ্য করে দেখেন তার পিছনে যারা ঘুরাফেরা করে তারা কিন্তু বেশিরভাগ আড়াইহাজার উপজেলার বাহিরের লোক। তাছাড়া তিনি আড়াইহাজারের আইনজীবীদেরও তেমন মূল্যায়ন করেন না।

অন্যদিকে, আড়াইহাজারে সাবেক তিনবারের এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর মনোনয়ন না পাওয়ায় আজাদের ভরাডুবির আশংকা রয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তৃণমূল নেতাকর্মী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম মাহমুদুর রহমান সুমনের হাতে তুলে দিবেন ধানের শীষ প্রতীক। কিন্তু তা না করে দল যখন আজাদের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দিল তখন বিএনপি নেতাকর্মীরা হতাশ।

সর্বশেষ সংবাদ