ফতুল্লায় শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র, আহত অর্ধশতাধিক

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির দাবিকে কেন্দ্র করে ফকির নীটওয়্যার নামের একটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ওসিসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শ্রমিকদের দাবি না মেনে গার্মেন্টসের ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা প্রথমে গার্মেন্টস ভাংচুর করে এবং পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এতে পুলিশ এসে বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে বেপরোয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে শ্রমিকরা। পুলিশও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।

পুলিশের লাঠিচার্জ ও শ্রমিকদের ইটের আঘাতে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি), পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন।

ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্তত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, শ্রমিকদের সঙ্গে ফকির নীটওয়্যারের মালিক পক্ষের উৎপাদন মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তেজনা ছিল। আজ শ্রমিকদের দাবি না মেনে তাদেরকে ছুটি প্রদান করায় শ্রমিকরা বিক্ষুব্দ হয়ে গার্মেন্টস ভাংচুর করে ও বিক্ষোভ মিছিল শুরু করলে পুলিশ তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করে। এতে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আমিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে।

রূপগঞ্জে তৈমূর আলমের ওঠান বৈঠকে পুলিশি বাধা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(রূপগঞ্জ) আসন থেকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দিয়েছে পুলিশ। ৩ ডিসেম্বর সকালে রূপগঞ্জের কাঞ্চন এলাকায় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মী ও জনগণের সঙ্গে তৈমূর আলম খন্দকারের ওঠান বৈঠকে বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশি বাধার পরেও তৈমূর আলম খন্দকার তার ওঠান বৈঠক চালিয়ে যান। তৈমূর আলম খন্দকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-১(রূপগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার এবং তার বিকল্প প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুইয়া, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম চন্দন, স্বতন্ত্র হাবিবুর রহমান, ইমদাদ উল্লাহ, আজম খানের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে মোট ১০ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যাদের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী রেহেন আফজাল ও জাকের পার্টির প্রার্থী মাহফুজুর রহমানের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে ৬১ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছিলেন। যার মধ্যে ৪৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেছে নারায়ণগঞ্জ রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। বাতিলের মধ্যে রয়েছে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী জেলা বিএনপির সেক্রেটারি অধ্যাপক মামুন মাহামুদ ও বিএনপির প্রার্থী মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবং গত নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনিত প্রার্থী বর্তমানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন রয়েছেন। তবে ৫টি আসনের বর্তমান ৫ এমপির কারোরই মনোনয়ন বাতিল হয়নি।

২ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধা পর্যন্ত প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই করে বৈধ প্রার্থী ও বাতিল প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া। এ সময় জেলা নির্বাচন কমিশনার আতাউর রহমান সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামীলীগ বাঁচাতে লড়ছেন কায়সার হাসনাত

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও আওয়ামীলীগের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে নেমেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন। তবে আওয়ামীলীগ নেতারা আশা দেখছেন এ আসনে ৯ ডিসেম্বরের আগে নৌকার প্রার্থী কায়সার হাসনাতকে ঘোষণা করা হোক। তবে নির্বাচন কমিশন বলছেন মনোনয়ন দাখিলের পর প্রতীক জমা দেয়ার সুযোগ নেই কোন প্রার্থীদের। এক্ষেত্রে কায়সার হাসনাতকে মনোনয়ন দেয়া হলেও তাকে ভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করতে হবে।

কিন্তু নেতাকর্মীরা প্রাণের দাবি নিয়ে বলছেন, এ আসনে এখনো নৌকার প্রার্থী ঘোষণা করেনি আওয়ামীলীগ। চূড়ান্ত হয়নি মহাজোটের প্রার্থীও। নৌকার প্রার্থী না দেয়ার কারনে নেতাকর্মীরা ধরে নিয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে থাকছেন জাতীয়পার্টি থেকে মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাই। কিন্তু হাল ছাড়ছেন না আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এখনো তিনি দাবি করছেন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের প্রাণের দাবি এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়া হোক। সেটা কায়সার হাসনাত গত বুধবার মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার সময় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নৌকার দাবির শ্লোগানে আর্তনাতই প্রমান করেছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, এখানে নৌকার দাবিতে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশি থাকলেও অনেক আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছেন ওইসব মনোনয়ন শিকারি নেতারা। অনেকেই মনোনয়ন দাবি করেছিলেন যাদের মধ্যে গণভবনের সামনে যাওয়ার মত পজিশন নেই অনেকের। এখন সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগ বাঁচাতে নৌকার জন্য একাই লড়াই করছেন কায়সার হাসনাত। বাকিরা উধাও।

নেতাকর্মীদের অভিযোগ ওইসব আনাড়ি মনোনয়ন প্রত্যাশিদের নৌকার দাবিতে মনোনয়ন জমা দেয়ার কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী নিয়ে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও জামানত হারাবেন তারাও মনোনয়ন কিনেছেন। যে কারনে নেত্রীর কাছে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ আরও হালকা হয়েছে। গত বুধবার বিকেলে কায়সার হাসনাত কয়েক হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। গণহারে নৌকার দাবিতে মনোনয়ন কেনার হরিলুটের কারনেই এখানে নৌকার প্রার্থী দেয়নি আওয়ামীলীগ। মনোনয়ন প্রত্যাশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, যেখানে অস্বাভাবিক মনোনয়ন প্রত্যাশি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে সেখানে বুঝতে হবে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে পারেননি।

মনোনয়ন জমার দিন কায়সার হাসনাত বলেছিলেন, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের এই যে হাজার হাজার নেতাকর্মী দেখছেন নৌকার দাবিতে জড়ো হয়েছেন। তাদেরকে গেল পাঁচটি বছর একটি আশা একটি স্বপ্ন দেখিয়ে রেখেছিলাম। এখন তাদের অস্তিত্ব, ভালোবাসা ও তাদের স্বপ্নের ঠিকানা আওয়ামীলীগকে সোনারগাঁয়ে বাঁচিয়ে রাখতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে আমাকে বাধ্য করেছে নেতাকর্মীরা।

তবে এর আগে কায়সার হাসনাত বলেছেন, আমি এমপি হতে আসিনি। আমি সোনারগাঁয়ের আওয়ামীলীগকে বাঁচাতে আসছি। কেন্দ্র থেকে আমাকে বলা হয়েছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে। এখনও এখানে মহাজোটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

নেতাকর্মীরা মনে করছেন, আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাতের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়াটা দলের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। সোনারগাঁ আওয়ামীলীগের বিশাল জনগোষ্ঠির সমর্থন ও কর্মীদের দলের ভিতর ধরে রাখতেই বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। রবিবার তার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

এ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুুহাম্মদ এরশাদের পালিত মেয়ে ও কেন্দ্রীয় মহিলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক অনন্যা হুসেইন মৌসুমী। তিনিও স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ তার মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টিকে এ আসনটি ছেড়ে দিলে মোশারফ হোসেন মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে নেন। মোশারফ হোসেন কায়সার হাসনাতের আপন চাচা। ওই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় এমপি নির্বাচিত হন লিয়াকত হোসেন খোকা। নৌকা প্রতীকে এখান থেকে ১০ জন নেতা মনোনয়ন চাইলেও এখনও নৌকার জন্য লড়ছেন কায়সার হাসনাত।

এদিকে রবিবার নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসন থেকে জাতীয়পার্টির বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা, বিএনপি মনোনিত প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আজহারুল ইসলাম মান্নান, আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল কায়সার, তরিকত ফেডারেশনের প্রার্থী মজিবুর রহমান মানিক, কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আব্দুস সালাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সানাউল্লাহ নূরী, জেএসডির প্রার্থী ফখরুদ্দীন ইব্রাহীম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হোসেন জামাল, জাকের পার্টির প্রার্থী মোস্তফা আমির ফয়সাল ও কল্যান পার্টির প্রার্থী রাশেদ ফেরদৌসের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়।

এখানে ১৫ জন মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। যার মধ্যে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেন, জাতীয়পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের পালিত মেয়ে অনন্যা হুসেইন মৌসুমী, আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশি ইঞ্জিনিয়ার শফিকুল ইসলাম, বিএনএফ প্রার্থী শাহাব উদ্দীন হোসেন ভুইয়া ও গণফোরামের প্রার্থী সিরাজুল হকের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়। তবে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সোনারগাও উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর। তিনি মনোনয়ন পত্র দাখিল করেননি। ফলে এখানে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

হিরো আলমের মনোনয়ন পত্র বাতিল

সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওচিত্র তৈরি করে আলোচিত হিরো আলম ভোটে দাঁড়াতে পারছেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে এমপি হতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তিনি। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়েজ আহাম্মদ মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বলেন, কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন নিলে তাকে তার নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। তবে হিরো আলম ভোটারদের স্বাক্ষর-সম্বলিত যে তালিকা জমা দিয়েছেন তা যাচাই করা দেখা গেছে, তিনি ভুয়া ভোটারদের তালিকা জমা দিয়েছেন।

 

জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন হিরো আলম। নন্দীগ্রাম উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও মোছা. শারমিন আখতারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন তিনি।

বিএনপির কাউন্সিলররাও সেলিম ওসমানকে এমপি হিসেবে চাইলেন!

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় করেছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উক্ত আসন থেকে মহাজোট মনোনীত প্রার্থী সেলিম ওসমান। ইতোমধ্যে জেলা রির্টানিং অফিসার রাব্বি মিঞা আগামী নির্বাচনের জন্য তাঁর দাখিলকৃত মনোনয়ন পত্র বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। উক্ত মত বিনিময় সভায় কাউন্সিলরবৃন্দরা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকলের উপস্থিতিতে কাউন্সিলররা বক্তব্যে জানালেন আগামী নির্বাচনে বর্তমান সাংসদ সেলিম ওসমানকে কেন আবারো বিজয়ী করতে হবে।

রবিবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে এমপি সেলিম ওসমানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল আহম্মেদ সাগর বলেন, আগে বন্দর ঘাট দিয়ে হাতে করে বাজারের ব্যাগ নিয়ে আসার সময় ১০টাকা টোল দিতে হতো। আর এখন বন্দর ঘাট দিয়ে ফ্রি যাতায়াত করা যায়। বন্দর ও নবীগঞ্জ ঘাট দিয়ে আমরা ফেরীতে নদী পারাপার হতে পারছি। মদনগঞ্জে শান্তিরচরে নীটপল্লী হলে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এসব কিছুই এমপি সেলিম ওসমানের বদৌলতে সম্ভব হয়েছে। আগামী যদি আমরা উনাকে হারাই তাহলে আমাদের বন্দরবাসীর কপাল পুড়বে। তাই উনাকে আবারো বিজয়ী করতে হবে।

২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা গোলাম নবী মুরাদ বলেছেন, আমি বিএনপি করি। রাজনৈতিকভাবে যার যার দল সে সে করে। আমরা বন্দরবাসী জালাল হাজী সাহেবের আমল থেকে সেলিম ওসমান পর্যন্ত দেখেছি। কোন এমপি কি করেছেন তাও আমরা জানি। বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন নেতা, এমপি, মন্ত্রী হওয়া হলে লুটপাট করে। কিন্তু সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। স্কুল কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসার উন্নয়ন করেছেন নিজ অর্থায়নে। নিজের পকেটের টাকা খরচ করে জনগনের কাজ করেছেন, আমাদের জন্য কাজ করেছেন। তাহলে আমরা উনার মত একজন ভাল মানুষের জন্য কাজ করবোনা কেন? আগামী নির্বাচনে আমরা প্রমান দিবো আমরাও ভাল মানুষ। উনার ভাল কাজের পুরস্কার না দিলে আমাদের বেঈমানী করা হবে।

২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমানের মাধ্যমে আমার ওয়ার্ডে শিকদার মালেক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩টি নতুন ভবন হয়েছে। আরো একটি ভবনের কাজ চলছে। শাহী মসজিদের পাশে প্রাইমারী স্কুলের নতুন ৪ তলা ভবন হয়েছে। যা বন্দরের অন্য কোন এলাকায় হয় নাই। বর্তমানে আওয়ামীলীগের সরকার ক্ষমতায়। আগামীতে মহাজোটের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। আমরা কোন দল নয় উন্নয়নকে প্রাধান্য নিয়ে বিগত দিনে উনার সাথে কাজ করেছি। আগামীতেও উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে উনাকেই পুণরায় বিজয়ী করবো।

২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা সুলতান আহম্মেদ বলেছেন, আমরা তৃনমূলের জনপ্রতিনিধি। আমাদের নির্বাচনে যেভাবে প্রতিটি ঘরে গিয়ে মানুষের পায়ে হাত দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছি। উনার পক্ষে হয়তো সবার কাছে যাওয়া সম্ভব হবে না। আমাদের প্রত্যেককে সেলিম ওসমান হয়ে মানুষের হাত-পা ধরে ভোট সংগ্রহের মাধ্যমে উনাকে বিজয়ী করতে হবে। আমাদের বক্তব্য তখনই স্বার্থক হবে যখন আমরা উনাকে আবারো বিজয়ী করে সংসদে পাঠাতে পারবো।

২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান বলেছেন, সেলিম ওসমানের মাধ্যমে বন্দরে নীটপল্লী হলে প্রায় ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। বন্দরে এখনো লাখ লাখ মানুষ বেকার রয়েছে। বন্দরকে বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে আগামীতে আবারো সেলিম ওসমানকে বিজয়ী করা বন্দরবাসীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে।

২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন বলেছেন, বিগত দিনে আমাদের নির্বাচনে যে ভুল গুলো ছিল সেগুলোতে শুধরে নিয়ে আগামী নির্বাচনে এমপি সেলিম ওসমানের জন্য মাঠে কাজ করতে হবে। অনেকেই উনার নির্বাচন করতে আসছেন। আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। তবে কিছু মীর জাফর ও বেঈমানদের প্রতি আমাদের সকলের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। আগামী নির্বাচনে সেলিম ওসমানের প্রয়োজনে নয় আমাদের বন্দরবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য উনাকে আবারো সংসদে পাঠাতে হবে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি সেলিম ওসমান শুধু এই নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনেই নয় সারা বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর যত সংসদ সদস্য হয়েছেন কেউ উনার মত নিজের পকেটের টাকা ব্যয় করে জনগনের কল্যাণে কাজ করেন নাই।

২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন বলেছেন, সেলিম ওসমান অবশ্যই প্রশংসার দাবীদার। উনার সাথে অন্য কারো তুলনা হয়না। উনি গত সাড়ে ৪ বছর শুধু বন্দরবাসীকে দিয়েই গেছেন। এখন সময় এসেছে উনাকে বন্দরবাসীর পক্ষ থেকে কিছু দেওয়ার। তাই আগামী নির্বাচনে উনাকে আমরা বন্দরবাসী ভোট দিয়ে বিজয় উপহার দিবো।

২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা বলেছেন, বিগত দিনে এমপি সেলিম ওসমান সরকারী অনুদানের পাশাপাশি নিজের পকেটের টাকায় এলাকার সমস্যা সমাধান করেছে, স্কুল কলেজের উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে অব্যাহত করতে আগামীতে অবশ্যই সেলিম ওসমানকে আবারো নির্বাচিত করতে হবে।

২৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান বাবুল বলেছেন, এমপি সেলিম ওসমান নিজের পকেটের টাকা খরচ করে এলাকার অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। এমন করে অন্য কাউকে অসহায় মানুষের পাশে দাড়াতে দেখি নাই। তাই উনার এমন কর্মকান্ড আমাকে অনুপ্রানিত করেছে। আগামী নির্বাচনে উনাকে বিজয়ী করার পরেই এলাকার মানুষের দাবী দাওয়া নিয়ে উনার সামনে যাবো।

মত বিনিময় সভায় এমপি সেলিম ওসমান ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি সহ স্থানীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা।

ফতুল্লা মায়ের সাথে শিশুর হাজতবাস!

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা সরবরাহ করতে এসে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার সাইনবোর্ড এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হন তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস আলী। এসময় তাদের কাছ থেকে ৫৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
সূত্রে জানাযায়, টেকনাফ মনেরখোলা এলাকার সাইদুলের স্ত্রী তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস আলী শহরের তল্লা রেললাইন এলাকায় লাল মিয়ার স্ত্রীকে ইয়াবা দিতে এসে শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের হাতে আটক হয়। এসময় পুলিশ তাসলিমার আনুমানিক ৩ বছরের শিশু সহ মা তাসলিমাকে একই হাজতে রাখা হয়ে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাফিউল আলম বলেন, সাইনবোর্ড এলাকা থেকে তাসলিমা ও তার ভাই ইউনুস ও শিশুকে সহ আটক করে থানায় নিয়ে আসি। পরে তাকে তল্লাশি করে কোন মাদক পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে এক মহিলার সহযোগিতায় পায়ুপথে ১১টি ক্যাপসুল কস্টেপ মোড়ানো (প্রতি ক্যাপসুলে ৫০ পিস) ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।  তিনি আরও জানায়, তাসলিমার সাথে থাকা বাচ্চাটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার আত্মীয়ের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা কেউ বাচ্চাটিকে নিতে আসেনি।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মজিবুর রহমান জানান, বাচ্চার ফ্যামেলির কেউ না থাকাতে বাচ্চাকে তার মায়ের সাথে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তাসলিমার কাছ থেকে ১ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

সাখাওয়াতকে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর, হয়রানির অভিযোগ করলেন তৈমূর

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের ও বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও অবিলম্বে মুক্তি এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

এক বিবৃতিতে জানানো হয়, বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন খান দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন।তাছাড়া তার সব মামলা নারায়ণগঞ্জ আদালতে বিচারাধীন।বিনা কারণে তাকে কেন্দ্রীয় কারাগাওে প্রেরণ করা হয়েছে শুধুমাত্র হয়রানী করার জন্য।

তৈমূর বলেন, হয়রানি করে, ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থেকে দূরে রাখা যাবে না। তৈমূর আরো বলেন। দেশ এখন গায়েবী মামলায় আছন্ন।সরকারের ইচ্ছায় আদালতে মামলা জটের সৃষ্টি হচ্ছে।যার ফল ভোগ করতে হবে দেশের সাধারন জনগণকে।জালিম সরকারের পতন আসন্ন।অচিরেই জনরোষে বাকশালী সরকার ভেসে যাবে।তিনি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবী করে নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য সহকারে বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলার পরামর্শ দিয়েছেন।

তৈমূর আলম খন্দকার ইতিপূর্বে গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতা মামুন মাহমুদ, সাখাওয়াত খান, আবুল হোসেন, মুহাম্মদ হোসেন কাজল, যুবদল নেতা জয়নাল আবেদীন, আমির হোসেন, কাজী সোহাগ, মিনহাজউদ্দিন মুন্না, রফিকুল ইসলাম, ছাত্রদল সভাপতি মশিউর রহমান রনি, শামীম, সাইদ রেজা সহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দাবী করেন।

নারায়ণগঞ্জে ৫টি আসনে নৌকার প্রার্থী চেয়েছিলাম : সেলিম ওসমান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে এমপি সেলিম ওসমান বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি করছেনা। বিএনপির উপর ভর করে নির্বাচন করছেন ড. কামাল হোসেন। যাতে করে আপনাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সারা জীবন জেল থেকে বের হতে না পারে। আপনাদের নেতা তারেক রহমান সারা জীবন বাংলাদেশে আসতে না পারে। তাই তারা বিএনপি নেতাদের বাদ দিয়ে বেছে বেছে বসন্তের কোকিলদের মনোনয়ন দিচ্ছেন।

রবিবার ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বন্দর খেয়াঘাট সংলগ্ন সুরুজ্জামান টাওয়ারে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানাধীন ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলদের সাথে মত বিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, জনপ্রতিনিধিরা নেতা নন। জনপ্রতিনিধিরা জনগণের গোলাম। আর জনপ্রতিনিধিদের উন্নয়ন কাজ করতে যারা সহযোগীতা করেন তারাই হচ্ছে জনপ্রতিনিধিদের নেতা। জনপ্রতিনিধি হতে গেলে অবশ্যই জনগণের গোলাম হতে হবে। কারন আপনার দায়িত্ব পালনের জন্য সরকার আপনাকে সম্মানী ভাতা প্রদান করেন। আর সেই সম্মানী ভাতা আপনি কাউকে দেন না। তাই জনপ্রতিনিধিরা দেশের পাবলিক সার্ভেন্ট।

তিনি বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছি নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই যেনো আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দেওয়া হয়। তিনি আমাকে বলেছেন, আমার বিশ্বস্ত লোক দরকার। তিনি আমাকে মহাজোট থেকেই নির্বাচন করার জন্য বলেন। প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০২১ এর ঘোষণা দিয়েছেন। আর আমি নারায়ণগঞ্জ বন্দরের উন্নয়নের জন্য ভিশন ২০২০ ঘোষণার প্রেক্ষিতে আপনাদের কাছে ২ বছরের সময় চাই।

সেলিম ওসমান আরো বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করে নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনেই নৌকা প্রতীক দেওয়ার কথা জানিয়েছিলাম। উনার সাথে আমাদের পারিবারিক সম্পর্ক। সেই সুবাদে আমি উনাকে আপা বলি। কিন্তু উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যেখানে আছি সেখানেই থাকতে। আমি উনার নির্দেশ অনুসরন করেছি। কারন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর আদর্শ এবং শেখ হাসিনা ছাড়া কিছু বুঝি না। বঙ্গবন্ধুর পায়ে অস্ত্র জমা দিয়ে দেশের উন্নয়নে নেমেছিলাম।

মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে আবারো নিজের রাজনৈতিক গুরু সম্বোধন করে তিনি বলেন, গতকাল আনোয়ার ভাই ও রশিদ ভাই আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে মিটিং করেছেন। আনোয়ার ভাই বলেছেন সেলিম ওসমান যদি আনারস মার্কা নিয়ে নির্বাচন করেন তাহলেও উনি সেলিম ওসমানের নির্বাচন করবেন। আনোয়ার ভাই রশিদ ভাই আমাকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমি অবশ্যই তাদের কাছে যাবো। সবাইকে একত্রে নিয়ে মিলেমিশে সম্মিলিত ভাবে নারায়ণগঞ্জের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য কাজ করে যাবো জীবনে শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত।

জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর থানা আওয়ামীলীগে সভাপতি এম.এ রশিদ এবং বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুলের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে সেলিম ওসমান বলেন, বিগত সাড়ে ৪ বছরে বন্দরে আপনাদের সকলের সহযোগীতায় বন্দরে যে উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের যতটুকুই করতে পেরেছি তার সম্পূর্ন কৃতিত্ব এই তিনজন মানুষের আমি উনাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অপরদিকে শনিবার বন্দরে নারীদের সাথে মতবিনিমিয়কালে এমপি সেলিম ওসমানের সহধর্মিনী মিসেস নাসরিন ওসমান মৃত্যুর পর তাঁর বন্দরে স্বামী পাশে দাফন করার যে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন সেটিকে এমপি সেলিম ওসমান তাঁর জীবনের সব থেকে বড় পাওয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন আমার জীবনে এর থেকে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে। আমার স্ত্রী সারা জীবন একজন বন্ধুর মত আমার ছিল আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এমনকি আমার মৃত্যুর পরেও আমি একা থাকবো না। সেখানেও আমার স্ত্রী আমার পাশে থাকবে। একজন স্বামী হিসেবে এর থেকে সৌভাগ্যের আর কিছু হতে পারে না।

মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, মহানগর বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ রশিদ, মহানগর জাতীয় পার্টির আহবায়ক সানাউল্লাহ সানু, সদস্য সচিব আকরাম আলী শাহীন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফয়সাল সাগর, ২০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ, ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হান্নান সরকার, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সুলতান আহম্মেদ, ২৩নং নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহম্মেদ দুলাল প্রধান, ২৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, ২৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, ২৬ ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জোহা, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাবুল, সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শিউলী নওশেদ, ও হুসনে আরা বেগম, মহানগর আওয়ামী মহিলালীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান খান স্মৃতি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।

আড়াইহাজারে নির্বাচনী মাঠে সুমন, মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা

আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিশেষ প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনের বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া। আর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা শেষে আড়াইহাজারের বিএনপি নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তিনি। ২ ডিসেম্বর রবিবার তার মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলার ৫টি আসন থেকে মোট ৬১ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন। এতে ৪৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ও ১৪ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং অফিসার রাব্বী মিয়া।

মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষিত হওযার পর মাহমুদুর রহমান সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আড়াইহাজারে বিগত সময়ে যারা ত্যাগ স্বীকার করে দলের জন্য কাজ করেছেন তার মাঝে আমার প্রয়াত বাবা এএম বদরুজ্জামান খান খসরু অন্যতম ছিলেন। আমি তারই সন্তান। আমি আমার বাবার স্বপ্ন শান্তির আবাসন আড়াইহাজার গড়ে তুলতে চাই। আমার মাতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, গণতন্ত্রের মাকে মুক্ত করার মাধ্যমে দেশকে আবার অপশক্তির হাত থেকে নতুন করে স্বাধীন করতে চাই। নেতাকর্মীরা যদি সবাই এক সাথে মিলেমিশে কাজ করে তাহলে আমি পাড়ব ইনশাল্লাহ। আড়াইহাজারে কোন বেঈমান, সংস্কারপন্ধী খ্যাত লোকের স্থান হতে পারে না। আপনারা জানেন আড়াইহাজারবাসীর প্রাণপ্রিয় নেতা ছিলেন আমার বাবা। আমিও আমার বাবার মত সেবক হয়ে জনগণের পাশে থাকতে চাই। শুধুমাত্র সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

 

তিনি শতভাগ আশাবাদী এখানে তিনজনকে মনোনিত করা হলেও তাকেই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসন থেকে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম বাবু, বিএনপির মনোনিত প্রার্থী সাবেক এমপি আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, আড়াইহাজার উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুর রহমান সুমন, কমিউনিস্ট পাটির প্রার্থী হাফিজুল ইসলাম, জাকের পার্টির মুরাদ হোসেন জামাল, ইসলাম আন্দোলনের নাসির উদ্দীনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এখানে ৮ জনের মধ্যে ৭ জনের মনোনয়ন বৈধ ও অপরজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।

বিজয় দিবস পালনে বন্দরে প্রশাসনের প্রস্তুতি গ্রহণ

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে বন্দর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিন্টু বেপারীর সভাপতিত্ব সভায় উপস্থিত ছিলেন-বন্দর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহমুদা আক্তার, উপজেলা ভূমি অফিসার রোমানা আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ফারুক আহমেদ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. আব্দুল কাদের, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ ক ম নুরুল আমিন, সমাজসেবা কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, বন্দর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সেন্টু, বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির অধ্যক্ষ শিরিন সুলতানা ও মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমূখ।

সর্বশেষ সংবাদ