বিজয় দিবস উপলক্ষে বন্দরে রচনা, আবৃতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উপলক্ষে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা, কবিতা আবৃতি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ই ডিসেম্বর) সকালে থানার মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগীতায় কবিতা আবৃতি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন বুনিয়াদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিয়া ইসলাম। ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে কারিমা ও নববী সাহা। এছাড়াও শেখ হাসিনা ও উন্নয়ন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে কামতাল হালুয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জিনিয়া আক্তার। ২য় ও ৩য় স্থান অধিকার করেছে যথাক্রমে কুড়িপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবিকুন নাহার জাফরিন ও ফরাজীকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আফরোজা কালাম মিতু।

অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসার রোমানা বেগম। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকতা, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার আবু সাঈদ তারেক, সহকারী শিক্ষা অফিসার তাসলিমা সুলতানা সপ্না, মদনগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিবুর রহমান, পশ্চিম বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মেহবুবা খাতুন, ঘারমোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আমেনা খাতুন, জাঙ্গাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পারভিন সিকদারসহ আরো অনেকে।

‘ওসমান পরিবারের জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল¬াহ সানু বলেছেন, নারায়ণগঞ্জেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। তৎকালীন সময়ে এই ওসমান পরিবারের হাত ধরেই এই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। তাই স্পটত বলা যায় যে, এই ওসমান পরিবারের জন্যই আজ বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। নতুবা আজ আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। আমাদের সৌভাগ্য যে আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তানকে এমপি হিসেবে পেয়েছি। তিনি শুধুই এমপি নন। তিনি ভবিষৎ প্রজন্মের কান্ডারী। যে কিনা নির্বাচিত হয়েও জনগণের কল্যাণে নিজের পকেট থেকে ১’শ কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। সত্যি পৃথিবীতে এরকম ২য় এমপি পাওয়াটা দূর্লভ।

আগামী শুক্রবার বন্দরের ঘারমোড়া ঈদগাহ এলাকায় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভাকে ঘিরে ঘারমোড়া-চরঘারমোড়া এলাকাবাসী আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের বিশ্বনবী ইসলামীয়া আলিম মাদরাসার হলরুমে সোমবার আয়োজিত এসভায় তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে এমপিরা নিজেদের ১৫ বা ৫ বৎসরের এমপিত্ব করেছেন। কিন্তু কি দিয়েছে আপনাদের? আমি মনে করি সেলিম ওসমান তার মেয়াদে যে উন্নয়ন করেছেন তা কোন এমপি আগামী ৫০ বছরেও তা করতে পারবেনা। তাই আসুন আমরা কোন দলকে নয় নিজেদের বিবেককে বিজয়ী করি।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাইনুদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া প্রধান। কলাগাছিয়া ইউনিয়ন ছাত্রসমাজের সভাপতি লিয়াকত আলীর সঞ্চলনায় এতে আরো উপস্থিত ছিলেন কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির নেতা নুর নবী ওসমানী, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য সচিব মোঃ আবু হানিফ, কলাগাছিয়া ইউপির সাবেক সদস্য ওলিউল¬াহ মেম্বার, বিশ্বনবী ইসলামীয়া আলিম মাদরাসার গভনিং বডির সভাপতি সরদার আবু তালেব মিয়া প্রমুখ।

সোনারগাঁয়ে বেগম রোকেয়া দিবসে ৫ নারীকে জয়িতা সম্মাননা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৮ উদযাপন উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর সোমবার সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে র‌্যালী, জয়িতাদের সম্মাননা ও অনুদানের চেক বিতরণের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

এ বছর সোনারগাঁ উপজেলায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য পাঁচ নারীকে জয়িতা নির্বাচন করা হয়। অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনের জন্য নারী হিসেবে বড় নগর গ্রামের মাহমুদা আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য বারদি বাজারের সুমী বনিক, সফল জননী আলগীরচর এলাকার মাসুদা বেগম, নির্যাতনে বিভীষিকার জন্য পৌরসভার কৃষ্ণপুরা গ্রামের ইবতিদা রুপা ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য আলমদি গ্রামের নাছিমা আক্তারকে ক্রেস্ট ও চেক তুলে দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সোনারগাঁ উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহিনুর ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নাছিমা আক্তার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহ আলম রুপম ও সোনারগাঁ লেডিস ক্লাবের সভাপতি নুসরাত ইসলাম প্রমুখ।

কারাগার থেকে বার্তা দিলেন সাখাওয়াত হোসেন খান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

গত ৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া থেকে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠান।

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত এই আইনজীবী গত ৫ নভেম্বর থেকে কারাগারে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করে আসছিলেন। কারাগারে থেকে তার পক্ষ থেকে মনোনয়ন পত্রও সংগ্রহ করেছিলেন তার নেতাকর্মীরা। কিন্তু এ আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে মনোনিত করা হয় নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরামকে। গত সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে মেয়র পদে নির্বাচন করে মেয়র আইভীর কাছে পরাজিত হন সাখাওয়াত হোসেন খান।

ওই মামলায় ১১ নভেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হলে নারায়ণগঞ্জ কারাগারের গেটের সামনে আবারো সাখাওয়াত হোসেন খানকে আটক করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। তারপর ফতুল্লা থানার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে তাকে সদর মডেল থানার মামলায় রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত দুইদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। ফতুল্লা মডেল থানার মামলায় সাখাওয়াতকে কারাগারে পাঠানো হলে সপ্তাহখানিক পর তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

১০ ডিসেম্বর সোমবার সাখাওয়াত হোসেন খানকে দেখতে চান বন্দর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহিন আহমেদ। শাহিন আহমেদ দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকমকে জানান, সাখাওয়াত হোসেন খান মহানগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়ী করার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সকল ভেদাভেদ ভুলে দলীয় প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন তার নেতাকর্মীদের। সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিন। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হলে মুক্ত হবে গণতন্ত্র।’

প্রতীক বরাদ্ধের পরেই সোনারগাঁয়ে প্রচারণায় মান্নান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

১০ ডিসেম্বর সোমবার প্রতীক বরাদ্ধের পরেই ধানের শীষের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। সোমবার তিনি প্রথম দিন সোনারগাঁয়ের কাচপুর এলাকায় কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালান।

এর আগে সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাত থেকে ধানের শীষ প্রতীক তুলে নেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। প্রতীক বরাদ্ধের পর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে ধানের শীষ হাতে নিয়ে নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিতে থাকেন।

এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙ্গল প্রতীকে রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। তবে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে সোনারগাঁবাসীর মাঝে আগ্রহ কম। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের সঙ্গেই লড়াই করতে হবে মান্নানকে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা ইতিমধ্যে কায়সার হাসনাতকে নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

তবে মহাজোটের প্রার্থী হলেও লিয়াকত হোসেন খোকা এখনও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে নামতে পারেননি। যে কারনে মহাজোটের প্রার্থী নিয়ে নির্বাচনের শুরুতেই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মহাজোটের এই প্রার্থী নিয়ে সামনে এগুতেও চাচ্ছেনা। যে কারনে মুল লড়াইটা দেখছেন কায়সার হাসনাতের সিংহ ও আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকের।

কায়সার হাসনাতের মার্কা সিংহ, টেনশনে লাঙ্গল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করতে যাচ্ছেন। ১০ ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাত থেকে সিংহ প্রতীক তুলে নেন কায়সার হাসনাত। ফলে এ আসনে মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার জয় নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এখানে লিয়াকত হোসেন খোকার জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। যে কারনে এখন সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একটাই পথ সেটা হলো সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া।

সোমবার প্রতীক বরাদ্ধের পর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা বলেছেন, বাঘের হাতেই সিংক মার্কা। এ আসনে অন্তত ১০ জনের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশি মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তারা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একাট্টা হননি। এখানে আনাড়ি ধাচের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ছড়াছড়ির কারনে আসনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া ছাড়া আওয়ামীলীগের কোন পথ খোলা নেই। মহাজোটের প্রার্থীকে নিয়েও ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে লড়াই করার মত অবস্থানও নেই। ফলে কায়সার হাসনাতকে নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবেও দূর্বল। বৃহত দল বিএনপির কারনে মুলত কায়সার হাসনাতের সঙ্গে তার লড়াইটাই দেখছেন তারা।

এখানকার নেতাকর্মীরা বলছেন, এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। এর আগে তিনি জাতীয়পার্টি থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হলেও এখানে ভোটের মাঠে তিনি ছিলেন না। ৫বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি এখানে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। যে কারনে এখানে কায়সার হাসনাত ও বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গেই হবে নির্বাচনের মুল লড়াই।

তবে এ আসনে ভোটের হিসেবে রয়েছে নানান হিসেবে নিকেশ। যেখানে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিপক্ষে রয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। এই দুইজন নেতা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা কম। যদিও খন্দকার আবু জাফর এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিলই করেননি। তিনি মান্নানের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানে রেজাউল করিমের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যার বেশির ভাগ ভোট চলে যাবে কায়সার হাসনাতের বাক্সে। কারন কায়সার যখন এমপি ছিলেন ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা কমই ছিল।

এখানে আওয়ামীলীগের একটি অংশ কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে এবং এমপি খোকা হলেন মহাজোটের প্রার্থী। সেই হিসেবে খোকার পক্ষেও থাকবে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। তবে তিন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে বেশি এ আসনে জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের কাছে কায়সার হাসনাত একজন সাদা মানুষ। কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তিনি আপীল করেও বৈধতা পাননি। তবে তিনি থাকবেন কায়সার হাসনাতের পক্ষেই। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।

এসব কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, এখানে মান্নানের জয় নিশ্চিত করতে হলে মাঠে নামতে হবে রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরকে। আবার এমপি খোকার জয় নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো। আবার রেজাউল ও জাফর পন্থীদের ভোট যদি এমপি খোকা টানতে পারেন সেক্ষেত্র খোকা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন। তবে সকল হিসেবে নিকেশে এগিয়ে থাকছেন কায়সার হাসনাত। যদিও নির্বাচন নাগাদ এমন পরিস্থিতির অনেক কিছুই উলোটপালট হতে পারে।

তবে কায়সার হাসনাত তার মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন কয়েক হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

সোনারগাঁয়ে বাঘের হাতে সিংহ মার্কা, বাঁচাও আওয়ামীলীগ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সিংহ প্রতীকে লড়াই করতে যাচ্ছেন। ১০ ডিসেম্বর সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়ার হাত থেকে সিংহ প্রতীক তুলে নেন কায়সার হাসনাত। ফলে এ আসনে মহাজোটের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার জয় নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এখানে লিয়াকত হোসেন খোকার জয়ের আশাই ছেড়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। যে কারনে এখন সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একটাই পথ সেটা হলো সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া।

সোমবার প্রতীক বরাদ্ধের পর সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মীরা বলেছেন, বাঘের হাতেই সিংক মার্কা। এ আসনে অন্তত ১০ জনের বেশি মনোনয়ন প্রত্যাশি মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু তারা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে একাট্টা হননি। এখানে আনাড়ি ধাচের মনোনয়ন প্রত্যাশিদের ছড়াছড়ির কারনে আসনটিতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সিংহ মার্কায় ভোট দেয়া ছাড়া আওয়ামীলীগের কোন পথ খোলা নেই। মহাজোটের প্রার্থীকে নিয়েও ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে লড়াই করার মত অবস্থানও নেই। ফলে কায়সার হাসনাতকে নিয়েই চিন্তা ভাবনা করছেন নেতাকর্মীরা। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ব্যক্তি হিসেবেও দূর্বল। বৃহত দল বিএনপির কারনে মুলত কায়সার হাসনাতের সঙ্গে তার লড়াইটাই দেখছেন তারা।

এখানকার নেতাকর্মীরা বলছেন, এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। এর আগে তিনি জাতীয়পার্টি থেকে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হলেও এখানে ভোটের মাঠে তিনি ছিলেন না। ৫বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি এখানে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। যে কারনে এখানে কায়সার হাসনাত ও বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গেই হবে নির্বাচনের মুল লড়াই।

তবে এ আসনে ভোটের হিসেবে রয়েছে নানান হিসেবে নিকেশ। যেখানে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিপক্ষে রয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। এই দুইজন নেতা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা কম। যদিও খন্দকার আবু জাফর এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিলই করেননি। তিনি মান্নানের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানে রেজাউল করিমের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যার বেশির ভাগ ভোট চলে যাবে কায়সার হাসনাতের বাক্সে। কারন কায়সার যখন এমপি ছিলেন ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা কমই ছিল।

এখানে আওয়ামীলীগের একটি অংশ কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে এবং এমপি খোকা হলেন মহাজোটের প্রার্থী। সেই হিসেবে খোকার পক্ষেও থাকবে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। তবে তিন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে বেশি এ আসনে জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের কাছে কায়সার হাসনাত একজন সাদা মানুষ। কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তিনি আপীল করেও বৈধতা পাননি। তবে তিনি থাকবেন কায়সার হাসনাতের পক্ষেই। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।

এসব কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, এখানে মান্নানের জয় নিশ্চিত করতে হলে মাঠে নামতে হবে রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরকে। আবার এমপি খোকার জয় নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো। আবার রেজাউল ও জাফর পন্থীদের ভোট যদি এমপি খোকা টানতে পারেন সেক্ষেত্র খোকা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন। তবে সকল হিসেবে নিকেশে এগিয়ে থাকছেন কায়সার হাসনাত। যদিও নির্বাচন নাগাদ এমন পরিস্থিতির অনেক কিছুই উলোটপালট হতে পারে।

তবে কায়সার হাসনাত তার মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন কয়েক হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

কাজী মনিরের হাতে ধানের শীষ, বিএনপিতে কলঙ্কজনক অধ্যায়!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকায় বিজেএমইএ এর প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন কাজী মনিরুজ্জামান মনির। মাসদাইরে তৈমূর আলমের বাসায় এক অনুষ্ঠানের পূর্বে ঘরোয়াভাবে নেতাকর্মীদের তিনি বলেছিলেন, বিএনপির কবর হয়ে গেছে, জানাযা বাকি। যা পরদিন মিডিয়াতে প্রকাশিত হলে দিপু ভুইয়ার লোকজন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করে তার কুশপুত্তালিকাদাহ করেছিলেন। তাকে জেল খাটতে হয়নি। পুলিশের লাঠি পেটা খেতে হয়নি। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন করতে হয়নি। অথচ বিএনপির কাছে সেই কাজী মনিরুজ্জামান মনিরই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন!

বিপরীত দিকে রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের লাঠি পেটা খেয়েছেন। জেল খেটেছেন। তারেক জিয়ার মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ২৬ মাস জেল খেটেছেন। জেলা বিএনপির রাজনীতিকে একাই সচল রেখেছিলেন। রাজপথে গুলি খেয়েছেন। সেই অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারই বিএনপির কাছে মনোনয়নের অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হলেন। ন্যাক্কাজনক এই দৃষ্টান্তের কারনে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করে দিল বিএনপি। ভবিষৎে রাজপথে নেমে আন্দোলন সংগ্রামে কেউ ঝাপিয়ে পড়ার চেয়ে পকেট ভারি মনোনয়নের জন্য নেমে পড়বেন সেটাই হবে তাদের জন্য শ্রেয়। রাজনীতি না করে তৈমূর আলম খন্দকার তার আইন পেশায় ফুলটাইম সময় ব্যয় করে অঢেল টাকার মালিক হয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের পকেট ভারি করে মনোনয়ন কিনে আনতে পারতেন। এমনটাই অভিমত নেতাকর্মীদের।

ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বলছেন- সেই ১৯৯৮ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৈমূর। ওইদিন নিহত হয়েছিলেন তার পাশেই দাড়িয়ে থাকা যুবদল কর্মী ইব্রাহীম। ১/১১ এর সময় তারেক জিয়ার পক্ষে যখন কেউ মামলা পরিচালনা করতে সাহস করে এগিয়ে যায়নি তখন মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন তৈমূর। তাকে নেয়া হয় রিমান্ডে। রিমান্ডে নিয়ে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে দেয়া হয় কয়েক হাজার বোল্ডের বাতির নিচে তৈমূর আলমের মাথা। তবুও স্বাক্ষী দেয়ার কথা মেনে নেয়নি। জেল খেটেছিলেন ২৬ মাস। বিএনপি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথে বুক উচিয়ে পুলিশের লাঠির সামনে, গুলির সামনে যিনি ছিলেন তিনি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পুলিশের লাঠির আঘাত পেঠে সহেছিলেন তিনি। গলা চেপে পুলিশ তাকে টেনে হেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। আবারও জেল খেটেছেন। কিন্তু যেখানে একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারকে ঘোষণা করা উচিত সেখানে আরো দুজন রাজপথের আন্দোলন বিমুখী নেতাদের মনোনয়ন চিঠি দেয়াটাও তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীদের জন্য ছিল অপমানজনক। যেখানে ওই দুই মনোনিত নেতাকে কখনও কারাগারে যেতে হয়নি। পুলিশের মার খেতে হয়নি। গুলি খেতে হয়নি। সবশেষ নাটক করে বাদ দেয়া হলো তৈমূরকে। মনোনয়ন ওঠলো কাজী মনিরের হাতে যিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিজেএমইএর প্রতিবাদ সভায় খালেদা জিয়াকে আগুন সন্ত্রাস সহ নানা ধরনের অভিযোগ করা হয়।

এমনকি গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরেও তার মুক্তির দাবিতে শ্লোগানই ধরতে হয়নি আজকে তাদের একজনকে দেয়া হলো ধানের শীষ। আবারো কুরবানী তৈমূর আলম খন্দকার।

নেতাকর্মীরা বলছেন- দলের প্রতি তৈমূর আলমের কমিটমেন্ট রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৈমূর।

নেতাকর্মীরা আরও বলেন- সাধারণ মানুষের নেতা তৈমূর আলমকে ২৪ ঘন্টা যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী সমর্থক ফোন করলে নিজ হাতে রিসিভ করে কথা বলেন তিনি। হাটে ঘাটে মাঠে রাস্তায় বসেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খাওয়া ধাওয়া করতে পারেন। অথচ কাজী মনির নেতাকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূ দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাত মুছে নেন। অনেক সময় তার হাতে টিস্যূ বা রুমাল রেখেই মানুষের সঙ্গে হাত মিলান। যে কারনে এখানে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৈমূর এগিয়ে। এখানে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়া মুলত নিজেরা দলের কমিটি ও কমিটির পদ পদবীতে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির নিস্ক্রিয় কর্মীদের পদে বসিয়ে নেতা বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু নির্বাচনী মাঠে তারা অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর শহর কেন্দ্রীয় একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভুইয়া। কাজী মনিরকে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও তাকে ছাড়াই বাকী কর্মসূচিগুলো পালন করেছে জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জে কাজী মনিরের পক্ষে নেতাকর্মীরা থাকলেও দিপু ভুইয়ার এমপি নির্বাচন করার মত অবস্থান নেই।

অন্যদিকে তৈমূর সম্পর্কে নেতাকর্মীরা বলছেন- বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজ জিম্মায় রূপগঞ্জের কয়েকশ মানুষকে বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে তিনি জেল খেটেছেন ২৬ মাস। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। যে কারনে রূপগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার হাটা শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সমাবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। তৈমূর নেতাকর্মীদের বলেছিলেন আবারো কোন দায়িত্ব পেলে কয়েক হাজার মানুষকে তিনি চাকুরী দিবেন।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন একমাত্র তিনিই। কাজী মনির জেলা বিএনপির সেক্রেটারি পদে আসলেও তিনি হয়ে যান নিষ্ক্রিয়। ২০১১ সালের ৬ জুন তৈমূর শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আতিয়ার রহমানের লাঠির মার পিঠে নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে থেকে তাকে অপমানজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময়কার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামালউদ্দীন তৈমূরের গলা চেপে ধরেন। তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরে টেনেহেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈমুর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। ওসি কামাল উদ্দীনকে এএসপি পদে পদোন্নতি করা হয়েছে। তৈমূর আলম খন্দকার পুলিশি নির্যাতন, হামলা মারধর ও কারাভোগ করলেও রহস্যজনক কারনে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়াকে জেল খাটতে হয়নি এবং রাজপথে পুুলিশের মার খেতে হয়নি।

রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার একজন আমজনতার নেতা, মেহনতি, খেটে খাওয়া, দিন মজুরের নেতা। তৈমূর আলমই পারতেন এ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না এমন নেতাকে মানুষ ভোট দিবে না। যারা মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূ দিয়ে হাত মুছেন এমন নেতাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিবে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলমের কাছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের গুরুত্ব বেশি। তিনি রিক্সা চালক ভ্যান চালকদের নেতা ছিলেন। ছিলেন কাজের বুয়া ঝিদের নিয়েও সংগঠন করেছেন। রয়েছেন বধির সংস্থার চেয়ারম্যান। কয়েক যুগ ধরে অন্ধ প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করে আসছেন। লুঙ্গি পড়া খেটে মানুষকেও তৈমূর আলম খন্দকার তার গাড়িতে ডেকে তুলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জের কোন সাধারণ মানুষকে দেখলেও গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তুলে নেন। কারো সাথে একবার কথা হলে কয়েক বছর পর দেখলেও তৈমূর নাম সহ চিনতে পারেন। গভীর রাতে ফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন নিজে। এসব নিয়ে অনেক নেতা নাক ছিটকালেও তৈমূর কর্ণপাত করেন না।

রূপগঞ্জের খাদুন গ্রামবাসীর পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা যখন মানুষের কৃষি জম দখলে নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছিল তখন আন্দোলনে নামেন তৈমূর আলম। ছিলেন না কাজী মনির কিংবা দিপু ভুইয়া। গ্রামবাসীর পক্ষে মামলার পরিচালনা ও আন্দোলন করার দায়ে তিনি মামলার আসামীও হয়েছিলেন। তবুও ভুমিদস্যুদের সাথে কোন আপোষ করেননি। কিন্তু সেই তৈমূর আলম খন্দকারই বিএনপির কাছে অযোগ্য! তার গলায় বারবার কড়াত দিয়ে ছুরি চালানোর মত করে জবাই করা হচ্ছে তার রাজনীতি।

৫টি আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের চূড়ান্ত মনোনয়ন দাখিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা চূড়ান্ত মনোনয়ন দাখিল করেছেন। ৯ ডিসেম্বর দুপুরে প্রার্থীরা তাদের চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়ার হাতে জমা দেন। নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে তিনটি আসনে প্রার্থী দিলেও একটি আসনে ছেড়ে দিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ও আরেকটি আসনে নাগরিক ঐক্যকে। এদিন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে বিএনপির বিদ্র্রোহী প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিলেও নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি।

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির। প্রাথমিকভাবে চিঠি পেলেও চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন পাননি বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খান। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন। তারা আপিলেও প্রার্থীতা ফিরে পাননি।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। বিএনপির মনোনয়ন প্রাথমিকভাবে পেলেও বঞ্চিত হয়েছেন চাচা ভাতিজা বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন। নির্বাচনে রয়েছেন কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। তাকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। তবে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও সোনারগাঁও বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেননি। এখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌস। তবে বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে মনোনিত হওয়া মোশারফ হোসেন ও এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমীর মনোনয়ন আপীলেও বাতিল করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জেলার সভাপতি মুফতি মনির হোসেন কাসেমী। প্রাথমিকভাবে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। এখানে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন বিএনপির বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে নির্বাচনে রয়েছেন জাতীয়পার্টির নেতা সালাউদ্দীন খোকা মোল্লা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীন।

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয়পার্টির প্রার্থী বর্তমান এমপি একেএম সেলিম ওসমান। তাকেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি লাঙ্গল প্রতীকে লড়বেন। এখানে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা সাবেক এমপি এসএম আকরাম। এখানে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন বিএনপির সাবেক এমপি আবুল কালাম ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। তবে খোরশেদের মনোনয়ন বাতিল হলে তিনি আপিল করেননি। এখানে নির্বাচনে রয়েছেন খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হাফেজ কবির হোসেন, সাম্যবাদী দলের প্রার্থী সাঈদ আহমেদ, বাসদের প্রার্থী আবু নাঈম খান বিপ্লব, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মন্টু চন্দ্র ঘোষ, ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী বাহাদুর শাহ, জাকের পার্টির প্রার্থী হাসান জামাল, কল্যাণ পার্টির প্রার্থী আফতাব ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আবুল কালাম।

কায়সার বিএসএস, বাকিরা পাঁচ ক্লাস পাস

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে শিক্ষার দিকেও এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি বিএসএস পাশ এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী।

প্রার্থীদের মধ্যে স্বশিক্ষিত মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান। হলফনামায় তারা দুজনই তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন স্বশিক্ষিত ও পেশায় ব্যবসায়ী।

এছাড়াও এ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা মোঃ ছানাউল্লাহ নূরী ও বাংলাদেশ কমিউনিষ্ট পার্টির আঃ সালাম বাবুল তারাও হলফনামায় শিক্ষাগত যোগ্যতা লিখেন স্বশিক্ষিত।

এদিকে আসনের বিভিন্ন স্থানের ভোটাররা জানান, সৎ, উচ্চ শিক্ষিত ও চরিত্রবান নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা ভোটারদের কাছে থাকলেও দলগুলি তা আমলে নেয়নি। দল এবার বেছে নিয়েছেন টাকা ও পেশী শক্তিধর প্রার্থীদের। এসব প্রার্থীরা প্রাইমেরী স্কুলের গন্ডি পেরুতেও পারেননি।

এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা এবং তাদের চরিত্র ও শিক্ষাকে ভোটাররা প্রাধান্য দিবেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা কোনে জোটের সঙ্গে যুক্ত এ বিবেচনা ভোটের ব্যাপারে কোনো প্রভাব পরবে না। ফলে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি শিক্ষাগত দিক থেকেও সোনারগাঁয়ে কায়সার হাসনাত এগিয়ে।

সর্বশেষ সংবাদ