নারায়ণগঞ্জে ‘পরিবর্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থা’র শীতবস্ত্র বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

তীব্র শীতে সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সম্প্রদায়ের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে করে যাচ্ছে ‘পরিবর্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থা’ নামক সামাজিক সংগঠনটি। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার শীতবস্ত্র হিসেবে নাইটগার্ডদের জন্য সোয়েটার ও কানটুপি এবং অন্যান্যদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করা হয়। ৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে এই কার্যক্রম পরিচালিত করে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

শীতবস্ত্র বিতরণের কার্যক্রমের বর্ণনা দিতে যেয়ে পরিবর্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মোঃ এ এইচ আশু বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ্য করছি যে, নাইট গার্ড হিসেবে যারা বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে তারা বয়োবৃদ্ধ ও অভাবী প্রকৃতির মানুষ। রাতে শীত বেশী থাকে। তাছাড়া বয়স্ক মানুষের শীত একটু বেশী অনুভুত হয়। তাই আমরা তাদের মধ্যে শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটার ও কানটুপি বিতরণ করছি এবং অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। পুরো শীত জুড়ে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলমান রাখার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

উক্ত বিতরণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ফারুক রিংকু, সহ-সভাপতি মোঃ আবু সাঈদ, যুগ্ম সম্পাদক এ্যাডভোকেট মাহবুবুল হক ফোরকান, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আল আমিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন জুম্মন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন ও নির্বাহী সদস্য মোঃ রনী শিকদার প্রমুখ।

পরিবর্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থার কার্যালয়ে বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আব্দুল বাতেন।

উল্লেখ্য পরিবর্তন সমাজ কল্যাণ সংস্থা ইতিমধ্যে চাষাড়া রেলস্টেশন, নারায়ণগঞ্জ রেলস্টেশন, ফতুল্লা লঞ্চঘাট, ফতুল্লার জোড়পুল, ফতুল্লা রেলস্টেশন ও ব্যাংক কলোনী, সস্তাপুর, শিবু মার্কেট, ফতুল্লা পোষ্ট অফিস, কুতুবপুরের পিলকুনি, তক্কারমাঠসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল, কানটুপি এবং সোয়েটার বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত করেছে।

ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন দিদার খন্দকার

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর দেওভোগ পাক্কা রোড খানকা গলি যুব সমাজ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৩ জানুয়ারী শুক্রবার বাদ মাগরিব পাক্কা রোডের খানকার গলি পুকুরপাড় এলাকায় ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

মাহফিলে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মোঃ আওলাদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মোঃ দিদার খন্দকার।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, আল্লাহর অশেষ রহমতে দ্বীনি কাজে আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা দোয়া করবেন এভাবেই যেনো দ্বীনি কাজে এবং সামাজিক কাজে আপনাদের পাশে থাকতে পারি। আসন্ন হোসিয়ারী সমিতি নির্বাচনে আমার বড় ভাই আওলাদ ভাইয়ের সাথে মিলিত হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। সাধারণ ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জয়ী হয়ে ব্যবসায়ীদের সেবা করতে পারি সেজন্য আপনাদের সকলের কাছে আমি দোয়া প্রার্থী।

তিনি আরো বলেন, আগামী ১১ ফেব্রুয়ারী স্বপরিবারে ওমরা হজ্ব পালনের উদ্দেশ্যে হজ্বে যাচ্ছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন হজ্ব শেষ করে আমি আপনাদের মাঝে ফিরে এসে দ্বীনের কাজে ও সমাজের সেবা করতে পারি মহান আল্লাহ যেন সেই তৌফিক দান করে।

মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা মুফতি মোঃ নেয়ামত উল্লাহ ফারুকী।

বিশেষ বক্তা হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, দেওভোগ বড় জামে মসজিদের খতিব মোঃ মহিউদ্দিন হামিদী আল ক্বাদরী, হাজ্বী কলিমুল্লাহ জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ হান্নান চাঁদপুরী, বাবুরাইল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ আমজাদ হোসেন প্রমুখ।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ শাহজাহান, মোঃ ইসমাঈল হোসেন রমজান, আজিজুল সরদার, সফর আলী, অ্যাডভোকেট এসএম গালিব, সাইদুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম কবির, মাহবুব আলম লিমন, জাহাঙ্গীর শাহ জিয়া সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

১৫ বছর নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছি, ওরা আমাদের রক্ত চুষে নিয়েছে: মামুন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহামুদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, আপনাদের জীবনবাজি রেখে আপনাদের আন্দোলনে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। এ দেশ থেকে চাঁদাবাজ, লুটপাটকারী, সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান খুনি হাসিনা ৬ বছর কারাগারে আটক করে রেখেছিল। সেই সময় দলের হাল ধরেছিলেন আমাদের নেতা তারেক রহমান। অনেকে ধারণা করে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, এ ধারণা ভুল।

মামুন মাহামুদ আরো বলেন, আমরা ১৫ বছর নিপীড়ন-নির্যাতন সহ্য করেছি, ওরা আমাদের রক্ত চুষে নিয়েছে। আমরা চাকরি, ব্যবসা কোন কিছুই করতে পারিনি, তবুও চেষ্টা করেছি বিপদে-আপদে সবসময় আপনাদের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। তার প্রমাণ হচ্ছে আজকে এমন প্রচন্ড শীত উপেক্ষা করে এখানে উপস্থিত হয়েছেন। রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থেকেও সামান্য উপহার নিয়ে আপনাদের কাছে চলে এসেছি। কিন্তু যারা ১৫ বছর লুটপাট, অত্যাচার, নির্যাতন করলো তারাতো একটা ছেঁড়া কাপড়ও নিয়ে আপনাদের পাশে এসে দাঁড়ালোনা।

তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের সেবার রাজনীতি করে, কোন ভোগের রাজনীতি করেনা। আমাদের নেতা তারেক রহমানে বিদেশে কোন বাড়ি-গাড়ি নেই এমনকি ঢাকা শহরেও নেই। তিন বারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ারও কোন বাড়ি নেই, তিনি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। এ থেকে বুঝতে হবে বিএনপি ভোগের রাজনীতি করেনা, মানুষের রাজনীতি করে। যদি আপনাদের কোন কাজে আসি তাহলে আমাদের একটা হক আছে আপনাদের আছে। আমাদের মার্কা ধানের শীষে আপনাদের ভোট আমরা আশাকরি৷

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কতৃক রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফা ব্স্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা এবং তীব্র শীতে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৩ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় ফতুল্লা থানাধীন চাঁনমারি এলাকায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে ফতুল্লা থানা বিএনপির নেতা মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একরামুল কবির মামুন, ফতুল্লা থানা বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নাদিম হাসান মিঠু, জেলা বিএনপির সাবেক সহ দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ফতুল্লা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক ও মহানগর শ্রমিকদলের সাবেক সদস্য সচিব আলী আজগর, বিএনপি নেতা খোকন, মোক্তার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ।

সোনারগাঁও সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের প্রধান কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে এই কার্যালয়টির উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও উদ্বোধক ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।

সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাফির উদ্দীন মজনুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী নজরুল ইসলাম টিটু, সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহিম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী সুমন।

হাসিনার আমলে যুবদল নেতাকে গুলি করে হত্যা: পুলিশের এসআই কারাগারে

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জে যুবদল কর্মী শাওন প্রধানকে গুলি করে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুর রহমান কনককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

৩ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাফিয়া শারমিনের আদালত তাকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে, আদালতে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। আগামী সোমবার শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাতে শাওন হত্যা মামলার ১৬ নম্বর আসামি মাহফুজুর রহমান কনক ওরফে মাহফুজুল হককে ঢাকা এয়ারপোর্টের ১৩ এপিবিএন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, কনককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। পরে আদালত আগামী সোমবার রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে এবং আসামি কনককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জেলা ও মহানগর বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে তৎকালীন ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনকের হাতে থাকা ‘চাইনিজ রাইফেল’ থেকে ছোড়া গুলি যুবদল কর্মী শাওনের শরীরে বিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

পরে ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় বিএনপির পাঁচ হাজার অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামি করে নিহতের ভাই মিলন মামলা করেছিলেন। সেই মামলা প্রসঙ্গে মিলন দাবি করেছিলেন, ‘এই মামলার বিষয়ে তিনি বা তার পরিবারের কেউ কিছু জানে না। পুলিশ তাদের কাছে একটি সাদা কাগজে সই নিয়েছে।’

এ ঘটনার দুই বছর পর ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর শাওনের বড় ভাই মো. মিলন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় তৎকালীন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, এস আই কনক সহ সাবেক পাঁচ সংসদ সদস্যসহ (এমপি) ৫২ জনকে আসামি করা হয়।

খোরশেদকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে মহানগর ছাত্রদল

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আশ্রাফুল ইসলাম নিরবের উদ্যোগে ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ১ জানুয়ারী বুধবার রাতে মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় কেক কেটে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।

মো. আশ্রাফুল ইসলাম নিরবের পরিচালনায় এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও সাবেক কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।

মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেছেন, দলীয় সকল আন্দোলন সংগ্রাম সহ জনসাধারণের অধিকার আদায়ের সকল সংগ্রামে ছাত্রদল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ছাত্রদল। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও ছাত্রদল সক্রিয় ভূমিকায় ছিলো। আশা করি আগামী দিনেও ছাত্রদল সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর কৃষকদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নাজমুল কবির নাহিদ, মহানগর কৃষকদল দপ্তর-সম্পাদক শওকত খন্দকার, সদর থানা কৃষকদল আহবায়ক রানা মুজিব, মহানগর যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক রাসেল আহমেদ মনির, সাবেক সহ-সভাপতি ছাত্রদল সাইফুল ইসলাম, ছাত্রদল নেতা নাঈম মোল্লা, সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক পায়েল, মহানগর সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলতাফ হোসেন হৃদয়, মাশরাফি, আবির, নিয়ল ও মানুম বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

২০১৩ সালে বিএনএফ করা ব্যক্তিরাও ত্যাগের গল্প শোনায়: আশা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতৃত্বস্থানীয় শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত করে মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউসার আশা বলেছেন, ২০১৩-১৪ সালে আমরা ‍যখন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করি, তখন যারা নাজমুল হুদার দল বিএনএফ এর কমিটি গঠন করেছিল, যারা লিখিত ডকুমেন্ট আমাদের কাছে আছে, নির্বাচন কমিশনের কাছে আছে। আজকে তারাও দাবি করে তারাও নাকি বিগত ১৬/১৭ বছর বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের মধ্যে ছিল। একটা কথা মনে রাখবেন খালি কলসি বাজে বেশি। যারা খালি তারা বিভিন্ন সময় ত্যাগের গল্প শোনায়।

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্রদলের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ছাত্র সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আবুল কাউসার আশা। এতে সভাপতিত্বে করেন ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ রাজু।

আশা আরো বলেন, অনেকে আবার ৫ আগস্টের পর বিএনপি হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগের প্রথম সারির নেতাকর্মী বাদ দিয়ে বাকিদের নিয়ে নিজেদের দল ভারি করার জন্য দলে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে, দলে জায়গা করে দিয়েছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। বিশেষ করে কোর্টপ্রাঙ্গনে আমরা দেখছি, প্রথমত পুলিশ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করছেনা, বিভিন্ন চাপে পড়ে দুএকজনকে গ্রেপ্তার করা হলে আমাদের দলের দালালশ্রেণির কিছু আইনজীবী আছে, যারা তাদেরকে জামিন করাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল রানা, সিরাজউদ্দীন দর্পন, শফিকুল ইসলাম শফিক, মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের ৫১ সদস্যের কমিটিতে থাকছেন যারা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যের কমিটি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট লম্বা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতারা। কমিটি গঠনের পর থেকে কমিটির দায়িত্বে থাকা তিনজন নেতা একজোট হতে পারেননি। এমন অবস্থায় জেলা যুবদলের কমিটি ভেঙ্গে দিতে পারে কেন্দ্রীয় যুবদল- এমন আলোচনার মাঝে ‍যুবদল নেতারা জানিয়েছেন, কমিটি ভাঙ্গছেনা। এই তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ৫১ সদস্য বিশিষ্ট লম্বা কমিটি হবে।

সূত্রমতে, ২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের তিন সদস্যবিশিষ্ট আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটিতে আহ্বায়ক পদে সাদেকুর রহমান সাদেক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম সজীব ও সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই সাদেকুর রহমান সাদেক ও খাইরুল ইসলাম সজীব একজোট হয়ে দলের কর্মসূচি পালন করেন। পৃথকভাবে সদস্য সচিব মশিউর রহমার রনি জেলা যুবদলের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে আসছেন। মাঝে সাঝে তিন নেতাকে জেলা যুবদলের তিনটি ব্যানারে কর্মসূচি পালনও করেছেন।

আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের বলয়ে রাজনীতি করছেন। মশিউর রহমান রনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গিয়াসউদ্দীন বলয়ে রাজনীতি করেছেন। সজীব আছেন তার পিতা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানের পক্ষে। জেলার বিভিন্ন থানা/উপজেলায় রনি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বলয় তৈরি করেছেন যুবদলের নেতাকর্মীদের নিয়ে। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমনের বলয়েও আছেন রনি।

নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের শীর্ষ তিন নেতা তিন মেরুতে বিভক্ত হয়ে রাজনীতি করছেন। গত ৫ আগস্টের পূর্বে তারা ‍পৃথকভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ৫ আগস্টের পর তাদের একজোট হয়ে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা যায়নি। জেলা যুবদলের বিগত কমিটির আমলেই নেতৃত্বে আসার প্রতিযোগীতায় ছিলেন জেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুর রহমান স্বপন, যুবদল নেতা আমিরুল ইসলাম ইমন, আরিফুজ্জামান ইমন, হারুন অর রশিদ মিঠু সহ ডজন খানিক নেতা।

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকু রহমান সাদেক সান নারায়ণগঞ্জকে জানান, জেলা যুবদলের বর্তমান কমিটি ৩ সদস্যবিশিষ্ট। কেন্দ্রীয় নির্দেশান অনুযায়ী জেলা যুবদলের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হচ্ছেনা। তবে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি বর্ধিত করা হবে। সেটা খুব শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেছেন। তবে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে কারা থাকছেন সেটা তিনি নিশ্চিত করেননি।

অন্যদিকে জেলা যুবদলের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, সাদেক ও রনির নেতৃত্বাধীন জেলা যুবদলের কমিটি থাকছেনা। তারা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সংগঠনে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন। আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমেও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। জেলা যুবদলের একাধিক নেতা কেন্দ্রে নতুন কমিটি আনার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। এখন দেখার বিষয় এই কমিটি ৫১ সদস্যবিশিষ্ট লম্বা হয় নাকি নতুন কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় যুবদল।

বিএনপির ওলামা দলের আলোচনা, দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি তৈমূর আলম

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপির জাতীয়তাবাদী ওলামাদের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা ওলামা দলের সাবেক সভাপতি মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনুর স্মরণ সভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই স্মরণ সভা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।

২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার তারাবো পৌরসভাধীন রূপসী খন্দকার বাড়িতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ওলামা দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলা শাখার নেতৃবৃন্দ সহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মসূচির সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মুহাম্মদ মজিবুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, মুন্সী সামসুর রহমান খান বেনু একজন দল পাগল মানুষ ছিলেন। বিএনপি করতে গিয়ে অনেক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। রাজপথে আন্দোলন করতে গিয়ে অসংখ্যবার হামলা মামলা জেল জুলুমের শিকার হয়েছেন। তারপরেও তিনি কখনও পিছু হটেননি। বর্তমানে অনেকেই নেতা হয়েছেন। কিন্তু বেনু যখন নেতৃত্ব দিতেন তখন বিএনপির অনেকেই রাজপথে ছিলেন না। বর্তমানে বিএনপিতে সামসুর রহমান বেনুর মতো নিঃস্বার্থ লোকের বড়ই অভাব।

বক্তাবলীতে শ্রমিকদলের অফিস ভাংচুর, রশিদ মেম্বারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় স্থানীয় শ্রমিক দলের কার্যালয় ভাঙচুর সহ এক নেতাকে মারধর করার ঘটনায় রশিদ মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এখনো পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

৩ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে শ্রমিক দল নেতা মাসুম শেখ বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে।

এদিকে এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, রশিদ মেম্বার বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে এলাকায় রাজরাজত্ব কায়েম করেছিল। বিগত সময়ে টাকার গরমে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাউকে তোয়াক্কা না করে দাপটে সহিত প্রভাব বিস্তার করেছে। আর আওয়ামী লীগ পতনের পর নিজেকে ভোল্ড পাল্টে গায়ে বিএনপির সাইনবোর্ড লাগানোর চেষ্টায় ব্যাপক তান্ডব চালায়। রশিদ মেম্বার নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে যাহিল করে বিশাল এক বাহিনী তৈরি করে।

এই বাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে লুটপাট, দখলবাজি সহ নানা অপকর্মে লীপ্ত হয়। আওয়ামী লীগ নেতাদের মার্কেট, বাড়ি, খামার দখল করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দখলবাজি নিয়ে আপন মামা বাদল মিয়ার সাথে বিরোধ তৈরি হয়। বাদল সহ তার লোকদের প্রতিহত করতে বহিরাগত লোক ভাড়া করে আনে। আর দেশীয় অস্ত্র রক্ষিত রাখে রশিদ মেম্বার এর তেলের পাম্প এবং ইটভাটায়। এমনকি কেরানীগঞ্জ থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনে এলাকায় মহড়া দেয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

শ্রমিক দল নেতা মাসুদ শেখের দায়েরকৃত মামলায় উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বক্তাবলী ইউনিয়ন শ্রমিক দলের প্রধান উপদেষ্টা পূর্ব গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা মাসুদ শেখ সহ তার লোকজনকে বেশ কিছু দিন ধরে হুমকি দিয়ে আসছে বক্তাবলী ইউনিয়নের মেম্বার রশিদ সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা।

তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ ডিসেম্বর সকালে রশিদ মেম্বারের হুকুমে তার বাহিনীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে বক্তাবলী ঘাট সংলগ্ন শ্রমিক দলের অফিসে এসে মাসুদ শেখকে মারধর করে। তাতে প্রতিবাদ করতে গেলে অফিস ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এসময় জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমান ছবি সহ জেলার নেতাদের ছবি ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম মামলা দায়েরের বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সর্বশেষ সংবাদ