সেলিম ওসমানকে প্রয়োজন মনে করলে বিজয়ী করবেন: নাসরিন ওসমান

নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন ও ভবিষ্যত প্রজেন্মর স্বপ্ন বাস্তবায়নে যদি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানকে ভবিষ্যতেও প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে হয় তবেই তাঁকে পুণরায় নির্বাচিত করার জন্য তরুণ প্রজন্ম ও নারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন মিসেস নাসরিন ওসমান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাঢ়া হীরা মহলে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারীর সাথে মত বিনিময় কালে তিনি সকলের প্রতি এ আহবান রাখেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ও ওসমানের পরিবারের আরেক পুত্রবধূ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস সালমা ওসমান লিপি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসেস নাসরিন ওসমান আরো বলেন, আজকে আমি সেলিম ওসমানের সাহেবের প্রশংসা করবো না। সেলিম ওসমান মাঝে মধ্যে আবেগ প্রবণ হয়ে পড়লেও সাধারণ মানুষের কল্যাণে সে সকল সময় চিন্তা করে থাকে। সেলিম ওসমান মনে করে মানুষের মাঝেই আল্লাহ বিরাজ মান তাই মানুষের সেবা করতে তিনি নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। বিগত সাড়ে ৪ বছর নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরের উন্নয়নে সাধ্যমত তিনি চেষ্টা করেছেন। আমি তাকে সহযোগীতার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, আমি মনে করি সেলিম ওসমান এখন আর আমাদের পরিবারের সম্পত্তি নয়। সেলিম ওসমান নারায়ণগঞ্জের ১০ লাখ মানুষের সম্পত্তি। তাই নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে একজন স্ত্রী হিসেবে সেলিম ওসমানকে নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য আমি উৎসর্গ করেছি। আপনারা উনার পাশে থাকবেন উনার জন্য দোয়া করবেন। উনি ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখেন। ভবিষ্যত প্রজন্মের তোমরা যারা আছো, তোমরা যদি মনে করো উনাকে দিয়ে তোমাদের কাজ হবে তাহলে তোমরা তাকে ভোট দিও। এখন থেকে উনি শুধুই জনগনের সেবা করবে। সংসার আর ব্যবসার দায়িত্ব আমাদের পরিবারের বাকী সদস্যরা পালন করবো। উনি রাজনীতিবিদ না। অন্য রাজনীতিকদের মত আপনারা উনাকে যখন তখন কাছে না পেলেও উনি আপনাদের সমস্যা গুলোতে প্রয়োজনীয় প্রত্যাশা পূরণ করেছেন।
উপস্থিত সকল নারীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, উনি নারায়ণগঞ্জ-বন্দরে স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছেন। ভবিষ্যতে শহর ও বন্দরের প্রয়োজনীয় সকল উন্নয়নই তিনি করবেন। গত সাড়ে ৪ বছর উনি যে কাজ করেছেন তা আপনারা একটু বিবেচনা করে দেখবেন। আপনারা যদি মনে করেন নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নে সেলিম ওসমানের প্রয়োজন রয়েছে তাহলে আপনারা উনাকে আবারো বিজয়ী করবেন।
মুক্তিযোদ্ধা ও নারীনেত্রী ফরিদা আক্তার বলেন, নারায়ণগঞ্জের সবগুলো আসনে যদি সেলিম ওসমানের মত এমপি থাকতো তবে নারীদের উন্নয়ন আরো যেমন দ্রুত সম্ভব হতো তেমনি নারীরা পুরুষ শাসিত সমাজে স্বাবলম্বী হয়ে নিজের পায়ে দাড়াতো। তিনি সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করার জন্য নারীদের প্রতি আহবান জানান।
প্রফেসর শিরীন বেগম বলেন, নারায়ণগঞ্জের শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে এমপি সেলিম ওসমান শিক্ষার মানোন্নয়নে যে বিপ্লব ঘটিয়েছে তা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, নারী নেত্রী রোকসানা খবির, আঞ্জুমান আরা আকসির, মহানগর যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোটেক সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য নারী নেত্রীবৃন্দরা।

শুভ লগ্নে —-সুমী ধর

আজ তোমার জন্ম হল শুভ লগ্নে,
জগৎ জুড়ে থাকবে তুমি সবার হৃদয়ে।

আকাশ জানে,চন্দ্র জানে,সাত আসমান জমিন জানে,,
তোমার প্রভাতে উঠবে ফোঁটে নতুন সূর্য কিরণ।

শত জনমের বন্ধ দরজা খোলে দাও আজি,
আমি দাঁড়িয়ে থাকবো সদায় তোমার অতন্ত্র প্রহরী।

অতি সংকট দিন গুলোকে রেখোনা আর মনে,
নব উদ্যেগে কাজ করো আজকের এই শুভ লগ্নে।

মনটা আমার ছন্দ ছাড়া
তোমার পানে আজ পথ হারা,
রোদেলা সকালের স্বপ্ন গুলো
তোমায় দিলাম উপহার।

সূর্য রশ্মি পরেছে ছড়ে তাকিয়ে তুমি দেখো,
তোমায় ডাকছে হাত নেড়ে ,হাত বাড়িয়ে ধরো।

স্বপ্ন গুলো আজ হোক রঙিন,
প্রত্যুষ আলো ছড়িয়ে পড়ুক তোমার চোখের কোনে।

কষ্ট আছে,দুঃখ আছে,ছেড়োনা তুমি হাল,
লাগুক ছুটার মন্দ আলো এগিয়ে তুমি চলো।

হয়তো পারবোনা মৃদ আলোতে জরিয়ে ধরে বলতে,
অনাগত ক্ষণ গুলো উজ্জ্বল হোক
আজ এই শুভ দিনে।

নারীদের প্রতি সেলিম ওসমানের অনুরোধ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
একজন সুশিক্ষিত মা’ই পারে একটি আধুনিক রাষ্ট্র উপহার দিতে। তাই সকল মায়েদের নিজ নিজ সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে তাদেরকে সুশিক্ষিত করতে এবং স্বামীদের পাশে থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করার অনুরোধ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসামন। তিনি বলেন, প্রতিটি পরিবারে স্ত্রী যদি তার স্বামীকে অথবা মা যদি তার ছেলের পাশে দাড়িয়ে সহযোগীতা করেন তাহলে বাংলাদেশ আর পিছিয়ে থাকবে না। সেই লক্ষ্যে তিনি নারীদেরকে সমবায় ভিত্তিতে কাজ করার আহবান জানিয়ে স্বাবলম্বী হওয়ার অনুরোধ জানান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় চাষাঢ়া হীরা মহলে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান শহরের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫ শতাধিক নারীর সাথে মত বিনিময় কালে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত নারীদের প্রতি এমন আহবান রাখেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ওসমানের পরিবারের আরেক পুত্রবধূ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস সালমা ওসমান লিপি।
সেলিম ওসমান বক্তব্যে আরো বলেন, আমি ৭টি ইউনিয়ন এলাকায় ৭টি স্কুল নির্মাণ করেছি। কদমরসুল কলেজ সরকারী হয়েছে, নারায়ণগঞ্জ কলেজে নতুন আধুনিক ভবন নির্মিত হয়েছে। আমি ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি, তাদের জন্যই আমি গত সাড়ে ৪ বছর কাজ করে গেছি। ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবো। কিন্তু শুধু স্কুল কলেজ বানালেই চলবে না। সেখানে অবশ্যই আপনাদের সন্তানদের পাঠাতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। যাতে করে অদূর ভবিষ্যতে ওরাই দেশের দায়িত্ব নিতে পারে। আর যেন আমার মত স্বল্প শিক্ষিত কোন মানুষকে এমপি হতে না হয়। সুশিক্ষায় শিক্ষিতদের হাতেই যেন ভবিষ্যত বাংলাদেশকে তুলে দিয়ে যেতে পারি এটাই এখন একমাত্র চাওয়া।
উপস্থিত সকলের প্রতি অনুরোধ রেখে তিনি বলেন, আপনারা প্রত্যেকে অবশ্যই আপনাদের স্বামীর পাশে দাড়াবেন তাদেরকে সহযোগীতা করবেন। একজন পুরুষের সব থেকে কাছের বন্ধুটি হয় তাঁর স্ত্রী। স্বামী স্ত্রী মিলে মিশে কাজ করলে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আসবে। আর একটি এলাকার উন্নত হতে হলে আগে পারিবারের উন্নতি করতে হবে। প্রতিটি পরিবার স্বাবলম্বী হলে এলাকা এমনিতেই উন্নত হবে। আপনারা নারীরাই পারবেন একটি বাড়ি একটি খামার সম্পূর্ন রূপে বাস্তবায়ন করতে। আপনারা আপনাদের বাড়ি ছাদ, আশে পাশের জায়গা খালি না রেখে সেখানে কৃষির ব্যবস্থা করবেন। বাড়ির ছাড়ে মুরগি পালনের ব্যবস্থা করবেন। যদি এ ব্যাপারে আপনাদের জানা না থাকে তাহলে আমাকে জানাবেন আমি আপনাদের সব পদ্ধতি জানার ব্যবস্থা করে দিবো। আর আপনারা যাই করবেন সমবায় ভিত্তিতে করবেন। সমবায় ভিত্তিই হতে পারে দারিদ্রতা থেকে মুক্তির একমাত্র পথ পদর্শক। নারীরা আজ আর পিছিয়ে নেই। সকল ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদের দিকে তাকালেই আপনারা বুঝতে পারবেন।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী নেত্রী ফরিদা আক্তার, প্রফেসর শিরীন বেগম, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভুইয়া, নারী নেত্রী রোকসানা খবির, আঞ্জুমান আরা আকসির, মহানগর যুবমহিলা লীগের সভানেত্রী অ্যাডভোটেক সুইটি ইয়াসমিন সহ অন্যান্য নারী নেত্রীবৃন্দরা।

জনগণের সেবায় স্বামীকে উৎসর্গ করলেন নাসরিন ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
বন্দরের মানুষের ভালবাসার টানে মৃত্যুর পর নিজের লাশটি বন্দরের মাটিতেই দাফন করার ঘোষণা বহু আগেই দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বন্দরবাসীর ভালবাসার সেই ধারাবাহিকতায় গত ২ নভেম্বর ময়মনসিংহপট্টি মাঠে সর্বস্তরের বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি সমাবেশে পারিবারিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ভার থেকে মুক্ত করে জনগণের সেবার জন্য স্বামী সেলিম ওসমানকে উৎসর্গ করেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। তার ঠিক এক মাসের মাথায় এসে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে জনম জনম পাশে থাকার কর্তব্য পরিপূর্ণ করলেন তিনি। যতদিন বাঁচবেন ততদিন স্বামী সেলিম ওসমানের পাশে তো থাকবেনই এমনকি মৃত্যুর পরেও বন্দরে স্বামী সেলিম ওসমানের শয্যা পাশেই নিজের শায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মিসেস নাসরিন ওসমান।
শনিবার ১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রাত্রি কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকার নারী জনপ্রতিনিধি সহ সহস্রাধিক সাধারণ নারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ এবং বন্দরের মাটি ও মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেওয়া নেতা নাসিম ওসমান ভাইয়ার মৃত্যুর পর আমার শ্বাশুড়ি সেলিম ওসমান সাহেবকে নারায়ণগঞ্জের মানুষের সেবা করার জন্য নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। মানুষের সেবা করতে গিয়ে যদি উনার মৃত্যুও হয় তাতে তিনি একজন মা হিসেবে গর্বিত হবেন বলে আপনাদের সেবায় ছেলেকে উৎসর্গ করেন। কিছুদিন আগে উনার প্রতি আপনাদের ভালবাসা দেখে আমি আপনাদের কাছে উনাকে উৎসর্গ করেছি আপনাদের সেবা করতে আপনাদের ভালবাসা পেতে। আজকে এখানে আপনাদের এতো সমাগম দেখে আমি উপলদ্ধি করতে পারছি আমার শ্বাশুরি কতটা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলেন। উনার এই সিদ্ধান্তকে আমিও অনুসরন করেছি।
তিনি বলেন, একজন স্ত্রী হিসেবে সারাজীবন স্বামীর পাশে থেকে সহযোগীতা করা আমার কর্তব্য। সেই কর্তব্য থেকে আমি সারাজীবনে উনার পাশে থেকে আপনাদের সেবায় সহযোগীতা করে যাবো। মানুষের বাঁচা মরা সব আল্লাহ হাতে। আমাদের সবাইকেই একদিন মরতে তো হবেই। উনি অনেক আগে ঘোষণা দিয়েছেন উনার মৃত্যুর পর যেন লাশটি বন্দরের মাটিতে দাফন করা হয়। উনার সহধর্মিনী হিসেবে আমি মৃত্যুর পরেও উনার পাশেই থাকতে চাই। তাই আমার মৃত্যুর পরেও যেন এই বন্দরের মাটিতে উনার পাশেই আমার লাশটি দাফন করা হয়।
আপনাদের কাছে আমার আর কি চাওয়ার থাকতে পারে। আপনাদের কাছে আর ভোটই বা কি চাইবো। আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি আপনাদের ভালবাসা সেই ভালবাসার ঋন কোন কিছু দিয়েই শোধ করা যাবে না। শুধু এইটুকুই বলবো আগামীতেও আপনাদের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করে যাওয়ার সুযোগটুকু উনাকে আবারো দিবেন। আগামীতে উনি যদি এমপি নাও হতে পারেন তবুও আপনাদের পাশে থাকবেন। শরীরের শেষ বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত সেলিম ওসমান আমাদের পাশে থেকে কাজ করে যাবেন এটা আপনাদের কাছে আমি ওয়াদা দিয়ে গেলাম।
মতবিনিময় সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান বলেন, আগামী নির্বাচনে কাকে ভোট দিবেন সেই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ন আপনাদের উপর নির্ভর করে। আমি শুধু আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো শুধু একটি বারের জন্য চিন্তা করে দেখবেন গত সাড়ে ৪ বছরে আমি আপনাদের উন্নয়নের চাহিদা পূরণ করতে পেরেছি কিনা। আগামী নির্বাচনে আমাকে দেন বা নাদেন সে ব্যাপারে আমার কোন কথা নাই। আপনাদের কাছে শুধু এইটুকু আহবান রাখবো আপনারা কোন বসন্তের কোকিলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন না। যাদেরকে সারা বছর এলাকায় দেখা যায় না। শুধু নির্বাচনের সময় বসন্তের কোকিল হয়ে আপনাদের সামনে আসে। নির্বাচন শেষে আবার নাই হয়ে যায় তেমন ব্যক্তিকে ভোট দিলে জনগন কতটুকু উপকৃত হবে সে বিষয়ে বিবেচনা করে নিজের ভোটটি প্রদান করবেন।
মত বিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী মহিলালীগ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভানেত্রী ইসরাত জাহান স্মৃতি, সিটি কর্পোরেশনের নারী কাউন্সিলর শিউলি নওশাদ, ১৯নং ওয়ার্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি পলি বেগম সহ অন্যান্য নারী নেত্রীরা। মত বিনিময় সভায় সহস্রাধিক নারী অংশ উপস্থিত হয়ে নির্বাচনে সেলিম ওসমানের পক্ষে কাজ করে তাঁকে বিজয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অপরদিকে সুরুজ্জামান টাওয়ারের রাত্রি কমিউনিটি সেন্টারে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বন্দর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের সাথে নির্বাচনে করনীয় সম্পর্কে আরো একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন এমপি সেলিম ওসমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকুসদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম সহ প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমরা পিতৃহারা: আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদ

বন্দর থানা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে নির্বাচন শীর্ষক প্রস্তুতি মুলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  ১ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদের বাসভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সভায় বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ বলেছেন, আজকে পিতৃত্বের পরিচয় আমরা দিতে পারি না। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আমরা অনেকদিন ধরেই পিতৃহারা। তবে জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিভিন্ন সময় আমি নারায়ণগঞ্জের মানুষের পক্ষে কথা বলতাম। নৌকা মার্কার কথা আমি বলতাম। আজকে আমি গর্ব করে বলতে পারি, বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের নামে কোন দূর্নাম নাই। তারা অত্যন্ত নম্র, ভদ্র স্বভাবের। তাদের নামে আজ পর্যন্ত কোন চাদাবাজী, টেন্ডারবাজীর কলংক নাই। আজকে আমি আহ্বান করলাম বন্দর উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই করে রাজনীতির মাঠে থাকব।  আমার কর্মীদের সকল সুখ-দুঃখে আমি অংশীদার হব।
তিনি আরো বলেন, আপনারা আমার কাছে যে দাবী রেখেছেন তার জন্য যদি আমার প্রতি ১’শ পার্সেন্ট বিশ্বাস রাখেন তাহলে আমি আপনাদের নিয়ে লড়াই করব।  আপনারা বলেছেন নির্বাচন পূর্বমুহুর্তে এমপি সেলিম ওসমানের সঙ্গে কথা বলতে চান।  গত নির্বাচনে আমরা চ্যালেন্স করে জান-প্রাণ দিয়ে মহাজোটের প্রার্থীকে নির্বাচিত করেছি। এবারও চেষ্টা করব মহাজোটের প্রার্থীকে বিজয়ী করার।  আমি এমপি সেলিম ওসমানকে সামনে রাখব আপনারা সামনে থাকবেন। আপনাদের সকল দুঃখ কষ্ট আপনারা এমপির সাথে শেয়ার করবেন। আপনারা জেনে রাখেন পীর ছাড়া যেমন মুরিদ অচল তেমনী দলের প্রধাণ ছাড়াও দল অচল।
বন্দর থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি শফিউদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোবারক হোসেন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবির এলিন, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ভোলানাথ দাস, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল হাসান মৃধা, বন্দর থানা সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান মোল্লা  বন্দর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হাতেম, সাংগঠনিক সম্পাদক এসআই জুয়েল, মদনপুর ইউনিয়ণ পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী সালাম, ধামগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুম আহমেদ, মহানগর স্বেচ্ছসেবকলীগ সাধারণ সম্পাদক ও ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধাণ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুর রহমান কমল, বন্দর থানা আওয়ামীলীগ নেতা ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল মোহাম্মদ সাগর, বন্দর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ প্রমূখ।

সাধারণ মানুষকে বোকা ভাবার কোন কারণ নেই – শামীম ওসমান

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোন কারণ ছাড়া যেসব বক্তব্য দিচ্ছেন, তাতে বিএনপি আবারো নতুন কোন ঘটনা ঘটিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।

শনিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় এলাকায় এক পথসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, সাধারণ মানুষকে বোকা ভাবার কোন কারণ নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জনগণ যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেভাবে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাচ্ছে, আমি আশা করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ অতীতের যে কোন নির্বাচনের চেয়ে এবার ফলাফল আরো অনেক ভালো করবে।

ডক্টর কামাল হোসেনকে জামাতের সঙ্গ ত্যাগ করার আহবান জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, বদরুদ্দোজা চৌধুরী যদি একা একটি ফোরাম বা ঐক্য গড়তে পারেন তাহলে তাদের পক্ষেও সেটা সম্ভব। ক্ষমতায় আসার জন্য ডক্টর কামাল হোসেন নিজেকে যেভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন তাতে আগামী প্রজন্ম কোনদিন তাদের ক্ষমা করবে না বলে তিনি মনে করেন।

বন্দরে স্বামীর পাশেই শায়িত হতে চান নাসরিন ওসমান

বন্দরের মানুষের ভালবাসার টানে মৃত্যুর পর নিজের লাশটি বন্দরের মাটিতেই দাফন করার ঘোষণা বহু আগেই দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। বন্দরবাসীর ভালবাসার সেই ধারাবাহিকতায় গত ২ নভেম্বর ময়মনসিংহপট্টি মাঠে সর্বস্তরের বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি সমাবেশে পারিবারিক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব ভার থেকে মুক্ত করে জনগনের সেবার জন্য স্বামী সেলিম ওসামনকে উৎসর্গ করেন তাঁর সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান। তার ঠিক এক মাসের মাথায় এসে অর্ধাঙ্গিনী হিসেবে জনম জনম পাশে থাকার কর্তব্য পরিপূর্ণ করলেন তিনি। যতদিন বাঁচবেন ততদিন স্বামী সেলিম ওসমানের পাশে তো থাকবেনই এমনকি মৃত্যুর পরেও বন্দরে স্বামী সেলিম ওসমানের শয্যা পাশেই নিজের শায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মিসেস নাসরিন ওসমান।

শনিবার ১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারের তৃতীয় তলায় রাত্রি কমিউনিটি সেন্টারে বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকার নারী জনপ্রতিনিধি সহ সহ¯্রাধিক সাধারণ নারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কামরুল আহসানের বৈঠক

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের একাংশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান। শনিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকায় অ্যাডভোকেট কামরুল আহসানের চেম্বারে দীর্ঘ এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনার মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করা এবং সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের নানা সংকট ও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

একই সঙ্গে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বর্তমান দৈনদশা নিয়েও বক্তব্য রাখেন নেতারা। এর উত্তোরণের জন্য তারা নতুন নেতৃত্ব দেখতে চান বলেও মত প্রকাশ করেন। সেই সঙ্গে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের রাজনীতির চেয়ে ব্যক্তি রাজনীতির কারনে আজকে নৌকার প্রার্থী পাওয়া না পাওয়া নিয়ে সংকট তৈরি হয়েছে বলেও মত দেন নেতারা। তারা বলেন, কোন ক্রমেই সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব সংকেটের দিকে ফেলে দেয়া যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এছাড়াও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী করতে নেতাদের করণীয় কি সেসব বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়। সকলের মতামত ছিল- আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্তে অটুট থেকে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কঠোরভাবে কাজ করে নেত্রীর নির্দেশিত প্রার্থীকে জয়ী করায় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। নেত্রীর সিদ্ধান্তের বাহিরে যাওয়া যাবে না।

অন্যান্য বক্তারা আরও বলেন, সোনারগাঁ আসনে টানা দুইবার মহাজোটের প্রার্থী এমপি হলে সেখানে আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব সংকটের দিকে যাবে। বিষয়টি নিয়েও নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নৌকার প্রার্থী নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ার কারনে নেতারা স্থানীয় নেতৃত্বে থাকা আওয়ামীলীগ নেতাদের দায়ী করেন। তাদের দাবি সোনারগাঁয়ে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক থাকার কারনেও আওয়ামীলীগে সংকট তৈরি হচ্ছে। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামীলীগ হুমকির মুখে পড়েছে। নেতৃত্বের ব্যর্থতা দূর্বলতার কারনে ভৌগালিকভাবে গুরুত্ব এলাকা সোনারগাঁয়ে নৌকার প্রার্থী এখনও ঘোষণা করা হয়নি। হয়তো মহাজোটের প্রার্থীই চূড়ান্ত হবে। এক্ষেত্রে আওয়ামীলীগ আরও বেকায়দায় পড়বে। তবে নেত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে তারা দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসানের এই উদ্যোগের প্রসংশা করেন আওয়ামীলীগ নেতারা। দলের প্রয়োজনে তারা নিয়মিত এমন বৈঠকের মাধ্যমে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের সমস্যা নিরসনে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন বক্তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন। তবে সকলের বক্তব্যেই ছিল জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে তারা কাজ করবেন।

এছাড়াও বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কঠিন পরিস্থিতির সুম্মখীন হবে সোনারগাও আওয়ামীলীগ। ২০০১ সালের পর বিএনপি জামাত জোট সরকারের নানা নির্যাতনের কথাও স্মরণ করেন তারা। ওই সময় রাজপথে আন্দোলন করতে নির্যাতনের শিকার হওয়া গাজী মুজিবুর রহমান সহ নেতাদের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরেন। তাই আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হলে যে কোন ত্যাগ স্বীকার করে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলেও মত দেন তারা। বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে নির্যাতিত আওয়ামীলীগ নেতাদের পক্ষে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ায় কামরুল আহসানের প্রসংশা করেন নেতারা।

এই বৈঠকে বক্তব্য রাখেন সোনারগাঁও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও কমিউনিটি পুলিশের সভাপতি গাজী মজিবুর রহমান, সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহআলম রূপন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিরষদের সদস্য ও উপজেলা মহিলা লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নূর জাহান বেগম, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাইয়ের ছেলে টিপু,স্বাধীনতা শিক্ষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোন্তাজ উদ্দীন মুর্তজা, নোয়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি শহিদুল্লাহ সরকার, শম্ভপুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ, অ্যাডভোকেট রবিউল আমিন রনি, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দীন আহমেদ, অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান, অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট আল মামুন, আওয়ামীলীগ নেতা এসএম আতাউর রহমান, কাচপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা আমান খান, যুবলীগ নেতা খায়রুল ইসলাম, কাউসার আহমেদ, শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন আহমেদ, সাইদুর রহমান সুমন, জামপুর যুবলীগ সভাপতি মাসুদ কবির সুমন, শিশির দাস সহ সোনারগাঁয়ের পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের শীর্ষ পর্যায়ের অর্ধশতাধিক নেতা।

এ বৈঠকের বিষয়ে অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান বলেন, মুলত আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমাদের করণীয় কি সেই সব বিষয় নিয়ে নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে উপস্থিত সকল নেতারা বলেছেন, নেত্রীর যে কোন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নেত্রীর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নেত্রীর দেয়া মনোনিত প্রার্থীকে বিজয়ী করারই হবে আমাদের সকলের দায়িত্ব। এছাড়াও সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের কার্যক্রম সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।

বৈঠক শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে শীর্ষ পর্যায়ের এসব নেতাদের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেন অ্যাডভোকেট কামরুল আহসান।

সর্বশেষ সংবাদ