বন্দরেই হবে সেলিম ওসমান ও তার স্ত্রীর সমাধি

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মৃত্যুর পর বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিপাড়া এলাকায় সমাধিত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে জায়গা নির্ধারিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান। যিনি বন্দর এলাকা এবং বন্দরের মানুষের ভালবাসায় মৃত্যুর পর নিজের লাশটি বন্দরে দাফন করার ঘোষণা অনেক আগেই দিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি উনার সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান বন্দরে বিভিন্ন এলাকার নারীদের সাথে একটি মত বিনিময় সভায় মৃত্যুর পর বন্দরে স্বামীর পাশেই লাশ দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ দম্পোত্তি উভয়েই মৃত্যুর পর বন্দরে পাশাপাশি নিজেদের লাফ দাফন করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ঠিক কোথায় সেটি হবে তা নিদিষ্ট করে কিছুই বলেননি।

৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগনের উদ্যোগের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের অদূরে কান্দিপাড়ার একটি জায়গায় আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করেন। যেখানে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য এমপি সেলিম ওসমান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।

বক্তব্য প্রদানকালে এমপি সেলিম ওসমান আয়োজিত সভাস্থলে বর্তমান বায়না সূত্রে মালিক মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর সহ উপস্থিত সকলের অনুমতিক্রমে উক্ত জায়গাটুকু নিজের জন্য কিনে নেওয়ার ইচ্ছা পোষন করেন। উপস্থিত সর্বসম্মতিক্রমে তিনি কাজিম উদ্দিন এর আগে নগদ কিছু টাকা দিয়ে জমিটি কেনার জন্য বায়না করেন।

পরক্ষণেই তিনি ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমি বন্দরকে ভালবাসি। বন্দরের মানুষকে ভালবাসি। আমার প্রতি আপনাদের ভালবাসা এবং বন্দরের প্রতি আমার ভালবাসা থেকেই আমার মৃত্যুর পর আমার লাশটি বন্দরে দাফন করার ঘোষণা দিয়েছি। আমার সহধর্মিনী নাসরিন ওসমান নিজেও তার মৃত্যুর পর আমার পাশেই তার লাশ দাফন করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমি বন্দরকে ভালবাসি আর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকাকে বন্দরের মধ্যে আমি সব থেকে বেশি ভালবাসি। এই ইউনিয়নের পুরোটাই আমার কাছে একটি ফুলের বাগান মনে হয়। তাই আমার মৃত্যুর পর এই ফুল বাগানের মাঝেই আমি থাকতে চাই। এই বায়না করার জমিতেই যেন মৃত্যুর পর আমার এবং আমার সহধর্মিনীর লাশটি দাফন করা হয়।

এমপি সেলিম ওসমানের মুখ থেকে সকলের অপ্রত্যাশিত এমন ঘোষণা শুনে উপস্থিত সকলেই কিছু সময়ের জন্য স্তব্দ হয়ে যান।

তিনি আরো বলেন, বন্দর নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন আছে। আমি চাই এই কলাগাছিয়া ইউনিয়ন এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় ও একটি কারিগরি ইনস্টিটিউট গড়ে উঠুক। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের পাশেই যেন আমার লাশটি দাফন করা হয়।

তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় সবাইকে বলি উপার্জনের একভাগ সঞ্চয় করতে, একভাগ সংসার চালাতে খরচ করতে আরেক ভাগ দিয়ে মানুষের কল্যানে ব্যয় করতে। আমি এখন থেকে আমি আমার উপার্জনের একভাগ নয় দুইভাগই মানুষের কল্যানে ব্যয় করবো।

নারীদের প্রতি আহবান রেখে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল পুরুষের উপার্জন করতো আর নারীরা তা ব্যয় করতো। কিন্তু এখন আর সেই সময় নাই। এখন নারীরা নিজেরাই উপার্জন করেন এবং নিজেরাই ব্যয় করেন, আবার উনারা দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম নিজেদের সন্তানদের সুশিক্ষিত করার গুরু দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
বিগত দিনে কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অতীতে আমার কাজে অনেক ভুল আছে। সেই ভুলের জন্য আমি আপনাদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না। অতীতে আমার ভুল গুলো আমি এখন বুঝতে পারছি। আজকে মত অতীতে যদি আমি ৩মাস অন্তর অন্তর আমি প্রতিটি ইউনিয়ন এলাকায় সবার সাথে আলোচনায় বসতাম তাহলে বিগত সাড়ে ৪ বছরে বন্দরে যে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে তার থেকে আরো অনেক বেশি উন্নয়ন করা সম্ভব হতো। ভবিষ্যতে এমন ভুল আর হবে না।

সব শেষে সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যেখানে নৌকা নাই সেখানেই লাঙ্গলই শেখ হাসিনার মার্কা। প্রতিটি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীদের বিপুল ভোটে বিজয়ী করে আবারো শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।

কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু মিয়া, মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী মহিলালীগের সভাপতি ড. শিরীন বেগম, জেলা মহিলা পার্টির সভাপতি আঞ্জুমান আরা ভূইয়া, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসনাত রহমান বিন্দু, বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা।

বৃষ্টি —— কামরুন্নাহার লিজা

বৃষ্টি এসো মনের ভেতর, হৃদয়কে ভিজিয়ে
অনুভূতিকে আলোড়িত করে
হতাশাকে ভেঙেচুড়ে।
আমার সকল চাওয়া পাওয়াকে আলোকিত করে
সবুজ করে তোল আমার চাওয়া সকল ইচ্ছেকে
আমি ভিজতে চাই, প্রকৃতির ছোঁয়ায়
উপভোগ করতে চাই তোমার ভালবাসার সকল স্পর্শকে।

আমি বৃষ্টি চাই, বৃষ্টি চাই,
তোমার আকুলতাকে জানতে চাই, ভাবতে চাই,
অর্জন করতে চাই, তান্ডবে জাগতে চাই
দেবে বৃষ্টি তোমার রঙিন ছোঁয়া?

রংধনুকে রং এর ছোঁয়ায় আকঁতে চাই
বৃষ্টির আগমন আর ভেজানো অনুভূতি সবই যেন
নতুন নতুন অনুভূতিকে রাঙিয়ে তোলে।
বৃষ্টি যেন সেই আমাদের নতুন মনের নতুন সুরের গান
হৃদয়ের স্পন্দন, উড়ন্ত ঘুড়ি
যা উড়ে বেড়ায় নীল আকাশের নীলিমায়।
বৃষ্টির প্রকৃত ছোয়ায় তাই ভিজতে চাই বলহুবার
বৃষ্টি এসো আপন ভুবনে, আপন মনে।

চাচা ভাতিজার টানাটানিতে আজাদের থাবা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে এবারের নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে লড়াইয়ে নেমেছিলেন এ আসনের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা মাহমুদুর রহমান সুমন। ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে চাচা ভাতিজার টানাটানিতে ধানের শীষ প্রতীক থাবা দিয়েছেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ফলে বেকায়দায় পড়লো আড়াইহাজারের বিএনপির এই রাজনৈতিক পরিবারটি। মুলত এএম বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুতে অনেকটা কপাল খুলে যায় নজরুল ইসলাম আজাদের। আর চাচা ভাতিজার বিরোধের সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছেন আজাদ।

এ আসনে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়বেন নজরুল ইসলাম আজাদ। ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার নজরুল ইসলাম আজাদের হাতে চূড়ান্ত মনোনয়নের চিঠি তুলে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রাথমিকভাবে আতাউর রহমান আঙ্গুর ও মাহমুদুর রহমান সুমনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তারা বঞ্চিত হয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজারের ২টি পৌরসভা ও ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনটি গঠিত। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৬৮জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৩৯ হাজার ৭৩৪জন এবং পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৩৪ জন। কেন্দ্রের সংখ্যা ১১৩টি।

এবারের নির্বাচনে এ আসনটি পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগসহ ১১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী এ পর্যন্ত তাদের নিজ নিজ দল থেকে মনোনয়ন ক্রয় করেছেন। অনেকেই ফরম পূরণ করে জমাও দিয়েছেন।

এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশা নিয়ে মনোনয়ন চেয়েছিলেন বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, সাবেক এমপি এমদাদুল হক ভূইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান মোল্লা ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার। কিন্তু মনোনয়ন পান বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু।

অন্যদিকে এ আসন থেকে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর ও তার ভাতিজা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। প্রাথমিকভাবে এই তিনজনকেই মনোনিত করে বিএনপি।

এ আসনে গত ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক প্রয়াত এএম বদরুজ্জামান খান খসরু। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনে, ১৯৯৬ ও ১৯৯১ সালে এখানে আতাউর রহমান আঙ্গুর বিএনপি থেকে নির্বাচন করে এমপি নির্বাচিত হন। ১/১১ এর সময় আতাউর রহমান আঙ্গুর সংস্কারবাদীদের দলে যোগ দেন। সম্প্রতি আঙ্গুর মুলধারায় ফিরেন। গত ১১ জুলাই বদরুজ্জামান খান খসরুর মৃত্যুর পর তার ছেলে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা মাহমুদুর রহমান সুমনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেন। এ উপজেলায় খসরু ছিলেন সভাপতি। তারপর তিনি নির্বাচনে দাড়ানোর ঘোষণা দেন। ইতিমধ্যে মামলায় আসামীও হয়েছেন। মামলা থেকে দুরেই রয়েছেন আঙ্গুর। আঙ্গুরকে একটি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদ থেকে নিয়ে এসে বিএনপিতে যোগদান করিয়েছিলেন আঙ্গুরের ভাই বদরুজ্জামান খান খসরু। ওই সময় খসরু ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আঙ্গুরের মনোনয়নে পুরো ভুমিকাই রেখেছিলেন খসরু। কিন্তু আঙ্গুর এমপি হওয়ার পর দুই ভাইয়ের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই বিরোধে উপজেলায় বিএনপির দুটি কার্যালয় রয়েছে। যদিও গত ১২ বছরে কোন কার্যালয়েই একটি কর্মসূচিও পালন করতে পারেনি বিএনপি।

এ আসনে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেছেন জাতীয় যুবসংহতির কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন। গত বছরের জুলাইয়ে মাসে এখানে জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এক জনসভায় এসে আগামী প্রার্থী হিসেবে লোটনের নাম ঘোষণা করেন এবং লোটনের হাত উচিয়ে এরশাদ ভোট প্রার্থনাও করেছিলেন। কিন্তু লোটনকে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত করা হয়নি। এ আসনে ইসলামী আন্দোলন বিভাগীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক হাজী নাসির উদ্দিন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও কৃষক শ্রমিক জনতালীগের আড়াইহাজার থানা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খোকন জসিম মনোনয়ন ক্রয় করেছেন।

শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী করতে সেলিম ওসমানের আহ্বান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

পাকিস্তানের মদদের তৃতীয় একটি পক্ষ আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। সেই সাথে তিনি এও বলেছেন যত ষড়যন্ত্রই হোক না কেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অবশ্যই অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী নির্বাচনে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানাতে সকলের প্রতি আহবান রাখেন। সেই সাথে তিনি বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দের কারনেই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রধানমন্ত্রী মহাজোট থেকে লাঙ্গল মার্কার প্রার্থীর দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, এই লাঙ্গল লাঙ্গলবন্দের লাঙ্গল।

৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে মুছাপুর ইউনিয়নবাসী উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আমি বিগত দিনের মত ভবিষ্যতেও সকলকে নিয়ে সম্মিলিতভাবে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যেতে চাই। ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাওয়ার দিক নির্দেশনাটা আমরা পেয়েছি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। বিগত দশ বছরে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড লক্ষ্য করলে আপনারা বুঝতে পারবেন। আগামী নির্বাচনে যদি আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানানো যায় তাহলে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ ২৫ বছর এগিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র নারীই পারেন প্রধানমন্ত্রী স্বপ্ন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মূল বাস্তবায়নকারী হতে। ভবিষ্যতে নারীদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তাই সবার আগে নারীদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। একজন নারীর পক্ষেই সম্ভব দেশের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করা এবং প্রতিটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে। তাই আমি সকল মা বোনদের প্রতি আহবান রাখবো আপনারা আর পিছিয়ে থাকবেন না। আপনাদেরকে অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।

এদিকে মতবিনিময় সভায় বর্তমান শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও কর্মপন্থা নিয়ে এমপি সেলিম ওসমানের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোনিয়া। এই শিক্ষার্থী বলেন, এমপি সেলিম ওসমান বিগত দিনে আমাদের শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করেছেন। নিজ অর্থায়নে ৭টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। আমাদের ক্লাসে মাল্টিমিডিয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ৩টি স্কুলের সকল শিক্ষার্থীকে বিনা খরচে লেখাপড়া করার সুযোগ করে দিয়েছেন। যা আমাদের শিক্ষায় মনোযোগী করেছেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে উনার মত একজন ব্যক্তিকে অবশ্যই আবারো নির্বাচিত করা উচিত। আর উনি নির্বাচিত হলে উনার কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে, আমি লেখাপড়া শেষ করে বেকার থাকতে চাই না। মাদকের ছোবলে গ্রাস হতে চাই না। আমার চাকরির সন্ধ্যানে সময় নষ্ট করে বেকার বসে থাকতে চাই। আমরা চাই উনি আমাদের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করে দিবেন। আমি আমাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে অনলাইনে আউটসোসিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে। পরিশেষে বলতে চাই উনি প্রায় সকল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। তাই উনাকে অবশ্যই পুনরায় নির্বাচিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন বলেন, এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমার মুছাপুর ইউনিয়নে যে সকল উন্নয়ন হয়েছে। বিগত সময়ে এতো উন্নয়ন মুছাপুরবাসী দেখি নাই। লাঙ্গলবন্দের দিকে লক্ষ্যে করলেই আপনারা উনার কর্মকান্ড সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা পাবেন। আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমান আমরা লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দিয়ে আবারো বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবো।

মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন এর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদ, মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন, সিটিকর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামরুজ্জামান বাবুল, মহানগর মহিলা লীগের সভাপতি ইসরাত জাহান খান স্মৃতি, জেলা যুব সংহতির যুগ্ম আহবায়ক কামাল হোসেন, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার প্রমুখ।

বন্দরে ২ মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ৫০গ্রাম গাঁজা ও ৩৩পিস ইয়াবা টেবলেট সহ ২ মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এদের গ্রেপ্তার করা হয়। মাদক বিক্রেতারা হলো- বন্দর থানার উত্তর লক্ষণখোলা এলাকার ফুলচান মিয়ার ছেলে মোঃ সালাহউদ্দিন ও একরামপুর এলাকার মোঃ বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোঃ রাজন ওরফে রেজা।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অভিযানে বন্দর থানার এসআই মোঃ আলীর নেতৃত্বে থানার লক্ষণখোলা এলাকা হতে সালাহউদ্দিনকে ৩৩পিস ইয়াবাসহ ও অপরাপর সহযোগী একরামপুর এলাকার রেজাকে ৫০গ্রাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

বন্দরে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ও পরিবেশ বিষয়ক কর্মশালা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

লাইফ স্টাইল ও হেলথ এডুকেশন এন্ড প্রমোশন কর্মসূচির আওতায় নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপন ও পরিবেশের প্রভাব বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৬ ডিসেম্বর সকালে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সভাকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে কর্মশালা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বন্দর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিন্টু ব্যাপারী, বন্দর উপজেলা সহকারি ভূমি কর্মকর্তা রুমানা আক্তার, বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ আজহারুল ইসলাম, বন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার ড.মোস্তফা এমরান হোসেনসহ উপজেলার বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তারা। কর্মশালায় স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন ও পরিবেশের প্রভাব বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রদর্শন করা হয়।

সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করতে টাকা দিবেন বিএনপি নেতা!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আদা-জল খেয়ে মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করব। দলমতের উর্ধ্বে থেকে আমরা এমপি সেলিম ওসমানের পাশে থেকে উন্নয়ণ করতে চাই। সেলিম ওসমান যে উন্নয়ণ করেছেন তা নজিরবিহীন। এমন সংসদ সদস্য আমার জীবনে একটিও চোখে পড়েনি। যে এমপি নিজের পকেট থেকে টাকা খরচ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেয় তিনি এমপি সত্যিই মহান। এমন উদার হৃদয়ের এমপিকে আমরা হাড়াতে চাইনা।

বৃহস্পতিবার ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় বন্দর শাহীমসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির প্রস্তুতি সভায় ৯নং কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কক্ষে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আমি বিগত সময়ে নাসিক নির্বাচনে উঠান বৈঠক করতে প্রায় ২০লক্ষ টাকা খরচ করেছি। প্রয়োজনে এমপি সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করতে যত টাকা লাগে আমি খরচ করব কিন্তু সেলিম ভাইকে বিজয়ী না করে ঘরে ফিরবনা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহীমসজিদ পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম মাষ্টার, বাদশা মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন, বন্দর থানা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মানু, যুবলীগ নেতা সামসুল হাসান, জান মোহাম্মদ প্রধাণ, আওয়ামীলীগ নেতা নজরুল, জাপা নেতা আবুল খায়ের, বাবুল কন্ট্রাক্টর, সালাউদ্দিন কন্ট্রাক্টর ও হাবিবুল্লাহ কন্ট্রাক্টরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

বন্দরে খলিল মেম্বারের উপর হামলাকারীদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ বন্দরের মদনপুরে খলিল মেম্বারকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন চানপুর এলাকাবাসী। ৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে মদনপুর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় ওই কর্মসূচী পালন করা হয়।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা খলিল মেম্বারের উপর হামলাকারী সুরুজ-শামীম ও আমির বাহিনীকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তিসহ সুরুজ ও আমির বাহিনীর চাঁদাবাজি ও নিরীহ লোকজনকে হয়রানি বন্ধের দাবিতে বক্তব্য রাখেন।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, খলিল মেম্বার একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। তাকে হত্যার চেষ্টা করেও সন্ত্রাসীর সুরুজ মিয়া বাহিনীর হিংস্রতা কমেনি। জামিনে বেরিয়ে তারা নিরীহ খলিল মেম্বার ও ৫নং ওয়ার্ডবাসীকে হত্যার হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। সুরুজ বাহিনীর ভয়ে এলাকার হাজার হাজার বাসিন্দা নিরাপত্তাহীণ শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

আফলাতুন নাহার শিলু’র ৩টি কবিতা

১। অর্ঘ্য

ধ্রুব বিশ্বাসে হৃদয় আজ লাবণ্যময়ী
তৃষ্ণার্ত চাঁদনী আজ তীর্থযাত্রায়
প্লাবিত আলোর ছটা তোমাতে জড়াচ্ছে পূর্ণিমায়!
কাজলের মুছে যাওয়া অংশে ফাগুনের রঙের আভা
কম্পিত অন্তরে, আঁধারে অন্তিম জোনাক জ্বলার নীরবতা
হাসনাহেনার মাতাল গন্ধে স্বপ্ন ভঙ্গের নস্টালজিয়া।
অবশেষে তোমার হৃদয়ে অর্ঘ্য দিয়ে শেষের কবিতা হয়ে
বিলীন হই পুস্পবিলাসে।

২। হারানো চাবি

আমি ভালোবাসাকে সযত্নে লকারে রেখে
চাবি হারিয়ে ফেলেছি সেই কবে।
ভালোবাসাটা ক্লাসিক, লকারটা এন্টিক
রঙিন সুতোয় বোনা শিকেয় রেখেছি তুলে।
আড়ালে রেখেও এড়িয়ে যাই না কখনো
সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন দিয়েও আসন পায় না সে কখনো।
নশ্বর ভালোবাসার হারানো চাবিটা কী তবে তোমার হাতে প্রিয়!

৩। অবিমিশ্র প্রেম

তেল আর জল মেশে না কখনো
যদি তুমি তেল হও, আমি হবো জল,
কেউ ভেসে, কেউ ডুবে এক হয়ে রবো
কথা আর অনুভবে ভালবাসা এঁকে।

তুমি যদি হও তেল, আমি জল হবো
গোপনে মিশে যাবো মন সরোবরে,
আনন্দ সঙ্গমে স্নান করে মনের আবেগে
অন্তরে ধরা দিবো এক উদার আকাশে।

তৈমূরকে বাদ দেয়া হলে হবে বিএনপির কলঙ্কজনক অধ্যায়!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সেই ১৯৯৮ সালের শুরুর দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। ওইদিন নিহত হয়েছিলেন তারই পাশেই দাড়িয়ে থাকা যুবদল কর্মী ইব্রাহীম। ১/১১ এর সময় তারেক জিয়ার মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। নেয়া হয় রিমান্ডে। রিমান্ডে নিয়ে তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে স্বাক্ষী দিতে দেয়া হয় কয়েক হাজার বোল্ডের বাতির নিচে তার মাথা। তবুও স্বাক্ষী দেয়ার কথা মেনে নেয়নি। জেল খেটেছিলেন ২৬ মাস। বিএনপি ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজপথে বুক উচিয়ে পুলিশের লাঠির সামনে গুলির সামনে যিনি ছিলেন তিনি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার। পুলিশের লাঠির আঘাত পেঠে সহেছিলেন তিনি। গলা চেপে পুলিশ তকে টেনে হেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। জেল খেটেছেন। কিন্তু যেখানে একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর আলম খন্দকারকে ঘোষণা করা উচিত সেখানে আরো দুজন রাজপথের আন্দোলন বিমুখী নেতাকে মনোনয়ন চিঠি দেয়াটাও তৈমূর আলম খন্দকার ও তার নেতাকর্মীদের জন্য অপমানজনক। যেখানে ওই দুই মনোনিত নেতাকে কখনও কারাগারে যেতে হয়নি। পুলিশের মার খেতে হয়নি। গুলি খেতে হয়নি।

এমনকি বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পরেও তার মুক্তির দাবিতে শ্লোগানই ধরতে হয়নি আজকে তারাও তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে মনোনিত হন। এখন শঙ্কা দেখা দিয়েছে তৈমূর আলম খন্দকারকে বাদ দিয়ে ওই দুই জনের কাউকে চূড়ান্ত মনোনিত করার। নেতাকর্মীরা এসব কথা বলে দাবি করেছেন, যদি তৈমূর আলমকে বাদ দেয়া হয় তাহলে এখানে বিএনপিতে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়ের সূচনা হবে। নেতাকর্মীদের প্রমানিত হয়ে যাবে ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপি মুল্যায়ন করে না। আর ওই দুজনের মধ্যে থেকে একজনকে মনোনিত করা হলে সেখাানেও অর্থের লেনদেনের গন্ধ পাওয়া যাবে। তৈমূর আলম খন্দকারের ত্যাগ ও ভুমিকার সঙ্গে যাদের দূরত্ব আকাশ পাতাল সেখানে তৈমূর আলম খন্দকারের বিকল্প প্রার্থী দেয়ারই কোন উচিত নয়। এখন তাকে মাইনাসের চেষ্টাও চলছে। এসব বলেই নেতাকর্মীরা এই প্রতিবেদকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নেতাকর্মীদের দাবি- নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের একজমাত্র ঝান্ডা ধরার যোগ্য হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন তৈমূর আলম খন্দকারকেই। এ আসনে জয় নিশ্চিত করতে তৈমূর আলমই একমাত্র ভরসা। নেতাকর্মীরা এও বলছেন- কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত এ আসনে তিনজনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে রাখলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় একমাত্র একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর খন্দকারই থাকছেন। কিন্তু কোন কারনে এর ব্যতয় ঘটলে নারায়ণগঞ্জে বিএনপিতে কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি হবে। কারন এত ত্যাগের বিনিময়ে যদি তৈমূর বঞ্চিত হন তাহলে ভবিষৎে রাজপথে আর কেউ থাকবেন না।

নেতাকর্মীরা বলছেন- দলের প্রতি তৈমূর আলমের কমিটমেন্ট রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান তৈমূর আলম খন্দকার। সেই তৈমূর আলমকে দিয়ে এখন রূপগঞ্জের আসনটি উদ্ধার করতে হবে। নতুবা এখানে দুই ব্যবসায়ী নেতার মধ্যে কারো হাতে ধানের শীষ তুলে দিলে সেটার ওজন নেয়ার মত অবস্থান রূপগঞ্জে তাদের নেই। আর তৈমূর আলম খন্দকার আমজনতার নেতা। কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া হলেন ব্যবসায়ী। যারা রাজপথের আন্দোলন সংগ্রাম তো দুরের কথা জোড় গলায় একটি শ্লোগান দিয়েছেন কিনা সেটা নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

নেতাকর্মীরা বলেন- সাধারণ মানুষের নেতা তৈমূর আলমকে ২৪ ঘন্টা যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী সমর্থক ফোন করলে নিজ হাতে রিসিভ করে কথা বলেন তিনি। হাটে ঘাটে মাঠে রাস্তায় বসেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খাওয়া ধাওয়া করতে পারেন। এখানে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৈমূর আলম খন্দকার এগিয়ে। অন্যদিকে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়া মুলত নিজেরা দলের কমিটি ও কমিটির পদ পদবীতে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির নিস্ক্রিয় কর্মীদের পদে বসিয়ে নেতা বানানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তৃ নির্বাচনী মাঠে তারা অবস্থান তৈরি করতে পারেননি। এদিকে আবার গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর শহর কেন্দ্রীক একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভুইয়া। কাজী মনিরকে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও তাকে ছাড়াই বাকী কর্মসূচিগুলো পালন করেছে জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জে কাজী মনিরের পক্ষে নেতাকর্মীরা থাকলেও দিপু ভুইয়ার এমপি নির্বাচন করার মত অবস্থান নেই।

অন্যদিকে তৈমূর সম্পর্কে নেতাকর্মীরা বলছেন- বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজ জিম্মায় রূপগঞ্জের কয়েকশ মানুষকে বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে তিনি জেল খেটেছেন ২৬ মাস। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। যে কারনে রূপগঞ্জে তৈমূর আলম খন্দকার হাটা শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সমাবেশ সৃষ্টি হয়ে যায়। তৈমূর এখনও দাবি করেন আবারো কোন দায়িত্ব পেলে কয়েক হাজার মানুষকে তিনি চাকুরী দিবেন।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন একমাত্র তিনিই। ২০১১ সালের ৬ জুন তিনি শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আতিয়ার রহমানের লাঠির মার পিঠে নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে থেকে তাকে অপমানজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময়কার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি কামালউদ্দীন তৈমূর আলম খন্দকারের গলা চেপে ধরেন। তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরে টেনেহেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈমুর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। ওসি কামাল উদ্দীনকে এএসপি পদে পদোন্নতি করা হয়েছে। তৈমূর আলম খন্দকার পুলিশি নির্যাতন, হামলা মারধর ও কারাভোগ করলেও রহস্যজনক কারনে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়াকে জেল খাটতে হয়নি এবং রাজপথে পুুলিশের মার খেতে হয়নি।

রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার একজন আমজনতার নেতা, মেহনতি, খেটে খাওয়া, দিন মজুরের নেতা।।তিনি পারবেন একমাত্র এ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না এমন নেতাকে মানুষ ভোট দিবে না। যারা মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূৗ দিয়ে হাত মুছেন এমন নেতাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিবে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলমের কাছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের গুরুত্ব বেশি। তিনি রিক্সা চালক ভ্যান চালকদের নেতা ছিলেন। ছিলেন কাজের ভুয়াদের সহযোগীতায়। রয়েছেন বধির সংস্থার চেয়ারম্যান। কয়েক যুগ ধরে অন্ধ প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করে আসছেন। লুঙ্গি পড়া খেটে মানুষকেও তৈমূর আলম খন্দকার তার গাড়িতে ডেকে তুলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জের কোন সাধারণ মানুষকে দেখলেও গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তুলে নেন। কারো সাথে একবার কথা হলে কয়েক বছর পর দেখলেও তৈমূর নাম সহ চিনতে পারেন। গভীর রাতে ফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন নিজে। এসব নিয়ে অনেক নেতা নাক ছিটকালেও তৈমূর কর্ণপাত করেন না।

রূপগঞ্জের খাদুন গ্রাামবাসীর পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা যখন মানুষের কৃষি জম দখলে নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছিল তখন আন্দোলনে নামেন তৈমূর আলম। আর কেউ ছিল না। গ্রামবাসীর পক্ষে মামলার পরিচালনা সহ আন্দোলন করার দায়ে তিনি মামলার আসামীও হয়েছিলেন। তুবও ভুমিদস্যুদের সাথে কোন আপোষ করেননি। এসব কারনে নেতাকর্মীরা বিচার বিশ্লেষন করে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়ার চেয়ে তৈমূর আলমকে এগিয়ে রাখছেন। এর ব্যতয় ঘটলে এ আসনটি বিএনপিকে হারানোর সম্ভাবনা।

সর্বশেষ সংবাদ