ভবিষৎে ভুলত্রুটি হবে না, সেলিম ওসমানের প্রতিশ্রুতি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিগত সাড়ে ৪ বছরে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে এলাকার উন্নয়ন কাজে অতীতের করা ভুল ত্রুটির ক্ষমা চাইতে জনগণের সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছেন বলে দাবি করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। সেই সাথে ভবিষ্যতে এমন ভুল ত্রুটি আর হবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।

৯ ডিসেম্বর বিকেলে বন্দরের মদনপুর কেওঢালা এলাকায় ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন কথা বলেন। আলোচনা সভায় তিনি মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ সালাম এর মায়ের আত্মা মাগফেরাত ও বেহেস্ত কামনা করেন।

সকলের উদ্দেশ্যে সেলিম ওসমান বলেন, অতীতে কাজ করতে গিয়ে আমার ছোট ছোট ভুল ভ্রান্তি হয়েছে। আমি এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধম্যে উন্নয়ন কাজ গুলো করেছি। এখানে সম্পূর্ন ভুলটা ছিল আমার। আমি যদি তিন মাস অন্তর অন্তর প্রতিটি ওয়ার্ডে গিয়ে আপনাদের সাথে বসে আলোচনার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ গুলো করতাম তাহলে হয়তো এখন আরো অনেক বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। যে উন্নয়ন কাজ গুলো অনেক আগেই সম্পন্ন হয়েছে সেগুলো এখন এই সময়ে এসে বলতে লজ্জাবোধ করছি। আজকে আজ আমি আপনাদের সামনে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়েছি। আমি আপনাদের কাছে আরো একবার আপনাদের গোলামী করার সুযোগ চাই। যদি আপনারা আমাকে সেই সুযোগটি দেন তাহলে ভবিষ্যতে সরকারী উন্নয়নের পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে উন্নয়ন কর্মকান্ডও অব্যাহত থাকবে। আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে ভাল রাখতে যা যা করনীয় আছে তার সবটুকুই আমি করবো। শনিবারের মত আজকেও নিজের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে এলাকার সাধারণ মানুষকে বিগত দিনের ভুল ভ্রুটি সম্পর্কে বলার অনুরোধ জানিয়ে মঞ্চে আহবান জানান এমপি সেলিম ওসমান।

এসময় মঞ্চে ১০৮ বয়সী বৃদ্ধ ভাষা সৈনিক জবেদ আলী মঞ্চে এসে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি আপনার দাদা খান সাহেব ওসমান আলীর নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। উনিই আমার গুরু। ওসমান সাহেবের বংশের মানুষ আপনি আপনাকে দেখার অনেক ইচ্ছা আমার ছিল। আজকে সামনে দেখে অনেক খুশি হয়েছি। আপনি বন্দরে যে উন্নয়ন করেছেন তা স্বাধীনতার পর আমি আর দেখি না।

প্রতি উত্তরে এমপি সেলিম ওসমান বলেন আমি নিজেকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে করছি উনি আমার দাদার সাথে আন্দোলন করেছেন ১০৮ বছর বয়সে এখানে দাড়িয়ে উন্নয়নের প্রশংসা করছেন এর থেকে সৌভাগ্যের আর কি হতে পারে।

এছাড়াও অত্র এলাকায় স্থানীয় একজন যুবক এমপি কাছে দাবী রেখে বলেন, আমি এই এলাকার সন্তান। এম.এ পাস করে এখনো বেকার। আমাদের এলাকায় অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উনারা স্থানীয়দের চাকরি দেন না। বাইরের জেলা থেকে লোক এসে এখানে চাকরি করছে আর আমরা স্থানীয়রা বেকার বসে আছি। উনারা যাতে স্থানীয়দের চাকরি করার সুযোগ দেন সেই ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য আপনার কাছে দাবী রাখছি। প্রতিউত্তরে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, শুধুমাত্র সাটির্ফিকেট দিয়ে এখন চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়। পাশাপাশি অভিজ্ঞতা ও মেধার প্রয়োজন। আমার আপসোস হয় আমরা বিকেএমইএ এর মাধ্যমে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার শিক্ষিত যুবক-যুবকের চাকরির ব্যবস্থা করেছি। অথচ আমাদের স্থানীয়রা সেগুলোর খোঁজ রাখেন না প্রশিক্ষন নেন। নারায়ণগঞ্জে স্থানীয়রা বিনিয়োগ করবেন কিন্তু স্থানীয়রা চাকরি করতে পারবেন না সেটা হয়না। নিজেকে যোগ্যতা সম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে তাহলে একজন মানুষও বেকার থাকবেন না।

মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ মোহসীন মিয়া, মদনপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আবুল খায়ের বাশার, সাধারণ সম্পাদক গোলাপ হোসেন, জেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী ড. শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, জেলা মহিলা পার্টির সভানেত্রী আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, মহানগর যুবসংহতির সাধারণ সম্পাদক রিপন ভাওয়াল, মহানগর যুবলীগ নেতা শামসুল হাসান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বন্দর উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ছালিমা হোসেন শান্তা, সাধারণ সম্পাদক সখিনা বেগম, বন্দর উপজেলা ছাত্র সমাজের সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে মানব কল্যাণ পরিষদের র‌্যালী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে নারায়ণঞ্জে ৯ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মানব কল্যাণ পরিষদ একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করে। বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক এর আহ্বানে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এনজিও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক সচেতনতায় র‌্যালীতে অংশ নেয়।

বাংলাদেশ এনজিওস নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার দাসের তত্ত্বাবধানে মানব কল্যাণ পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সংগঠনের ব্যানারে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের লাইব্রেরিয়ান এসএম মোশারফ হোসেন, আঞ্জুমান মাতৃছায়া সংস্থার সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন লিটন, অক্ষয় নারী সংঘের সভানেত্রী কাজল বেগম, কারার নির্বাহী পরিচালক মনিরুল ইসলাম মনির ও বন্দর প্রতিবন্ধী সংস্থার পরিচালক শিমু, ইউনেস্কো ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জের সেক্রেটারী কামরুজ্জামান রনি, মানব কল্যাণ পরিষদ মহাসচিব মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রচার ও দপ্তর সচিব জান্নাতুল ফেরদৌস, মডেল হৃদয়, মোঃ সোলায়মান, মাহফুজা আক্তার লাবনী ও মরিয়ম আক্তার মীম প্রমুখ।

র‌্যালী পূর্ব সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে যা আমাদের সমাজে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। সামাজিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধি করে সমাজকর্মীদের এগিয়ে যেতে হবে। সামাজিক কাজকর্ম করতে গেলে বাধা বিপত্তি আসবেই, তাই বলে থেমে থাকা যাবে না। দেশের সার্বিক উন্নয়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। র‌্যালীটি চাষাঢ়া শহীদ মিনার থেকে বঙ্গবন্ধু রোডের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গলাচিপা মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

আমার রক্তে মাংসে বিএনপি: মনির হোসাইন কাসেমী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মুফতি হোসাইন কাসেমী বলেছেন, আমার রক্তে মাংসে সবকিছুতেই বিএনপি। আমি আলেম হিসেবে একটি ইসলামী সংগঠনের রাজনীতি করি।

এ আসনে আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী।

মনোনয়ন জমা দিয়ে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাংবাদিকদের বলেন, এখানে বিএনপির অনেক ভাল ভাল প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু জোটের স্বার্থে দেশের স্বার্থে সকলে গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করব এবং দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হতে হবে। গণতন্ত্রের সুফল ঘরে ঘরে পৌছতে হবে। আমাদের সুযোগ দেয়া হলেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে, প্রমান করতে পারব জনগণ কাকে বেছে নেয়। অনেক দিন নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত ছিল।’

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির উপর থেকে সব স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। নির্বাচনী মাঠে আপনারা সকলকে দেখতে পাবেন। কারন আমি রক্তে মাংসে সবকিছুতে বিএনপির। আমি আলেম হিসেবে ইসলামী একটি সংগঠনের রাজনীতি করি। কিন্তু আমিও বিএনপির।

তিনি বলেন, যদি ৮০ ভাগ নির্বাচন সুষ্ঠ হয় তাহলে আমি এখানে জয়ী হবে আশা করি।’ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান সহ কয়েকশ আলেম ওলামা। তিনিও মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক। পিছনে জামায়াত ইসলামী ও হেফাজত ইসলামের সমর্থন এই নেতার পক্ষে রয়েছে বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে এমপি শামীম ওসমান। গিয়াসউদ্দীন নির্বাচনী মাঠে থাকলে যে সুযোগটি শামীম ওসমানের ছিল সেটা আর রইলো না। যদিও এখানে বিএনপির হেভিওয়েট বেশ কজন মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে কাউকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দিতে পারেনি বিএনপি। তবে ধানের শীষ প্রতীকের এই প্রার্থীর সঙ্গে শামীম ওসমানের লড়াইটা হবে সেটাই দেখছেন নেতাকর্মীরা।

আগের দিন ৮ ডিসেম্বর শনিবার ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। ৯ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মনির হোসাইন কাসেমী নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার চূড়ান্ত মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

এদিকে রবিবার বিকেলে এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দল ও দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবেও চিঠি পাননি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে তিনি বলেছিলেন তিনি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন। কিন্তু রবিবার তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সূত্রমতে, এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এবং বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তাদের মনোনিত করা হলেও চূড়ান্তভাবে বিএনপির দুই নেতাকে বাদ দিয়ে জোটের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনিত করা হয়।

এ আসনে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। তবে এখানে জোটের শরীক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের খবর পাওয়া যায়নি।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

ফেভারিট কায়সার, শঙ্কায় মান্নান ও বিপাকে খোকা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিনে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেননি। ফলে এ আসনের মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা বেশ বেকায়দায় পড়েছেন। এর আগে তিনি বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি হলেও এখানে ভোটের মাঠে তিনি ছিলেন না। ৫বছর এমপি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনি এখানে অবস্থান পাকাপোক্ত করতে পারেননি। যে কারনে এখানে কায়সার হাসনাত ও বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গেই হবে নির্বাচনের মুল লড়াই।

তবে এ আসনে ভোটের হিসেবে রয়েছে নানান হিসেবে নিকেশ। যেখানে বিএনপির প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানের বিপক্ষে রয়েছেন এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিম ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। এই দুইজন নেতা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে না থাকলে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা কম। যদিও খন্দকার আবু জাফর এখানে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিলই করেননি। তিনি মান্নানের মনোনয়নের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এখানে রেজাউল করিমের বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যার বেশির ভাগ ভোট চলে যাবে কায়সার হাসনাতের বাক্সে। কারন কায়সার যখন এমপি ছিলেন ওই সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতনের মাত্রা কমই ছিল।

এখানে আওয়ামীলীগের একটি অংশ কায়সার হাসনাতের সঙ্গে দূরত্ব রয়েছে এবং এমপি খোকা হলেন মহাজোটের প্রার্থী। সেই হিসেবে খোকার পক্ষেও থাকবে আওয়ামীলীগের একটি অংশ। তবে তিন প্রার্থীর মধ্যে কায়সার হাসনাতই সবচেয়ে বেশি এ আসনে জনপ্রিয়। সাধারণ মানুষের কাছে কায়সার হাসনাত একজন সাদা মানুষ। কায়সার হাসনাতের চাচা মোশারফ হোসেনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও তিনি আপীল করেও বৈধতা পাননি। তবে তিনি থাকবেন কায়সার হাসনাতের পক্ষেই। তিনি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়নও পেয়েছিলেন।

এসব কারনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, এখানে মান্নানের জয় নিশ্চিত করতে হলে মাঠে নামতে হবে রেজাউল করিম ও খন্দকার আবু জাফরকে। আবার এমপি খোকার জয় নিশ্চিত করার সুযোগ ছিল কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানো। আবার রেজাউল ও জাফর পন্থীদের ভোট যদি এমপি খোকা টানতে পারেন সেক্ষেত্র খোকা কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবেন। তবে সকল হিসেবে নিকেশে এগিয়ে থাকছেন কায়সার হাসনাত। যদিও নির্বাচন নাগাদ এমন পরিস্থিতির অনেক কিছুই উলোটপালট হতে পারে।

তবে কায়সার হাসনাত তার মনোনয়ন পত্র দাখিলের দিন কয়েক হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়ে বলেছিলেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা।

গিয়াসের প্রত্যাহার, চ্যালেঞ্জে শামীম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামীলীগের আলোচিত নেতা এমপি একেএম শামীম ওসমানের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীকে লড়াই করবেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে চ্যালেঞ্জের মুখে এমপি শামীম ওসমান। গিয়াসউদ্দীন নির্বাচনী মাঠে থাকলে যে সুযোগটি শামীম ওসমানের ছিল সেটা আর রইলো না। যদিও এখানে বিএনপির হেভিওয়েট বেশ কজন মনোনয়ন প্রত্যাশিদের মধ্যে কাউকে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন দিতে পারেনি বিএনপি।

আগের দিন ৮ ডিসেম্বর শনিবার ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে ২০ দলীয় জোটের শরীক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়। ৯ ডিসেম্বর রবিবার দুপুরে মনির হোসাইন কাসেমী নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে তার চূড়ান্ত মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

মনোনয়ন জমা দিয়ে মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী সাংবাদিকদের বলেন, এখানে বিএনপির অনেক ভাল ভাল প্রার্থী ছিল। কিন্তু জোটের স্বার্থে দেশের স্বার্থে সকলে গণতন্ত্র রক্ষায় কাজ করব। দেশে গণতন্ত্রের চর্চা হতে হবে। গণতন্ত্রের সুফল ঘরে ঘরে পৌছতে হবে। আমাদের সুযোগ দেয়া হলেই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ণয় করতে হবে, প্রমান করতে পারব জনগণ কাকে বেছে নেয়। অনেক দিন নির্বাচন হয়নি। মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত ছিল।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিএনপির উপর থেকে সব স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। নির্বাচনী মাঠে আপনারা সকলকে দেখতে পাবেন। কারন আমি রক্তে মাংসে সবকিছুতে বিএনপির। আমি ইসলামী একটি সংগঠন করি। কিন্তু আমি বিএনপির।

তিনি বলেন, যদি ৮০ ভাগ নির্বাচন সুষ্ঠ হয় তাহলে আমি এখানে জয়ী হবে আশা করি।’ এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজত ইসলামের প্রধান সমন্বয়ক মাওলানা ফেরদৌসুর রহমান সহ কয়েকশ আলেম ওলামা। তিনিও মহানগর জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক। পিছনে জামায়াত ইসলামী ও হেফাজত ইসলামের সমর্থন এই নেতার পক্ষে রয়েছে বলেও অনেকে জানিয়েছেন।

এদিকে রবিবার বিকেলে এ আসনে বিএনপির বিদ্রোহী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। গিয়াসউদ্দীনের পক্ষে অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মাসুম মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, দল ও দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় নির্দেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন তার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

২০ দলীয় জোট এ আসনটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে ছাড় দেয়। ফলে এ আসনটিতে বিএনপির দুইজনকে মনোনিত করা হলেও তাদের মধ্যে কাউকে চূড়ান্তভাবে মনোনিত করা হয়নি। এমনকি প্রাথমিকভাবেও চিঠি পাননি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তবে তিনি বলেছিলেন তিনি নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকবেন। কিন্তু রবিবার তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা এলাকা নিয়ে গঠিত নারায়ণগঞ্জ-৪ সংসদীয় আসন। এখানে আওয়ামীলীগ মনোনয়ন পত্র দাখিল করে পরবর্তীতে শামীম ওসমানকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ।

সূত্রমতে, এ আসনে বর্তমান এমপি আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান এবং বিএনপির মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মুহাম্মদ শাহআলম ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ছিলেন। প্রাথমিকভাবে তাদের মনোনিত করা হলেও চূড়ান্তভাবে বিএনপির দুই নেতাকে বাদ দিয়ে জোটের নেতা মুফতি মনির হোসাইন কাসেমীকে মনোনিত করা হয়।

এ আসনে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিমাংসু সাহা, ন্যাপের প্রার্থী ওয়াজিবুল্লাহ অজু, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের প্রার্থী সেলিম মাহামুদ, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী ইকবাল মাহামুদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্র্টির প্রার্থী মাহামুদ হোসেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম দেলোয়ার, কেন্দ্রীয় জাতীয়পার্টির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন খোকা মোল্লার ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের প্রার্থী জসিমউদ্দীনের মনোনয়ন গত ২ ডিসেম্বর বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। তবে এখানে জোটের শরীক দলের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের খবর পাওয়া যায়নি।

নেতাকর্মীদের সূত্রে, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এখানে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন একেএম শামীম ওসমান। এর আগের নির্বাচনে যখন শুধুমাত্র ফতুল্লা থানা এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন ছিল ওই নির্বাচনে শামীম ওসমানের চাচী চলচিত্র নায়িকা সারাহ বেগম কবরী এখানে এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ছিলেন মুহাম্মদ শাহআলম।

এ আসনে আওয়ামীলীগ থেকে এমপি শামীম ওসমান ছাড়াও নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিকলীগের শ্রম কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ, কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদা হাসনাত ও আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য কামাল উদ্দীন মৃধা। কিন্তু এখানে শামীম ওসমানকে এককভাবে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।

অন্যদিকে এ আসনের সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। তিনি সাংবাদিকদের কাছে অনেকটা জোর দিয়েই বলেছিলেন, আমি নির্বাচনে থাকছি এটাই সত্য।’ তিনি ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন পূর্বে বিএনপিতে যোগদান করে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। প্রথমে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়াকে দেয়া হলেও তার মনোনয়ন বাতিল করে শামীম ওসমানকে পরাজিত করতে আওয়ামীলীগ থেকে আসা গিয়াসউদ্দীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। ওই সময় শামীম ওসমানের সঙ্গে রাজনীতি করে আসা গিয়াসউদ্দীন শামীম ওসমানকেই পরাজিত করেন। পরবর্তীতে শামীম ওসমান দেশ ছেড়ে চলে যান এই গিয়াসের ভয়েই। গিয়াসউদ্দীন ৯ম সংসদ নির্বাচনে কারাগারে থাকায় মনোনয়ন পাননি।

এখানে ৯ম সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম। তিনিও কল্যাণ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিএনপিতে এসে মনোনয়ন পেলেও তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী সারাহ বেগম কবরীর কাছে পরাজিত হন। তবে এ আসনে গিয়াসউদ্দীন ও শাহআলম দুজনের কেউই গত দশ বছরে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন না। শাহআলমের নেতাকর্মীরা দাবি করেন শাহআলম কেন্দ্রীয় বিএনপির ডোনার এবং গিয়াসের নেতাকর্মীরা দাবি করেন গিয়াস যখন এমপি ছিলেন তখন যা কামিয়েছেন তার সিংহভাগ হাওয়া ভবনে পাঠিয়েছিলেন। যে কারনে এইদুজনের কেউই রাজপথে সক্রিয় ছিলেন না। একটি মানববন্ধনেও ছিলেন না এই দুই নেতা।

তবে মনোনয়ন পাওয়া জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ একাধিকবার রাজপথে পুলিশের লাঠিপোটার শিকার হয়েছিলেন। বেশকবার তিনি মাসের পর মাস কারাভোগ করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তিন মাস কারাভোগ শেষে জামিনে বের হয়েই মনোনয়ন বোর্ডের কাছে সাক্ষাতকার দিতে যান। এ আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু ও পারভেজ আহমেদ।

গত নির্বাচনের আগে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে বেশ প্রচারণায় ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক পৌর প্রশাসক আবদুল মতিন প্রধান। মতিন প্রধান ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগে যোগদান করেছেন। সেন্টু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেননি। তিনি এখন শামীম ওসমানের পক্ষে ভোট চাচ্ছেন নিয়মিত। তিনি একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, শামীম ওসমান উন্নয়ন করে জনগণের পীর হয়ে গেছেন।’ এ নির্বাচনেও সেন্টু মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

সেলিম ওসমানের সভামঞ্চে বিএনপির সহ-সভাপতি, পেলেন প্রসংশা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের সভায় যোগদান করেছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল। যে কারনে এমপি সেলিশ ওসমান তার ব্যাপক প্রসংশাও করেছেন। তবে এর আগে সেলিম ওসমানের জনসভায় যোগদান করে আতাউর রহমান মুকুল সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। সেলিম ওসমান নির্বাচনের ঘোষণা দেয়া মুকুল সেলিম ওসমানকে ধন্যবাদ জানাতে ছুটে যান সেলিম ওসমানের কার্যালয়ে। তবে প্রার্থী ঘোষণার পর এই প্রথম সেলিম ওসমানের সভামঞ্চে ওঠলেন বিএনপি নেতা মুুকুল।

যে কারনে এমপি সেলিম ওসমান আতাউর রহমান মুকুলকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের মধ্যে এমন সুসম্পর্ক যেন অটুট থাকে সকলের কাছে সেই দোয়া কামনা করেন। সভায় আতাউর রহমান মুকুল এসেছেন এতেই সেলিম ওসমান খুশি হয়েছেন বলে ঘোষণা দেন এবং উনাকে আজকে কোন বক্তব্য দিতে হবেনা বলে মন্তব্য করেন। কারন ২ নভেম্বর ময়মনসিংহপট্টি মাঠে বন্দরের সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে ‘দল যার যার সেলিম ওসমান সবার’ স্লোগানে আয়োজিত সমাবেশে আতাউর রহমান মুকুলই নির্বাচনে প্রার্থী হতে সেলিম ওসমানকে সব থেকে বেশি চাপ দিয়েছিলেন তাই নতুন করে আর কিছু বলার প্রয়োজন নেই। কারন যারা আমার সাথে কাজ করেছেন রশিদ ভাই, জাহের ভাই, আতাউর রহমান মুকুল কেউ আমাকে ছেড়ে যাবেন না।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, সবাই আমার মেয়াদকাল সাড়ে ৪ বছর বলেও আসলে আমি মাত্র ৪ বছর কাজ করতে পেরেছি। বাকি ৬ মাস একটি দলের আন্দোলনের কারনে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিজের অসুস্থ্যতা এবং নভেম্বর, ডিসেম্বর ২ মাস কাজ করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সময় নষ্ট হচ্ছে। তাই এখন থেকে কথা কম বলে আর কাজ বেশি করতে চাই। আর অতীতে আমার যে ভুল হয়েছে ভবিষ্যতে আমি আর সেই ভুল করতে চাই না। অতীতের মত ভবিষ্যতেও আমি গোলামী করে যেতে চাই। তবে আর শুধুমাত্র নেতাদের সাথে কথা বলবো না এখন থেকে যাদের জন্য গোলামী করবো সেই আপনাদের প্রত্যেকের সাথে কথা বলবো। আপনাদের মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন কাজ করবো।

৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে কুশিয়ারী এলাকায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাশাপাশি অতীতে কাজ করতে গিয়ে অজান্তে কোন ভুলে কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি এ জন্য সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার পর এমপি সেলিম ওসমানের কোন সভা মঞ্চে প্রথমবারের মত যোগ দিয়েছেন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আতাউর রহমান মুকুল।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মিসেস নাসরিন ওসমান বলেন, আমি এমপি সেলিম ওসমানের পক্ষে ভোট চাইতে আসি নাই। আপনার উনার জন্য শুধু দোয়া করবেন। উনি যেন সুস্থ্য থাকেন আল্লাহ যেন উনাকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন। উনাদের প্রতি আপনাদের বন্দরের মানুষের ভালবাসা আমি দেখেছি। আপনারা যদি মনে করেন অতীতের মত ভবিষ্যতেও সেলিম ওসমানকে আপনারা পাশে পাবেন, উনাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে, সাধারণ মানুষ উপকৃত হতে পারবেন তাহলে আপনারা একটু বিবেচনা করে দেখবেন, আমি বলবো না উনাকে ভোট দেন। আসলে মার্কাটাই বড় ব্যাপার না। মার্কাটা হাতে নিয়ে কে দাড়িয়ে আছেন সেটাই বিবেচনা করে দেখতে হবে। আপনার ভোট আপনি দিবেন যাকে খুশি তাকে দিবেন। আপনারা শুধু উনার জন্য দোয়া করবেন। পাশাপাশি আপনারা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন উনি যেন আগামীতেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমাদের সকলের উচিত নারীদের সম্মান করা। প্রতিটি স্বামী যদি তার স্ত্রীর সাথে বন্ধুর মত সুসম্পর্ক রাখেন তাহলে দেখবেন সব কিছুতেই আপনারা সফল হবেন। আমি কখনো এলাকার মানুষের জন্য ভাল কোন কাজের জন্য অনুদান দিয়ে বাসায় ফিরলে আমার জন্য আমার স্ত্রী সহ আমার তিন মেয়ে আমার পছন্দের ভাল ভাল খাবার রান্না করে উপহার দেন। এতো ভাল ভাল খাবার উপহার পাওয়ার লোভে আমি আরো বেশি ভাল কাজ করতে চাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। আপনারা নিজেরাই একেক জন সেলিম ওসমান হয়ে প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করবেন এবং সবাইকে বুঝাবেন আগামী আবারো কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উনার মনোনীত প্রার্থীদের বিজয়ী করা প্রয়োজন।

মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম.এ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, জেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ড. শিরীন বেগম, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, জেলা মহিলা পার্টির সভানেত্রী আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা।

ক্ষমা চাইলেন সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

গত কয়েক দিন ধরে বিগত সাড়ে ৪ বছরে নিজের অতীত ভুলের জন্য বিভিন্ন সভায় সকলের উদ্দেশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে আসছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। কিন্তু তিনি হয়তো বুঝতেও পারেননি কোন প্রকার অন্যায় অপকর্মকে প্রশ্রয় না দেওয়া, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একত্রিত করে এলাকার উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অনেকেই আগেই বন্দরের মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছিলেন এমপি সেলিম ওসামন। আসন্ন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ মানুষের সাথে মতবিনিময়কালে নিজের দোষ ভুল সম্পর্কে জানতে গিয়ে মানুষের মনে সেলিম ওসমানের প্রতি সেই ভালবাসার বহি:প্রকাশ শুরু করেছে।
৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে কুশিয়ারী এলাকায় হাজী আব্দুল মালেক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আগামী ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে মঞ্চে সাধারণ মানুষের বক্তব্যে সেটিই স্পষ্ট হয়েছে।

নিজের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এমপি সেলিম ওসমানের আহ্বানে মঞ্চে উঠে আসেন বন্দর কুশিয়ারা এলাকার মেয়ে ও পুত্রবধূ। তিনি বলেন, আমাদের এলাকার এমপি সাহেব এলাকার গরীব মানুষের জন্য কি করছেন এখানে অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন রাজনীতি নেতারা আছেন সেটা কেউ বলেন না। আমি এই এলাকার মাইয়া, এই এলাকারই বউ। সেই সুবিধা চিন্তা করলে ব্যাগটা হাতে লইয়া, বোরকা কাচাইয়া, বাচ্চা কোলে লইয়া, কাঁচা রাস্তা দিয়া কত কষ্ট কইরা বড় রাস্তায় আসছি। রিকশা পাইনাই রাস্তা খারাপ থাকার কারনে। কিন্তু এখন এমন আরসিসি পাকা রাস্তা আমার জন্মের পর থেইক্কা আগে দেখি নাই। আগে আমাদের ছেলে মেয়েদের কলেজে পাঠাতে গেলে হাতে ১০০ টাকা দিতে হইতো আর এখন বন্দরে দুইটা সরকারী কলেজ আছে। ঈদে এখন গরীবেরাও আনন্দ করে, ঠিকমত গ্যাস থাকায় তাড়াতাড়ি রান্নার কাম শেষ করতে পারি। মহিলা গো ফ্রি সেলাই মেশিন দিছেন। এসব কিছু আমাগো কইরা দিছেন আমাদের এমপি সাহেব। সত্যি আমরা অনেক গর্বিত। এমন এমপি সাহেবকে যদি আমরা হারাই তাহলে আমরা বন্দরবাসী অনেক ভুল করমু। তাই সবার কাছে অনুরোধ মার্কা টার্কা চিনিনা সেলিম ওসমান ছাড়া কিছু বুঝি না।

মঞ্চে উঠে আসেন ৮১ বছরের একজন বৃদ্ধও। যিনি আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সকলের প্রতি আহবান রাখেন। একই সাথে মঞ্চে উঠে আসেন কুশিয়ারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সদস্য আশরাফুনেচ্ছা বিউটি। তিনি বলেন আমার এলাকায় আমি ছোট বেলায় যা দেখেছি কিন্তু বর্তমান এমপি আমলে এলাকায় একটা রাস্তাও কাঁচা নাই। আমার বিশ্বাস আমাদের ওয়ার্ডের মত পুরো ৫ আসনেই এমন উন্নয়ন হয়েছে। আমি মুখে কিছু বলে কাজে দেখাতে চাই। এই আসন থেকে আমরা সেলিম ওসমান ভাইকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আবারো আমাদের মাঝে ফিরে পেতে চাই।

উল্লেখ্য চারিদিকে নির্বাচনের ঢামাঢোল শুরু হয়ে যাওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হেভিওয়েট নেতারা যখন প্রার্থী হতে নিজের পক্ষে শোডাউন গণসংযোগে ব্যস্ত ঠিক তখনও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিবেন না বলে ঘোষণা দিয়ে আসছিলেন এমপি সেলিম ওসমান। আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টির এমনকি বিএনপি দলীয় অনেক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানের প্রার্থী হওয়ার লাগাতার দাবীর পরেও প্রার্থী হতে তিনি রাজি হচ্ছিলেন না।

যার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর বন্দরে ময়মনসিংহপট্টি মাঠে সর্বস্তরের বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে “দল যার যার সেলিম ওসমান সবার” স্লোগানে আয়োজিত একটি সমাবেশে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে ঘোষণা দেওয়ার জন্য স্থানীয় সকল জনপ্রতিনিধি, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি সহ কয়েক হাজার স্থানীয়রা জোরালো দাবী রাখেন।

সবার সাথে সম্মতি প্রকাশ করে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান নিজেই এমপি সেলিম ওসমানকে উদ্দেশ্য করে ঘোষণা দেন, তোমাকে আর পরিবার এবং ব্যবসার কথা চিন্তা করতে হবেনা। এগুলো আমরাই দেখবো। বন্দরের মানুষ তোমাকে এতো ভালবাসে তুমি আর না করতে পারবেনা। তোমাকে নির্বাচন করতেই হবে। সকলের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন এমপি সেলিম ওসমান একাদশ জাতীয় সংসদে আবারো প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলে ছিলেন আগামী নির্বাচনে আপনাদের প্রতি সম্মান রেখে আমি আবারো আপনাদের গোলামী করতে প্রস্তুত আছি। আপনাদের দেওয়া মনোনয়নই আমার চুড়ান্ত মনোনয়ন। আমার মার্কা নৌকা, আমার মার্কা লাঙ্গল, আমার মার্কা ধানের শীষ, আমার মার্কা আনারাস আমি সবার।

প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর ১১ নভেম্বর ঢাকায় জাতীয় পার্টির গুলশান কার্যালয় থেকে নিজের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। ১২ নভেম্বর রাতে বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাউয়ারের তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এমপি সেলিম ওসমান। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের যার যার নিজ ঘর থেকেই ভোট প্রার্থনা শুরু করতে অনুরোধ রাখেন। এরপর ২০ নভেম্বর রাইফেল ক্লাবের আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টি সহ মহাজোটের নেতাকর্মীদের সাথে মত বিনিময় করে তিনি কর্মীদের নিজ নিজ এলাকায় ষড়যন্ত্রকারীদের ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখার অনুরোধ রাখেন।

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ও নিজের পক্ষে দলীয় মনোনয়ন আনতে যখন আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য দলীয় প্রার্থী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের সাথে লবিং ও বিভিন্ন চেষ্টায় ব্যস্ত তখন ঠিক সেই মুহুর্তে ২১ নভেম্বর ওমরা হজ্জ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় চলে যান এমপি সেলিম ওসমান। হজ্জ শেষে ২৫ নভেম্বর রাতে তিনি বাংলাদেশে ফেরত আসেন। পরদিন ২৬ নভেম্বর বন্দরে সুরুজ্জামান টাউয়ারে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে বন্দরের মহাজোটের প্রায় ৪ হাজার নেতাকর্মীর সাথে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। সেখানে তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের দায়িত্বটুকু সঠিক ভাবে পালন করবেন জয় আপনাদের নিশ্চিত। ২৭ নভেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহলে দলমত নির্বিশেষে সকল স্তরের মানুষের উপস্থিতিতে দোয়া ও মতবিনিময় সভায়, আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টি, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা নির্বাচনে তাকে সমর্থন প্রদান করেন। ২৮ নভেম্বর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধারা যে কোন মূল্যে তাঁকে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন। ২৯ নভেম্বর আবারো বন্দরে ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সকাল ১১টা রাত ৮টা পর্যন্ত বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও বন্দর থানা জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের সাথে পৃথক ভাবে প্রায় ৩ হাজার নেতাকর্মীর সাথে মেরাথন মত বিনিময় করেন। ৩০ নভেম্বর হীরামহলে আলীরটেক ও গোগনগর ইউনিয়নের স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও তাদের কর্মীদের সাথে মত বিনিময় করেন। ১ ডিসেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহল ও বন্দরে সুরুজ্জামান টাউয়ারে শহর ও বন্দরের কয়েক হাজার নারীর সাথে পৃথক দুটি মতবিনিময় করেন সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। ২ ডিসেম্বর বন্দরে ব্যক্তিগত কার্যালয়ের সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মতবিনিময় করেন একইভাবে ৩ ডিসেম্বর চাষাঢ়া হীরা মহলে শহর এলাকার কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত দুটি মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলরা ব্যক্ত করেন আগামীতে কেন আবারো সেলিম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জ ও বন্দরবাসীর প্রয়োজন। হীরা মহলে একই দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায় সেলিম ওসমানের প্রতি আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন।

এদিকে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদের আহবানে গত ৪ ডিসেম্বর তার বাসভবনে বন্দর থানা আওয়ামীলীগের নির্বাচনী মত বিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। যেখানে তাকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ঘোষণা দেন। ৫, ৬, ও ৭ ডিসেম্বর যথাক্রমে ধামগড়, মুছাপুর ও কলাগাছিয়ে ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত নির্বাচনী আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত দোয়া অনুষ্ঠান গুলোতে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষের সমাগম হয়। দোয়া অনুষ্ঠান গুলো থেকে উপস্থিত সকলেই আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকেই বিজয়ী করবেন বলে স্বর্তস্ফূর্ত সমর্থন প্রদান করেন।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুর পর তাঁর শূন্য আসনে ২০১৪ সালের ২৬জুন উপ-নির্বাচনে এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে আসেন তাঁরই ছোট ভাই সেলিম ওসমান উক্ত আসনে সাংসদ নির্বাচিত হোন। যিনি এর আগে দেশব্যাপী একজন সফল উদ্যোক্ত এবং দক্ষ ব্যবসায়ী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

ওই উপনির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমান তারঁ প্রতিদ্ব›দ্ধী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস.এম আকরামকে প্রায় ১৬ হাজার ভোটে পরাজিত করেন। এস.এম আকরাম যিনি ১৯৯৬ সালে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিএনপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালামকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হয়ে ছিলেন।

২০১৮ সালের ৮ জুলাই শপথ গ্রহনের পর থেকেই তিনি শহর-বন্দর উন্নয়নের দলমত নির্বিশেষে সকলকে সাথে নিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান। যার পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল বন্দরে অতীতের উন্নয়নের সকল রেকর্ডকে পেছনে ফেলে ইতোমধ্যে আপামোর বন্দরবাসী মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি।

খেলাধুলায় প্রশান্তি: বন্দরে কাউন্সিলর সাগর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর বলেছেন, খেলাধুলা করার মধ্যে যে কি প্রশান্তি তা খেলোয়ার না হলে বুঝা যায়না। আমি সব সময় আমার এলাকার যুবকদের খেলাধুলায় নিমগ্ন থাকার উৎসাহ দিয়ে থাকি। মাদক থেকে দূরে থাকার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নাই।

বন্দরে মদনগঞ্জ লক্ষ্যারচড় যুব মধ্যপারা যুবসংঘের উদ্যোগে ডিগবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি সবসময় খেলাধুলা আয়োজন করতে আমার ওয়ার্ডের যুবকদের প্রাধান্য দিয়ে থাকি। মধ্যপারা যুবসংঘের আয়োজকদের আমি সাধুবাদ জানাই তারা যুবকদের নিয়ে এ খেলার আয়োজন করায়। একমাত্র মন ভাল রাখতে খেলাধুলাই পারে সকল অসংগতি থেকে দূরে রাখতে। এরকম আয়োজনে আমার সর্বাত্মক সহযোগীতা থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাসিক ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, মদনগঞ্জ ১৯নং ওয়ার্ডের সমাজসেবক মোকলেছুর রহমান, মদনগঞ্জ ফাঁড়ীর ইনচার্জ তরিকুল আলম জুয়েল ও আবুল খায়েরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বন্দরে শ্রমিক লীগ নেতার নেতৃত্বে মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের প্রস্তুতি সভায় মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি আশাদুজ্জামান খোকন। ৮ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে তিনি মাহমুদনগর থেকে ব্যাপারীপারা, দড়িসোনাকান্দা, সোনাকান্দা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্কুল প্রাঙ্গন সভায় সমবেত হয়।

এ সময় মিছিলে অংশ নেন বন্দর মদনগঞ্জ শাখার আন্তঃজেলা সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, রোমান, মিঠু, রোমান হোসেন, আরিফ, জুয়েল রানাসহ শতাধিক নেতাকর্মী।

সেলিম ওসমানের জন্য ভারতে যুবলীগ নেতার দোয়া মাহফিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা যুবলীগ নেতা আবু বকর ছিদ্দিকের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমানের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা সূদুর ভারতে খাজা গরীবে নেওয়াজ হযরত মাঈনউদ্দিন চিশতি (রঃ) আজমী শরিফ দরগায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা সেলিম ওসমান, শামীম ওসমান ও তাদের পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য বিশেষ দোয়া পাঠ করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন আজমী শরিফের খাদেমসৈয়দ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চিশতী।

সর্বশেষ সংবাদ