আনন্দধাম সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্ম উপলুব্ধির চারণক্ষেত্র: তানভীর হায়দার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, স্বেচ্ছাসেবী, সমাজকল্যাণমুখী সংগঠন আনন্দ ধাম সনাতন-এর ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী পরিষদ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ ইয়ার্ণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনে অনুষ্ঠিত হয়। পারস্পরিক সহযোগিতার মন্ত্র নিয়ে গঠিত কল্যাণমুখী সংগঠন আনন্দধামের এটি পঞ্চম শাখা।
আনন্দধাম সনাতনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বাবু শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন হল্যান্ড প্রবাসী আনন্দধামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কার্যনির্বাহী তানভীর হায়দার খান।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের আজ আত্ম উপলব্ধির সময় এসেছে। রাজনীতির নামে, ধর্মের নামে, ভোটের নামে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল হিন্দু সম্প্রদায়কে তাদের ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে নিজেদের আখের গুছিয়ে নেয়। তিনি বলেন, এই স্বার্থন্বেষী মহল থেকে নিজেদের মুক্ত করতে অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠায় আনন্দধাম সনাতন হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের আত্ম উপলুব্ধির চারণক্ষেত্র।
সভায় সর্বসম্মতিক্রমে শ্যামল দত্তকে সভাপতি ও বাবু অমর মন্ডলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি নিয়ে আনন্দধাম সনাতন গঠন করা হয়।
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা তানভীর হায়দার খান এর পক্ষে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি আনন্দধামের কর্ণধার সাবেক প্যানেল মেয়র শারমিন হাবিব বিন্নী আনুষ্ঠানিকভাবে এই কমিটি ঘোষণা করেন ও নবগঠিত কমিটির সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আনন্দধামের এই বিস্তার যদি আমরা অব্যাহত রাখতে পারি তাহলে আমরা খুব নিকট ভবিষ্যতেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পুরো সমাজকেই এক আনন্দধামে পরিণত করতে পারবো।
আনন্দধামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম-এর সঞ্চালনায় অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দীল মোহাম্মদ দীলু। তিনি তার বক্তব্যে আনন্দধাম গঠনের উদ্দেশ্য ও এর কল্যাণমূলক বিভিন্ন পরিকল্পনা সভাকে অবহিত করেন। দীল মোহাম্মদ দীলু আরো বলেন আমরা বাংলাদেশের সমস্ত অঞ্চলে আনন্দধাম প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধাম কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম বাবু ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মুক্তি। অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আনন্দধাম রূপগঞ্জের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় পরিচালক ডাঃ মোনতাসির আহমেদ, ইকবাল হোসেন মান্নান, আবদুল হাই প্রধান, আফজাল হোসাইন, মঞ্জুর মুন্না, শওকত জুয়েল, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, নাদিম, ইমরান মোস্তফা, অভি, অপু প্রমুখ।

ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আশ্বাসে শান্ত হলো ফকির গার্মেন্টের শ্রমিকেরা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:
দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা বাস্তবায়ন করা হবে বিকেএমইএ এর সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের এমন আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেছে ফকির অ্যাপারেলস এর শ্রমিকেরা। আগামীকাল বুধবার সকাল থেকে তারা কাজে যোগদান করবে।
মঙ্গলবার ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টায় ফতুল্লার পঞ্চবটি বিসিক শিল্পনগরীতে অবস্থিত ফকির অ্যাপারেলসের শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে এমন সিদ্ধান্ত প্রদান করেন বিকেএমইএ সভাপতি সেলিম ওসমান। সেই সাথে তিনি আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শ্রমিকেরা যাতে নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে জন্য ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কারখানাটিতে ছুটি প্রদানের জন্য মালিকপক্ষের কাছে অনুরোধ রেখেছেন তিনি।
ফকির অ্যাপারেলসে উপস্থিত হয়ে এমপি সেলিম ওসমান শ্রমিকদের কাছে মৌখিক ভাবে তাদের অভিযোগ ও দাবীর কথা গুলো শুনেন। পরে তিনি প্রতিষ্ঠানটির চায়না লাইনে বৃদ্ধি করা বেতন ১০ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেন। সেই সাথে যারা উৎপাদন ভিত্তিতে মজুরিতে কাজ করে থাকে তাদের ক্ষেত্রে ফকির অ্যাপারেলস কর্তৃক প্রদত্ত মজুরির সাথে বর্তমান বাজার দর এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গুলোর প্রদানকৃত মজুরি যাচাই বাছাই করে আগামী ৭দিনের মধ্যে নতুন করে মজুরি ঠিক করা হবে।
সেই লক্ষ্যে আগামীকাল বুধবার সকাল ৮-১০টা, বৃহস্পতিবার সকাল ৮-১০ এবং বিকেল ৫-৭টা ও  শনিবার সকাল ৮-১০টা পর্যন্ত বিকেএমইএর কর্মকর্তারা প্রতিষ্ঠানটিতে উপস্থিত থেকে শ্রমিকদের দাবী দাওয়া ও অভিযোগ লিখিত আকারে জমা নিবেন। শ্রমিকদের লিখিত অভিযোগ ও দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সেগুলো পর্যবেক্ষন করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত প্রদান করা হবে। এতে যদি মালিক পক্ষের কোন প্রকার ঘাটতি থাকে তাহলে অবশ্যই শ্রমিকদের দেশের প্রচলিত শ্রম আইন অনুযায়ী শ্রমিকদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে এবং এটি চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে বলবৎ থাকবে।
সেই সময় পর্যন্ত শ্রমিকদের শান্ত থাকাতে অনুরোধ করেছেন বিকেএমইএ সভাপতি এমপি সেলিম ওসমান। সেই সাথে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে অনেকেই তাদের বিভ্রান্তমূলক কথা বলে উস্কানি দিতে পারেন বলে আশক্সকা প্রকাশ করে কোন প্রকার উস্কানিতে পা না দিতে শ্রমিকদের প্রতি আহবান রাখেন। কোন প্রকার সমস্যা হলে সেটি সমাধানে রাস্তায় না নেমে আলোচনায় বসে সমস্যা সমাধানের আহবান রাখেন তিনি।
সেলিম ওসমান আরো বলেন, সোমবারের ঘটনায় পুলিশ যে ১৩জনকে আটক করেছে। তাদের সবাইকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হবে। এ ঘটনায় কোন মামলা মোকাদ্দমা হবে না। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি কেউ কারো উস্কানিতে আবারো এমন ঘটনায় তাহলে পুলিশ নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা করবে। তখন কিন্তু আমি সেলিম ওসমান বা বিকেএমইএ এর কিছুই করার থাকবে না। তাই আপনাদের সকলের কাছে অনুরোধ থাকবে আপনারা বহিরাগত কারো কোন উস্কানিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না। যে কোন সমস্যা আমাদেরকে লিখিত আকারে অবহিত করবেন। আমরা সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।

রূপগঞ্জে ধানের শীষের ঝান্ডা ধরার যোগ্য তৈমূর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম

নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের একজমাত্র ঝান্ডা ধরার যোগ্য হিসেবে নেতাকর্মীরা বলছেন তৈমূর আলম খন্দকারকেই। এ আসনে জয় নিশ্চিত করতে তৈমূর আলমকে একমাত্র ভরসা মনে করছেন তৃনমূল নেতাকর্মীরা। নেতাকর্মীরা বলছেন- কেন্দ্রীয় নেতারা আপাতত এ আসনে তিনজনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে রাখলেও চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকায় একমাত্র একক প্রার্থী হিসেবে তৈমূর খন্দকারই থাকছেন। নতুবা এখানে ধনকুবের দুই নেতাকে নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের জয় নিশ্চিত করা বিএনপির জন্য কঠিন হবে। কারন তৈমূর আলম খন্দকার আমজনতার নেতা। কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া হলেন ব্যবসায়ী। যাদেরকে বিগত সময়ে দলের নেতাকর্মীও ফোন করে পায়নি।

আর তৈমূর আলমকে ২৪ ঘন্টা যে কোন সময় যে কোন নেতাকর্মী সমর্থক ফোন করলে নিজ হাতে রিসিভ করে কথা বলেন তিনি। হাটে ঘাটে মাঠে রাস্তায় বসেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে বসে খাওয়া ধাওয়া করতে পারেন। এখানে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে তৈমূর আলম খন্দকার এগিয়ে। অন্যদিকে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়া মুলত নিজেরা দলের কমিটি ও কমিটির পদ পদবীতে নিজেদের চাটুকার শ্রেণির নিষ্ক্রিয় কর্মীদের পদে বসিয়ে নেতা বানিয়েছেন। কমিটির নেতাদের অনেকেই তৈমূর আলম খন্দকারের সঙ্গে না থাকলেও সাধারণ মানুষ ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিদের মাঝে তৈমূর আলম খন্দকার ব্যাপক সমাদৃত। যেটা কাজী মনির কিংবা দিপু ভুইয়ার নেই। ইতিমধ্যে তৈমূর আলম খন্দকারকে নিয়ে স্থানীয় তৃনমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ মাঠে নেমে পড়েছেন।

নেতাকর্মীরা বলছেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা রুপগঞ্জ আসনটিতে বিএনপির তিনজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তালিকা প্রকাশ করেন।তার মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির এবং কেন্দ্রীয় বিএননির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভূইয়া। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর শহর কেন্দ্রীক একটি কর্মসূচিতেও ছিলেন না দিপু ভুইয়া। কাজী মনিরকে দু’একটি কর্মসূচিতে দেখা গেলেও তাকে ছাড়াই বাকী কর্মসূচিগুলো পালন করেছে জেলা বিএনপি। রূপগঞ্জে কাজী মনিরের পক্ষে নেতাকর্মীরা থাকলেও দিপু ভুইয়ার এমপি নির্বাচন করার মত অবস্থান নেই।

রূপগঞ্জের সাধারণ মানুষ বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার একজন আমজনতার নেতা, মেহনতি, খেটে খাওয়া, দিন মজুরের নেতা।।তিনি পারবেন একমাত্র এ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে। এখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন না এমন নেতাকে মানুষ ভোট দিবে না। যারা মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যূ দিয়ে হাত মুছেন এমন নেতাকে সাধারণ মানুষ ভোট দিবে না। যে সব নেতারা কর্মীদের সঙ্গে কোলাকুলি করতে কিংবা হাত মিলাতেও দ্বিধাবোধ করেন এমন নেতাকে এখানে মানুষ ভোট দিবে না। যে নেতা বাংলাদেশের পানি পান করেন না এবং দেশের বাহিরের ১৬শ টাকার এক বোতল পানি পান করেন এমন নেতা কখনও সাধারণ মানুষের নেতা হতে পারে না।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন- তৈমূর আলমের কাছে খেটে খাওয়া মানুষ, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যান চালকসহ সাধারণ মানুষের গুরুত্ব বেশি। তিনি রিক্সা চালক ভ্যান চালকদের নেতা ছিলেন। ছিলেন কাজের ভুয়াদের সহযোগীতায়। রয়েছেন বধির সংস্থার চেয়ারম্যান। কয়েক যুগ ধরে অন্ধ প্রতিবন্ধিদের জন্য কাজ করে আসছেন। লুঙ্গি পড়া খেটে মানুষকেও তৈমূর আলম খন্দকার তার গাড়িতে ডেকে তুলেন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় নারায়ণগঞ্জ কিংবা রূপগঞ্জের কোন সাধারণ মানুষকে দেখলেও গাড়ি থামিয়ে তার গাড়িতে তুলে নেন। কারো সাথে একবার কথা হলে কয়েক বছর পর দেখলেও তৈমূর নাম সহ চিনতে পারেন। গভীর রাতে ফোন করলেও সাধারণ মানুষের ফোন রিসিভ করেন নিজে। এসব নিয়ে অনেক নেতা নাক ছিটকালেও তৈমূর কর্ণপাত করেন না।

রূপগঞ্জের খাদুন গ্রামবাসীর পক্ষে আন্দোলনে ছিলেন তিনি। আবাসন ব্যবসায়ীরা যখন মানুষের কৃষি জম দখলে নিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করছিল তখন আন্দোলনে নামেন তৈমূর আলম। আর কেউ ছিল না। গ্রামবাসীর পক্ষে মামলার পরিচালনা সহ আন্দোলন করার দায়ে তিনি মামলার আসামীও হয়েছিলেন। তুবও ভুমিদস্যূদের সাথে কোন আপোষ করেননি।

এছাড়াও বিআরটিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে নিজ জিম্মায় রূপগঞ্জের কয়েকশ মানুষকে বিনা পয়সায় চাকুরী দিয়ে তিনি জেল খেটেছেন ২৬ মাস। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। তিনি এখনও দাবি করেন আবারো কোন দায়িত্ব পেলে কয়েক হাজার মানুষকে চাকুরী দিবেন। নিজের পকেটের টাকা খরচে কার্পন্য করলেও মানুষের জন্য কোটি টাকার উপকারে তিনি কার্পন্য করেন না।

২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি হন তিনি। তারপর থেকে রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন একমাত্র তিনিই। ২০১১ সালের ৬ জুন তিনি শহরের ২নং রেলগেট এলাকায় সদর মডেল থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার এসআই আতিয়ার রহমানের লাঠির মার পিঠে নিয়েছেন। চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ কোর্টের সামনে থেকে তাকে অপমানজনকভাবে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময়কার ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ওসি তৈমূর আলম খন্দকারের গলা চেপে ধরেন। তৈমূর আলমের গলা চেপে ধরে টেনেহেছড়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার সময় তৈমুর আলমের জিব্বাহ বের হয়ে আসলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। তৈমূর আলম খন্দকার কারাভোগ করলেও রহস্যজনক কারনে কাজী মনির ও দিপু ভুইয়াকে জেল খাটতে হয়নি এবং রাজপথে পুুলিশের মার খেতে হয়নি। ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে অগাত জয়ের সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে নির্বাচনের সাত ঘন্টা আগে তিনি নির্বাচন থেকে সরে যান। তাই সর্ব দিক থেকে একমাত্র তৈমূর আলম খন্দকার।

র‌্যাবের হাতে এক নারী সহ দুই মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে সাড়ে ৮ হাজার ইয়াবা ও মাদক বিক্রির টাকা নিয়ে এক নারী সহ দুই মাদক বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। ৪ ডিসেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত র‌্যাব-১১ এর সহকারী পরিচালক এএসপি মোঃ নাজমুল হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব জানায়- ৩ ডিসেম্বও সোমবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চিটাগাং রোডের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে র‌্যাব-১১ এর চেকপোষ্টে চট্রগ্রাম থেকে ঢাকাগামী গ্রীনলাইন পরিবহনের একটি বিলাসবহুল ডাবল ডেকার এসি কোচে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে মোঃ ফোরকান ও মোসাঃ লায়লা বেগমকে আটক করা হয়। এ সময় আটককৃত ব্যক্তিদের নিকট থেকে সাড়ে ৮ হাজার পিস ইয়াবা ও মাদক বিক্রির ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃ ফোরকান চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী থানার বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অভিনব কায়দায় নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য ইয়াবা চুম্বকের সহায়তায় বাসের সীটের তলায় সংযুক্ত করে কক্সবাজার থেকে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায় সরবরাহ করে আসছে। উল্লেখ থাকে যে, আইন শৃংখলা বাহিনীর নজর এড়াতে মোঃ ফোরকান মাদক পাচারে সহায়তা করার জন্য তার সাথে মোসাঃ লায়লা বেগমকে সহযাত্রী হিসেবে নিয়ে আসে।

র‌্যাব-১১ দাবি করে- র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মাদকের করাল গ্রাস থেকে যুব সমাজ তথা দেশকে বাচাঁতে র‌্যাব নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

সোনারগাঁয়ে নাটকীয়তার অপেক্ষায় মহাজোট প্রার্থী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সোনারগাঁয়ে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে নাটকীয়তা অপেক্ষা করছে। জাতীয়পার্টিতে হয়েছে নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা। পুরো পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত প্রার্থীদের হিসেব নিকেশ। সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টির মনোনিত প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত আসলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা আশা দেখছেন স্বতন্ত্র মনোনয়ন দাখিল করা আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতকেই মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হতে পারে। এতেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

যদিও নির্বাচন কমিশন বলছে- মনোনয়ন দাখিলের পর প্রার্থীতা বৈধতা ঘোষণা হলে পরে আর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে কায়সার হাসনাতকে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও তাকে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে। আবার এখানে এমনটাও হতে পারে জাতীয়পার্টির মনোনয়ন নিয়েই নির্বাচনে যাবেন এমপি খোকা। আওয়ামীলীগের নেতৃত্বধীন মহাজোট থেকে কোন ঘোষণা না আসলে নেতাকর্মীরা ধরে নিবেন এখানে প্রার্থীদের নির্বাচনের বিষয়ে উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এর সম্ভাবনার কারন হিসেবে বলা যায় এখনও জাতীয়পার্টির প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার জন্য আওয়ামীলীগ থেকে কেন্দ্রীয় কোন নির্দেশনা সোনারগাঁও আওয়ামীলীগ পায়নি। যদি এমনটাই থেকে যায় তাহলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা কায়সার হাসনাতের পক্ষেই ঝাপিয়ে পড়বেন। কারন যে কজন প্রার্থী রয়েছেন তাদের মধ্যে ভোটের হিসেবে ও যোগ্যতায় কায়সার হাসনাতই রয়েছেন এগিয়ে।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন- নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনটি নিয়ে বেশ আলোচিত হয়ে আসছে। হয়তো আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নাটকীয় কিছু ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কারন এখনও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে ঘোষণা করা হয়নি। ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয়পার্টির নতুন মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা একটি টিভি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ৯ ডিসেম্বরের পরে মহাজোটের প্রার্থী চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে। কোন কোন আসনগুলো মহাজোটকে ছাড় দেয়া হয়েছে সেটা ওইদিন পরেই বলা যাবে।’ মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লিয়াকত হোসেন খোকা ঘোষণা না নিয়ে আসতে পারলে ভোটের হিসেবে তিনি বেশ পিছিয়েই পড়বেন।

এ আসনে ভোটের হিসেবেও ঘটতে পারে নাটকীয়তা। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান ও খন্দকার আবু জাফর। কিন্তু আবু জাফর অনেকটা মান্নানের প্রার্থীতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেই তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। এখানে মনোনয়ন পাননি সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। জাফর মুলত রেজাউল করিমের ঘনিষ্ঠজন। বিএনপিতে তাদের রয়েছে ভোট ব্যাংক। তারা পুরোদমে মান্নানের পক্ষে কাজ না করলে এখানে মান্নানের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। রেজাউল করিম ও জাফর তাদের অনুসারিদের নিয়ে মান্নানের পক্ষে নির্বাচনী কাজে না থাকলে ধানের শীষের পরাজয় অনেকটা সম্ভাবী।

এক্ষেত্রে সুযোগ নিতে পারেন কায়সার হাসনাত। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। মৌসুমী ভোট টানবে নারী ও জাতীয়পার্টির নেতাকর্মীদের একাংশের। এক্ষেত্রে এমপি খোকার ভোট মাইনাস হবে। যদিও গত রবিবার মোশারফ হোসেন ও মৌসুমীর মনোনয়ন বাতিল করা হলে তারা আপীল করেছেন। আপিলে বৈধতা পেলেই তারা নির্বাচনে নামতে পারবেন। আবার মোশারফ হোসেন শেষ মুহুর্তে হয়তো তার ভাতিজা কায়সার হাসনাতকে সমর্থন দিয়ে সরে যেতেও পারেন। এক্ষেত্রে কায়সার যাবে আরও এগিয়ে। কায়সার এমপি থাকাকালীন সময়ে তার দ্বারা মানুষের বড় ধরনের উপকার না হলেও ক্ষতি হয়নি। সোনারগাঁয়ে তার ক্লিন ইমেজ একজন সাদা মনের নেতা হিসেবেই তাকে চিনেন। যদিও আওয়ামীলীগের একটি অংশের সঙ্গে রয়েছে তার দূরত্ব। যদিও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না আসে সেক্ষেত্রে আওয়ামীগের প্রায় সবাই নামবেন কায়সার হাসনাতের পক্ষে। তবে এমন হিসেবে নিকেষের মাঝে সুযোগ খুজছেন মৌসুমীও। এখানে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে ও ভোটের হিসেব নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছেন বর্তমান এমপি। এখন দেখার বিষয় কি ঘটতে যাচ্ছে সোনারগাঁও আসনটি নিয়ে।

নারায়ণগঞ্জে দুই মনোনয়ন শিকারির রাজনীতিতে বিদায়

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির রাজনীতিতে বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম ও সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। দুজনই মুক্তিযোদ্ধা। যদিও রেজাউল করিম মুক্তিযোদ্ধা কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠেছিল বারবার। তিনি হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী। বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সব নির্বাচনে এমপি নির্বাচিত হন। মাঝের ২১ দিনের ক্ষমতার নির্বাচনেও তিনি এমপি নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে আওয়ামীলীগ থেকে বিএনপিতে এসেই মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন গিয়াসউদ্দীন। এবার প্রবীন দুই রাজনীতিকের নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে গেছে। কারন এ নির্বাচনের পরবর্তী নির্বাচনের ৫ বছরে তাদের আর সেই সুযোগ থাকছেনা। কারন সেটা বয়স ও বর্তমান রাজনীতির প্রেক্ষাপটে। মুলত এই দুই নেতা ছিলেন নির্বাচন কেন্দ্রীক রাজনীতিতে। যে কারনে তাদেরকে নেতাকর্মীরা বলেন মনোনয়ন শিকারি।

নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তৃনমূল থেকে ওঠে আসনে রেজাউল করিম। তিনি সোনারগাঁয়ে একাধিকবার এমপি নির্বাচিত হন। হয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি নিজেকে অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা দাবি করায় দুটি বিষয় নিয়েই প্রশ্ন ওঠে বারবার। রেজাউল করিমের আমলে সবচেয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল ‘ওরা ১১ জন’। যাদের নিয়ন্ত্রনে ছিল পুরো সোনারগাঁ। অন্যায় অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রও কম করেনি ওরা ১১ জন। রেজাউল করিম ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্বেও। ১/১১ এর সময় রেজাউল করিম খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংস্কারবাদীদের সঙ্গে যোগ দেন। তারপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পান এবং আওয়ামীলীগের প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের কাছে ৮২ হাজার ভোটে পরাজিত হন।

তারপর থেকে রেজাউল করিম মাঠের রাজপথের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। শুধুমাত্র নির্বাচনের সময় আসলেই তিনি এলাকায় গণসংযোগ করতেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনের বছর খানিক আগে তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন সামাজিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলোতে সরব হন। ওই সময় সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন। ওই নির্বাচনে শুধুমাত্র সোনারগাঁও নিয়ে এ আসনটি সংস্কার করা হয়। নির্বাচনের পর আবারো তিনি নিজেকে গুটিয়ে নেন। কিন্তু এবার আর তার ভাগ্য ফলপ্রসু হয়নি। এ আসনে দুজনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও রেজাউল করিমকে চিঠি দেয়া হয়নি। যদিও সোনারগাঁয়ে তার ভোট ব্যাংক রয়েছে একটি অংশ।

অন্যদিকে একইভাবে মনোনয়নের রাজনীতি করতে গিয়ে এবার মনোনয়ন পাননি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করলেও ঋণের দায়ে তার মনোনয়ন বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পান শিল্পপতি সফর আলী ভুইয়া। ওই নির্বাচনের মাত্র ২১ দিন আগে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করে বিএনপি যোগদান করেন গিয়াস। পরে সফল আলীর মনোনয়ন বাতিল করে বিএনপি মনোনয়ন দেয় গিয়াসউদ্দীনকে। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শামীম ওসমানকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন গিয়াসউদ্দীন। এর আগে শামীম ওসমানের কর্মী ছিলেন গিয়াস। ২০০৮ সালে কারাগারে থাকায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন পান মুহাম্মদ শাহআলম। ওই নির্বাাচনে শুধুমাত্র ফতুল্লা নিয়ে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন।

ওই নির্বাচনের পর সিদ্ধিরগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে শোডাউন করেন গিয়াস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে সিদ্ধিরগঞ্জ আবারো যুক্ত করা হয় ফতুল্লা নিয়ে। সোনারগাঁও থেকে তখন মুখ ঘুরিয়ে নেয় গিয়াস। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি। সেই নির্বাচনের পর শুধুমাত্র তার নির্বাচন কেন্দ্রীক কর্মকান্ড ছাড়া দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে তার কোন ভুমিকা ছিল না। এবার তিনি আবারো মনোনয়নের জন্য চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এখানে মনোনয়ন পেয়েছেন মুহাম্মদ শাহআলম ও অধ্যাপক মামুন মাহামুদ। মামুন মাহামুদ সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির সদস্য সচিব ও জেলা বিএনপির সেক্রেটারি। গিয়াসউদ্দীনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার যিনি সেই জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাই রাজু গিয়াসের বলয়ের ত্যাগ করেছেন। ফলে সিদ্ধিরগঞ্জে গিয়াসের অবস্থান নড়বড়ে। আর আবারো তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসাটা তার জন্য কঠিন হয়ে যাবে। যে কারনে নেতাকর্মীরা তাকেও রাজনীতিতে বিদায় দেখছেন।

চোরাবালি — কবি মহুয়া বাবর

চোরাবালি
— কবি মহুয়া বাবর

দিনের আলো বালু পাহাড়ে গড়াগড়ি খায় যখন
সূর্য রশ্মির সোনালী আভায় বালুকণা কেমন
উজ্জ্বল আর চকচক করে তখন
মনে হয় যেন কোনো মরুর উদ্যান!

মনে পড়ে এই মরু পথেই উটের পিঠে চড়ে যুদ্ধে গেছে সহস্রাধিক দুর্দান্ত সৈনিক, পায়ে হেঁটে গেছে কতো কাফেলার দল
কিংবা প্রিয় নজরুলের অসংখ্য গানের অন্যতম
যা শুনে আজো আমরা মশগুল —
আয় মরুপারের হাওয়া, নিয়ে যা রে মদিনায়

যতদূর চোখ যায় যেনো প্রাচীন কোনো রূপসাগর
যেখানে মনি মুক্তা হীরা পান্না রত্নের অজস্র ভাণ্ডার
একটু স্পর্শ করলেই সব ঐশ্বর্য উছলে পড়বে হাতের মুঠোয়
এ যেনো এক অলৈকিক বাগান!

অথচ এই প্রান্তরে হারিয়ে গেছে কতো স্বপ্ন, কতো পথহারা পথিকের জীবন
হয়তো তার জন্য কেউ অপেক্ষায় ছিলো একদিন
সে কী তার স্বপ্নের স্মৃতি বয়ে বেড়াবে চিরদিন?

এই বালুকণা দেখার মতোই কখনো কখনো
আমরা স্বপ্ন দেখতে গিয়ে ভুল করে ফেলি

কেউ সারাজীবন এই ঘোরের মধ্যেই থেকে যায়
কেউ বা মরীচিকা জেনেও নিরাশার তরী বেয়ে যায়
তাই কারো কারো আর গন্তব্যে ফেরা হয় না
দিনের আলোয় দেখা স্বপ্নগুলো
রাতের চোরাবালিতে ঝরে গেলে আর ফেরা হয় না
অনিশ্চিত জেনেও বালুচরেই বেঁধে রাখে নিজের জীবন।

নারায়ণগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ী নিহত: র‍্যাবকে অভিনন্দন জানিয়ে মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জে র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হাসান (৩৮) নিহত হয়েছেন। র‌্যাব অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় র‍্যাব-১১ কে অভিনন্দন শুভেচ্ছা মিছিল করেছে নারায়ণগঞ্জের বৃহতর দেওভোগ এলাকাবাসী।

৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরে এই মিছিল করে দেওভোগ এলাকাবাসী। তারা দাবি করেন মাদক ব্যবসায়ী হাসান ছিলেন হৃদয় হোসেন বাবুর হত্যাকারী। ২ ডিসেম্বর রবিবার ভোরে শহরের আলামিন নগর এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন হাসান।

নিহত হাসান শহরের দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে। হাসানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, তিনটি অস্ত্র, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিশটি মামলা রয়েছে। প্রতিটি মামলায় তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী ছিলেন বলে র‌্যাব জানায়।

র‌্যাব-১১ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক আলেপ উদ্দিন জানান, শহরের আলামীননগর এলাকায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী হাসান বিপুল পরিমান ইয়াবা নিয়ে আলামীননগর এলাকায় একটি বাড়িতে অবস্থান করছে, এই সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব রবিবার ভোরে সেখানে অভিযান চালিয়ে বাড়িটি ঘিরে ফেলে। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির ভেতর থেকে র‌্যাবকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু হয়। র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় বিশ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর র‌্যাব বাড়ির দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসানকে পড়ে থাকতে দেখে। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, বন্দুকযুদ্ধের সময় আলম ও আলামীূন নামের দুই র‌্যাব সদস্য আহত হয়েছেন। তাদেরকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব চার রাউন্ড গুলির্তি একটি বিদেশী পিস্তল ও দুই হাজার পাঁচশ’ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করেছে।

নারায়ণগঞ্জে আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার: খোকন সাহা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা হিন্দু সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জের আওয়ামীলীগ মানেই ওসমান পরিবার। অতীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল বিপদে আপদে সব সময় সবার আগে ওসমান পরিবারের সদস্যরাই এগিয়ে গিয়েছেন, আমাদের ছায়া দিয়ে সকল বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করে রেখেছেন। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে হিন্দুরা নিরাপদে বসবাস করতে পারে। ২০০১ সালের বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের অত্যাচারের কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপদে বসবাস করতে আগামী নির্বাচনেও আওয়ামীলীগ এবং শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই। আগামীতে যদি শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী না বানানো যায় তবে আমি খোকন সাহা নারায়ণগঞ্জে কেন বাংলাদেশে থাকতে পারবো কিনা জানি না, জীবিত থাকতে পারবো কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ আছে। আর যদি আপনারা মনে করেন যে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে বিপদ সব খোকন সাহার উপর দিয়ে যাবে। তাহলে আপনারা ভুল করবেন। আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশে হিন্দুরা থাকতে পারবে কিনা সেই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাই আগামী নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে শেখ হাসিনা মনোনীত মহাজোটের প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে আবারো জয়ী করতে হবে। এ ছাড়া বিকল্প কোন পথ নাই।

একই মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি সেলিম ওসমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে নারায়ণগঞ্জে অতীতে যেভাবে ওসমান পরিবারে সদস্যরা একে একে খান সাহেব ওসমান আলী, একেএম শামসুজ্জোহা, নাসিম ওসমান ও শামীম ওসমান সহ তিনি নিজে যেভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন এবং ভবিষ্যতেও ওসমান পরিবারের সকল সদস্যরা নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের সুখে দু:খে সব সময় পাশে থাকবেন।

আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী এমপি সেলিম ওসমান তথা ওসমান পরিবারের উপর আস্থা রাখতে চান নারায়ণগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়। আসন্ন নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে তাঁরা এমপি সেলিম ওসমানকেই পুনরায় নির্বাচিত করতে চান।

সোমবার ৩ নভেম্বর রাত ৮টায় চাষাঢ়াও অবস্থিত হীরামহলে এমপি সেলিম ওসমানের সাথে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট, বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদ সহ নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার নারী পুরুষের সাথে মত বিনিময় করেন।

উক্ত মত বিনিময় সভায় বক্তারা বাংলাদেশে বিগত সময় গুলোতে বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন। তারা কোন অবস্থাতেই এমন ভয়ানক আর বিভীষিকাময় অতীত স্মৃতির পুণরাবৃত্তি বা সম্মুখীন হতে চান না।

বক্তারা সেই সাথে বিগত সময় গুলোতে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর নেমে আসা সাম্প্রদায়িক সংকটময় পরিস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের পর্যায়ক্রমে মরহুম খান সাহেব ওসমান আলী, মরহুম এ.কে.এম শামসুজ্জোহা, প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান, বর্তমানে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সাহসিক ও প্রশংসনীয় ভূমিকা এবং তাদের বিপদ থেকে রক্ষার করার মত বিষয় গুলো তুলে ধরেন। সেই সাথে সেলিম ওসমান সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার প্রতি বছর শারদীয় দূর্গা উৎসবে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি পূজা মন্ডপে গত ৪ বছরে প্রায় ১ কোটি টাকার অনুদান, লাঙ্গলবন্দে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার পর তাঁর প্রশংসনীয় পদক্ষেপ এবং পরবর্তীতে লাঙ্গলবন্দের ব্যাপক উন্নয়ন এবং হাজার কোটি টাকা বাজেটে মেগা প্রকল্পের অনুমোদন, বিভিন্ন মন্দিরের উন্নয়নে কোটি টাকার আর্থিক অনুদান, বন্দরের ধামগড়ে বেদখল হয়ে যাওয়া শ্মশানের জমি উদ্ধার, বেশ কয়েকজন হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের দীর্ঘদিন জবর দখল হয়ে থাকা বসত ভিটা উদ্ধার করে দেওয়া হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি তার সহযোগীতা ও সহমর্মিতার বিষয় গুলো গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরেন।

এ সময় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শতকার ৯৫ ভাগ আওয়ামীলীগকে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের দৃশ্য একটু ভিন্ন। এখানে আওয়ামীলীগ বা জাতীয় পার্টি, নৌকা অথবা লাঙ্গল মার্কা আলাদা কোন বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে এমপি সেলিম ওসমানকে মনোনীত করেছেন। তাই আমরাও মার্কা কি সেটা বুঝিনা আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জে সেলিম ওসমানকে লাঙ্গল মার্কায় হিন্দু সম্প্রদায়ের শতভাগ ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু বৌদ্ধ খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি কমান্ডার গোপি নাথ দাস, মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন শীল, বিশিষ্ট হিন্দু নেতা প্রবীর কুমার সাহা, অমল কুমার পোদ্দার, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শংকর কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক সুজন কুমার সাহা, মহানগরের সভাপতি দিপক কুমার সাহা, সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকার, রিপন ভাওয়াল, দিলীপ কুমার মন্ডল সহ সহস্রাধিক হিন্দু নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক চান সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান মহাজোটের এমপি সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি হিসেবে দেখতে চান নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু।

সোমবার ৩ নভেম্বর বিকেলে চাষাঢ়া হীরা মহলে এক সভায় তিনি উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। একই অনুষ্ঠানে বিএনপির শহর কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি জমসের আলী ঝন্টুও সেলিম ওসমানকে নির্বাচিত করার ঘোষণা দেন।  তারা দুজনই সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর।

এর আগের দিন বন্দরের কাউন্সিলরদের নিয়ে সেলিম ওসমানের অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় উপস্থিত হয়ে সেলিম ওসমানকে আবারো এমপি নির্বাচিত করার ঘোষণা দের মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, বিএনপির কাউন্সিলর সুলতান আহমেদ, কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, কাউন্সিরর এনায়েত হোসেন, কাউন্সিলর সামসুজ্জামান। তারা বিএনপির সমর্থনে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। গত ২৬ জুন সেলিম ওসমাকে সংবর্ধধনা দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতির জনকের ছবি সম্বলিত ব্যানারে মিছিল করে জনসভায় যোগদান করেছিলেন।

এদিকে সোমবার সেলিম ওসমানের সভায় মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু বলেছেন, দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। আমি বিএনপি একটি দলের রাজনীতি করি। ওই দলের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক। তারপরেও আমি উনার জন্য এসেছি। সর্ব প্রথম ২০০৩ সালে উনার কাছে গিয়েছিলাম। উনি আমাকে প্রশ্ন করে ছিলেন তুই ভাল হবি কিনা? আমি বলেছিলাম ভাল হয়ে যাবো। এরপর আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা ৩বার এই ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আমার ওয়ার্ডে তিনি নিজ তহবিল থেকে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন করেছেন। যেখানে সুপেয় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা, রাস্তায় এলইডি লাইট, ওয়াইফাই জোনে, এলাকার নিরাপত্তায় সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন, ৪টি মসজিদের উন্নয়নে অর্থায়ন করেছেন। যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে তাকেই আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করতে না পারলে ক্ষতি আমাদেরই হবে।

এর আগে সেলিম ওসমান বলেন, যেদিন থেকে ফজর নামাজের সময় জুম্মা নামাজের মত মসজিদ পরিপূর্ণ হবে সেদিন থেকে নারায়ণগঞ্জে কোন অশান্তি থাকবে না। নারায়ণগঞ্জ হবে শান্তিময় শহর। আর এ শহরের উন্নয়ন হবে সব থেকে বেশি।

তিনি আরো বলেন, বন্দর থানায় সিটি কপোরেশনের সকল কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছি। আজকে শহরে কাউন্সিলরদের মধ্যে ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেন এসেছে। মাত্র ২জন কাউন্সিলর আসেননি। যার মধ্যে একজন মনোনয়ন জমা দিয়ে ছিলেন কিন্তু বাতিল হয়েছে। আরেকজন হচ্ছেন কাউন্সিলর অসিত বরুন বিশ্বাস। আশা করি ভবিষ্যতে উনারা দুজনেও আসবেন। প্রত্যেক জন কাউন্সিলের মাথায় নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের ভিন্ন ভিন্ন পরিকল্পনা আছে। সবার সাথে পৃথক ভাবে আলোচনা করে সবার পরিকল্পনা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের স্বার্থে সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের কাছে যাবো দেখবো উনি কিভাবে কাজ না করে পারে।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর তাদের পরিবারের দু:সময়ের স্মৃতি তুলে ধরে সেলিম ওসমান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের পরিবারকে নি:স্ব করে দেওয়া হয়। বাবা জেলে, বড় ভাই বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিয়ে ঘর ছাড়া। আমাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। মাত্র ৩৭ হাজার টাকার জন্য আমাদের পৈত্রিক বাড়ি হীরা মহল নিলামে তোলা হয়। বাড়িটি মুক্ত করতে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসেন শফি হোসেন খাঁন, এরপর আসেন আমার আলী আহম্মদ চুনকা চাচা। উনি ইচ্ছে করলে একাই ওই টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু উনি বলেছেন নারায়ণগঞ্জের সবাই মিলে আমরা এটা শোধ করবো। দেওভোগ এলাকার আমিনুল চাচা রাতের অন্ধকারে আমাদের বাসার সামনে চালের বস্তা ফেল যেত। যেটি তখন আমাদের খুবই উপকারে এসেছে। এমন কষ্টের সময় আমাদের পরিবারকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। কিন্তু অতীতে কষ্ট নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। অতীতের কষ্ট দূরে ঠেলে নতুন দিনে সম্ভাবনায় সকলে মিলে কাজ করে যেতে হবে।

সভায় জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কবির হোসেন, ১৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাশেম শকু, ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জমশের আলী ঝন্টু উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে একই স্থানে সন্ধ্যা ৭টায় নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় সভা করেন এমপি সেলিম ওসমান। সভায় হিন্দু নেতৃবৃন্দরা আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে বলেন। নৌকা লাঙ্গল বুঝিনা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা যাকে প্রার্থী দিবেন আমরা সবাই তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবো।

সর্বশেষ সংবাদ