ধানের শীষের ঝান্ডা হাতে মান্নানের শোডাউন

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

সন্ত্রাসী হামলার পরেও নির্বাচনী আওয়াজ থেকে থমকে নেই নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনের ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান। ১৫ ডিসেম্বর শনিবার সকাল থেকে সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমর্থক, স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ ভোটারদের নিয়ে শোডাউন করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

জানাগেছে, শনিবার সকাল থেকে পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড থেকে ১নং ওয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে শোডাউন করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান। এসময় স্থানীয় লোকজন ও সাধারণ ভোটাররাও এসে শোডাউনে যোগদান করেন। সোনারগাঁয়ে এই প্রথম শুধুমাত্র ধানের শীষ প্রতীকে বিশাল এই শোডাউন দেখালো।

অন্যদিকে এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচনে রয়েছেন বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ প্রতীকে মাঠে রয়েছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত। এদের ছাড়াও সব মিলিয়ে ৮ জন প্রার্থী এ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তবে বর্তমান এমপি তেমন কোন চমক এখনও দেখাতেই পারেননি।

গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম ও সোনারগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদ আলমের সামনেই সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন আজহারুল ইসলাম মান্নান। ওই ঘটনায় যদিও তাৎক্ষনিক হামলাকারী পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পরিচয়দানকারী রনি বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে রনি বিল্লাহকে তিন মাসের কারাদন্ড দেন আদালত। এ রনি বিল্লাহ স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার পক্ষে কাজ করে আসছিলেন। মুলত সন্ত্রাসী রনি বিল্লাহ সোনারগাঁও উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের বলয়ে রাজনীতি করে আসছিলেন। তবে আজহারুল ইসলাম মান্নানের উপর ন্যাক্কাজনক হামলায় সাধারণ মানুষের কাছে মান্নানের প্রতি সমর্থন আরও বেড়ে গেছে।

প্রার্থী ধানের শীষের, আওয়ামী ভোটে ভরসা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এসএম আকরাম বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে ভোট প্রার্থনায় আগ্রহী নন। বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করলেও বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আচরণ করছেন অনেকটা সতীনের মত। তবে আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি নির্বাচনী বৈতরী পার হওয়ার জন্য ভরসা করছেন আওয়ামীলীগের একটি অংশের ভোটের উপর।

জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বন্দরের ৫টি ইউনিয়ন ও সদরের দুটি ইউনিয়ন এলাকা ছাড়া বাকি পুরো এলাকাটিই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত। এ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দায়িত্বে রয়েছেন ডা. সেলিনা হায়াত আইভী। সিটি কর্পোরেশনের এলাকায় আইভীর ভোট ব্যাংক রয়েছে। টানা দুইবার মেয়র পদে জয়ী হয়েছেন আইভী। একবার শামীম ওসমানকে পরাজিত করে এবং পরের বার বিএনপির প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি মেয়র হন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা এসএম আকরাম এখন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হলেও তিনি বিএনপির নেতাকর্মীদের দেখলে অনেকটা নাক ছিটকাচ্ছেন। বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর এসএম আকরাম ভরসা রাখতে পারছেন না। দুচারজন বিএনপির ওয়ানম্যান খ্যাত নেতাদের নিয়ে দুদিন এলাকায় ঘুরলেও জন¯্রােত তৈরি করতে পারেননি। যদিও সাবেক এমপি আবুল কালামকে তার সঙ্গে নামকাওয়াস্তে একবার দেখাও গিয়েছিল।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, নারায়ণগঞ্জে শহর কেন্দ্রীক রাজনীতিতে উত্তর মেরু ও দক্ষিন মেরুর মধ্যে বিরোধ দ্বন্ধ রয়েছে। এদিকে শামীম ওসমান অন্যদিকে মেয়র আইভী। নির্বাচনী আচরণ বিধিতে বাধা নিষেধ থাকায় মেয়র আইভী নির্বাচনের প্রচারণায় থাকতে পারবেন না। এতে এসএম আকরামের জন্যও আরেকটু সুযোগ হয়ে দাড়িয়েছে। নতুবা মেয়র আইভীকে অনেকটা বাধ্য হয়েই মহাজোটের প্রার্থী সেলিম ওসমানের পক্ষেই নামতে হতো। কারন তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন।

আওয়ামীলীগের বিরোধের কারনে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী এসএম আকরাম ওসমান বিরোধী ভোটের উপর ভরসা করছেন। তবে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করে বলেছেন, ইতিমধ্যে মেয়র আইভী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ানের সঙ্গে গোপন আতাত রয়েছে। এমন আতাতে শামীম ওসমান বিরোধীদের অনেকেই রয়েছেন। যারা বর্তমানে শামীম ওসমানের সঙ্গে থাকলেও কয়েক মাস আগেও যারা ওসমান বিরোধী ছিলেন তারাও ওসমান পরিবারকে এবার সাইজ করতে নীল নকশা তৈরি করেছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন, ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আইভীকে সুযোগ করে দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান এসএম আকরাম। তিনি আওয়ামীলীগের সমর্থন পাননি। যে কারনে নির্বাচনের পরের দিন আওয়ামীলীগ থেকে পদত্যাগ করেন। ওই সময় তিনি জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক পদে ছিলেন। যার প্রতিদান এবারের নির্বাচনে দক্ষিণ মেরুর আওয়ামীলীগ নেতারা দিতে যাচ্ছেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলছেন- নির্বাচনের দুদিন আগে জেলা আওয়ামীলীগের একজন শীর্ষ নেতা বন্দরের মাঠে নামবেন। বিশাল বাজেট নিয়ে তিনি লাঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামবেন। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে যে সেটাপ রয়েছে সেই সেটাপে এসএম আকরামের পক্ষে কাজ করবেন। তবে এসব বিষয় নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা বললেও আরো নানান ধরনের সন্দেহ ও তথ্য বের হয়ে আসছে। তবে দক্ষিণ মেরুর আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা এখনও মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেননি। যে কারনে এসব বিষয়গুলো আরো জোড়ালোভাবে দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশ্ন রয়েছে শেষ পর্যন্ত মেয়র আইভীর অনুগামী ও আইভীর ভোট ব্যাংক কার বাক্সে যাবে? এমপি সেলিম ওসমান নাকি এসএম আকরামের বাক্সে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জে যেসব বামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে সেইসব দলের সমর্থকদের ভোটও যাবে এসএম আকরামের বাক্সে। যে কারনে বিএনপির উপর ভরসা করছেন না এসএম আকরাম।

বন্দরে লাঙ্গলের পক্ষে খান মাসুদের মিছিল

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাসুদ। ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে মিছিলটি থানার ১নং খেয়াঘাট হতে বন্দর সমরক্ষেত্রে নির্বাচনী সভায় মিলিত হয়। এসময় তার সমর্থকরা লাঙ্গল লাঙ্গল শ্লোগানের রাজপথ মুখরিত করেন।

এতে খান মাসুদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক আজকের নীর বাংলায় সহ-সম্পাদক শরিফ হাসান চিস্তি, যুবলীগ নেতা মোঃ মাসুম, শেখ মমিন, লুৎফর রহমান, খোরশেদ আলম, মোঃ হোসেন, নাদিম, রতন, আজিজুল হক বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, মাকসুদ হোসেন, কামাল হোসেন, মোঃ রাজু, মোঃ মোখলেছ ও অনিক হাসান প্রমূখ।

এখানে উল্লেখ্যযে, শুক্রবার বিকেলে বন্দর সমরক্ষেত্রে থানা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় প্রচারনা যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

লাঙ্গলের পক্ষে বন্দরের আওয়ামীলীগ নেতা রশীদ চৌধূরী

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের মহাজোটের লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্তী ও বর্তমান সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আবদুর রশিদ চৌধুরী। ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে তার নেতৃত্বে বন্দরের মদনগঞ্জ টিক্কার মোড় হতে শুরু করে ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ভোট প্রার্র্থনা করেন।

এ সময় তারা দাবি করেন- একজন দানবীর, নিঃস্বার্থ পরোপকারী জনদরদী বন্ধু মনে করে সেলিম ওসমানের লাঙ্গল প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান। একই সাথে বন্দরে শিক্ষা ও যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে লাঙ্গলে ভোট দেয়ার অনুরোধ জানান।

গণসংযোগকালে আবদুর রশীদ চৌধূরীর সঙ্গে অন্যান্যদের মধ্যে মোঃ আসাদউল্লাহ, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান, আবু খালিদ খান বকুল, খন্দকার হারুন অর রশীদ, বিজয় কুমার সাহা, বাবুল আচার্য্য শংকর ভৌমিক, খন্দকার মবিন, আবদুর রহিম ডালিম, তমাল কান্তি দে, অ্যাডভোকেট বুলবুল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

এখন আমার অনেক শক্তি: এসএম আকরাম

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আমি শান্তিতে বিশ্বাসী। ভয়ভীতি পরিহার করে আপনারা সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবেন। আপনারা ৩০ ডিসেম্বর ধানের শীষে ভোট দিয়ে এদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবেন। তিনি এও বলেছেন, ধানের শীষ প্রতীকে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে জয়ী হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা বন্দরের নবীগঞ্জ দরগাহ জামে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর গণসংযোগে কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী বর্তমান এমপি সেলিম ওসমান জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ধানের শীষের এই প্রার্থী নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা আরো বলেন, আমি উপ-নির্বাচনে একা নির্বাচন করেছিলাম। আমি জয়ী হয়েছিলাম। ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করা হয়। এখন আমার অনেক শক্তি। কারন সাবেক এমপি আবুল কালাম ও অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, এটিএম কামালসহ বিএনপি নেতারা আমার সাথে রয়েছেন। নির্বাচনকে আন্দোলন হিসেবে নিয়েছি। ধানের শীষের প্রচারনায় বাধাগ্রস্থ করছে সরকারী দল। প্রচারনায় মাইক কেড়ে নিচ্ছে তারা। বর্তমান সরকার জানে নির্বাচন সুষ্ঠ হলে তাদের পরাজয় অনিবার্য। তাই তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানীসহ তাদেরকে বিভিন্ন স্থানে মারধর করা হচ্ছে। তবে এ দুঃশাসনের একদিন পরিসমাপ্তি ঘটবে। জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে এ সরকারকে উপযুক্ত জবাব দিবে।

এ সময় তার সাথে ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম, মহানগর বিএনপির সেক্রেটারি এটিএম কামাল, সহ-সভাপতি হাজী নূর উদ্দিন, ফখরুল ইসলাম মজনু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আব্দুল সবুর খান সেন্টু, মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন শোখন, বন্দর থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি নাজমুল হক রানা, বন্দর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন শিশির, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম, বন্দর থানা ছাত্রদল নেতা শাহাদুল্লাহ মুকুল, যুবদল নেতা রতন, মহানগর জেএসডি সভাপতি আব্দুল মোতালিব মাষ্টারসহ বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।

লাঙ্গলের জনসভায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কমলের যোগদান

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক কমেলের নেতৃত্বে বন্দর থানা আওয়ামীলীগ আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় মিছিল নিয়ে যোগদান করেছেন।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে মিছিলটি থানার নবীগঞ্জ সরকারি কদমরসুল কলেজ হতে বন্দর সমরক্ষেত্রে নির্বাচনী সভায় মিলিত হয়। এসময় তার সমর্থকরা লাঙ্গল লাঙ্গল শ্লোগানের রাজপথ মুখরিত করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৩নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা মনির হোসেন মনু, যুবলীগ নেতা সুমন ভূইয়া, জাকির হোসেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য জিয়াউল হক বাবু, মোঃ সোহেল মিয়া সহ অন্যান্যরা।

এখানে উল্ল্যেখযে, শুক্রবার বিকেলে বন্দর সমরক্ষেত্রে থানা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় প্রচারনা যোগ দেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান।

সেলিম ওসমানের আসনে শামীম ওসমানের প্রচারণা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৪(ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের বর্তমান এমপি ও আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী একেএম শামীম ওসমান তার নির্বাচনী এলাকা ছেড়ে এখন তার বড় ভাই নারায়ণগঞ্জ-৫(শহর-বন্দর) আসনের বর্তমান এমপি ও জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে মহাজোটের প্রার্থী একেএম সেলিম ওসমানের আসনে জনসভায় লাঙ্গল প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

এদিকে শামীম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী। অন্যদিকে সেলিম ওসমানের আসনে ঐক্যফ্রন্ট থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করছেন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি এসএম আকরাম।

সেলিম ওসমানের আসনের বন্দরের এক জনসভায় শামীম ওসমান বলেছেন, এ আসনে নাকি নাগরিক ঐক্যফ্রন্টের সমর্থনে প্রার্থী হয়েছেন এসএম আকরাম। গিরগিটির মত এত রং বদলান তিনি ভাবাই যায়না। আবার মার্কা লাগিয়েছেন ধানের শীষ। বিগত সময়ে এ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রেক্ষাপট এক রকম আর এখন আরেক রকম। তখন মহাজোট প্রার্থীর বিপরীতে আকরাম সাহেব স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন। তাই আওয়ামীলীগের ভোট পেয়েছিলেন। এখন আওয়ামীলীগের লোকজন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করবেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করা সৈনিকরা কখনো আকরামকে ভোট দিবেনা।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে বন্দরের সমরক্ষেত্রে সেলিম ওসমানের নির্বাচনী সভায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, নারায়ণগঞ্জের মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি। এ মাটিতেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছিল। আর আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছিল কোথায় এটা সবারই জানা। অতএব আকরাম সাহেবদের একা জন্ম হয়নি এ মাটিতে। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ তাকে নিয়ে মাতামাতি করছে অথচ নির্বাচনের পরের দিন আকরামকে খুজেই
পাওয়া যাবেনা। তিনি চলে যাবেন উত্তরা ক্লাবে। ওখানে বসে তিনি মদ্যপানে ব্যস্ত থাকবেন। তাই বলছি খোচা দিবেন না। খোচা দিলে নারায়ণগঞ্জে টিকে থাকতে পারবেন না।

পরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মহাজোট সমর্থিত প্রার্থী সেলিম ওসমানও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন।

বন্দর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমএ রশিদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির আহ্বায়ক আবুল জাহের, নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি কমান্ডার গোপীনাথ দাস ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি চন্দন শীল প্রমূখ।

এসময় অন্যানদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, জিএম আরাফাত, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ভূইয়া সাজনু, মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিব আল মুজাহিদ পলু, জেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি এহসানুল হাসান নিপু, শেখ সাফায়েত আলম সানি, বন্দর থানা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবেদ হোসেন, ২৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন আহমেদ দুলাল প্রধান ও বন্দর ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হাসান আরিফ প্রমুখ।

‘দলমত বুঝিনা, সেলিম ওসমান ছাড়া চিনিনা’

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জের বন্দর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন প্রধান বলেছেন, সেলিম ওসমান অর্থের লোভে কোন নোংড়া রাজনীতি করেনা। তিনি জনগণের জন্য রাজনীতি করেন। যেখানেই ক্ষুধার্থ মানুষ সেখানেই সেলিম ওসমান, যেখানে অসহায় মানুষ সেখানেই সেলিম ওসমান। তিনি বন্দরের উন্নয়নের রুপকার পৃথিবীর কোন এমপির নিজের পকেট থেকে ৭৩ কোটি টাকা খরচ করার ইতিহাস নেই।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের হাজরাদী এলাকায় একেএম সেলিম ওসমানের নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেলোয়ার হোসেন প্রধান আরো বলেন, এই আসনে কত এমপি এলো আর গেলো। কি পেয়েছেন আপনারা তাদের কাছে? আকরাম সাহেবরা নির্বাচন এলেই বক্তব্যের ফুলঝুড়ি দিয়ে বৈতরনী পাড় হয়। তিনি তো নির্বাচনের পরেই উত্তরা চলে যাবেন। তাই আসুন একসাথে বলি- দলমত বুঝিনা সেলিম ওসমান ছাড়া চিনি না।

জাতীয়পার্টির নেতা পিয়ার জাহান ভূইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- নারায়ণগঞ্জ মহানগর শ্রমিকলীগের সভাপতি কাজিম উদ্দিন প্রধান, কলাগাছিয়া ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি বাচ্চু মিয়া প্রধান, জাতীয়পার্টির নেতা মঞ্জুর হাসান মঞ্জু, হাজী সফিউদ্দিন, জামান মেম্বার ও মোসলেহ উদ্দিন মেম্বার প্রমূখ।

আড়াইহাজারে ধানের শীষের গণসংযোগে হামলা, নিন্দা জানালেন রানা

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-২(আড়াইহাজার) আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম আজাদ ও তার গাড়ি বহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত ইসলাম রানা।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার এক বিবৃতিতে সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেছেন, যে দেশে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার নেই সেই দেশে কিভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব সেটাই এখন আসল প্রশ্ন। আসলে আওয়ামীলীগ সবার অংশগ্রহণে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায় না।

তিনি আরও বলেন, যেভাবে আড়াইহাজারে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী ও তার গণসংযোগে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাসী স্টাইলে হামলা চালিয়েছে তাতে বুঝা যায় তারা জনগণের উপর নির্ভর করতে পারছেনা। কারন জনগণ তাদের ভোট দিবে না। তাই জোর জুলুম নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।

যেখানে কায়সার সেখানেই গণজোয়ার

দিনকাল নারায়ণগঞ্জ ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ-৩(সোনারগাঁও) আসনে সিংহ প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি আব্দুল্লাহ আল কায়সার সোনারগাঁয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। সোনারগাঁয়ের যেখানেই কায়সার সেখানেই গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা ও নেতাকর্মী সমর্থক ভোটারদের মাঝেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি। সোনারগাঁয়ের একজন সহজ সরল সাদা মনের এমপি হিসেবে নারী ও যুবক ভোটারদের কাছেও প্রিয় এখন কায়সার হাসনাত।

১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার কায়সার হাসনাত সোনারগাঁয়ের কাচপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় মাঠ চষে বেড়িয়েছেন। ভোটারদের ঘরে ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কাচপুুরে তিনি গণসংযোগে নামার পর সাধারণ মানুষ তাকে দেখার জন্য সামনে চলে আসে। এখন পর্যন্ত কায়সার হাসনাতের দখলে রয়েছে নির্বাচনী মাঠ।

অপর দুই প্রার্থী মহাজোটের শরীক দল জাতীয়পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের মনোনিত বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা জোড়ালোভাবে মাঠেই নামতে পারেননি। এছাড়াও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নানও জোড়ালোভাবে মাঠে নামতে পারেনি। তবে সোনারগাঁয়ের মানুষ বলছেন-এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকের সঙ্গে সিংহ প্রতীকের প্রার্থী কায়সার হাসনাতের হবে মুল লড়াই। এদের ছাড়াও আরও প্রার্থী থাকলেও তাদের নিয়ে ভোটারদের তেমন আগ্রহ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছেনা।

সর্বশেষ সংবাদ