মহানগরীর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল তিনটায় মহানগরীর মাসদাইর এলকাকায় ই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

পরে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নেতৃত্বে ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাসদাইরের সাধারণ জনগণ ও দোকানদারের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন।

মহানগর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, আক্তার হোসেন, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, সদর থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক রানা মুন্সীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চান তারেক রহমান: টিপু

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেছেন, আপনারা যারা পঞ্চাশের মধ্যে রয়েছেন আপনারা আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানেন, বিএনপির ইতিহাস জানেন, জাতীয় পার্টি ইতিহাস ও জামাতের ইতিহাস জানেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা ডাক দিয়েছিলেন বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান। উনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করে কোন লোভ লালসা করেননি উনি উনার কর্মস্থান ব্যারেকে ফিরে গিয়েছিলেন।

অপরদিকে পরবর্তীতে শেখ মুজিব দেশের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশে দুর্ভিক্ষ তৈরি করলেন। শেখ মুজিব দেশের গণতন্ত্রকে তিনি গলাচিপে হত্যা করে দেশে একতন্ত্র কায়েম করলেন। দেশের মা বোনেরা লজ্জা নিবারনের জন্য রংপুরের বাসন্তীর মতন জাল পরিধান করলেন। ওই সময় কি দেখা গেল ক্ষুধা নিবারণের জন্য পাবনার ঈশ্বরদীতে মানুষের বুড়ি ভক্ষণ করেছিল। শেখ জামাল ও শেখ কামাল ডাকাতিতে জড়িত হয়ে পড়লেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনে মা-বোনদের শ্লীলতাহানি করলেন। ১৯৭৫ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ভার ক্ষমতা গ্রহণ করে শেখ মুজিবের একতন্ত্র বাদ দিয়ে দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করেন। এখন দেশের সংস্কার শুরু করার প্রথমেই সংবিধানে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংবোধন করলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে স্বৈরাচারী এরশাদ রহমানকে হত্যার মাধ্যমে বিচারপতি আব্দুস সাত্তার কে বন্দুকের নল ঠেকিয়ে এদেশের ক্ষমতা নিয়ে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। পরবর্তীতে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে তাকে বিতাড়িত করে ৯১ সালে দেশের ক্ষমতায় আসে দেশে কে আবার নতুন করে সংস্কার করে। এরপরে ২০২৩ সালের ১৩ জুলাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরেক রহমান দেশের বিভিন্ন দল, কলমের সাংবাদিক ও কূটনীতিদের সামনে দেশ সংস্কারের ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতে কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইনশাল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় আগামীতে নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে ৩১ দফা রাষ্ট্র মেরামতের মাধ্যমে এদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

মহানগর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, আক্তার হোসেন, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, সদর থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক রানা মুন্সীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আওয়ামীলীগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: সাখাওয়াত

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, সকল দেশের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক ও বন্ধুত্ব সম্পূর্ণ রয়েছে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকতে পারে কিন্তু বাংলাদেশের কোনো প্রভু থাকতে পারে না। কিন্তু আওয়ামী লীগ ওই ভারতের প্রভুত্ব মেনে নিয়ে বাংলাদেশকে একটি করান রাজ্যে পরিণত করেছিল। ‌ আপনারা দেখেছেন যে শিক্ষা ব্যবস্থাকে কি করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। পাঠ্য বই পড়লে বুঝা যেত ওই শেখ পরিবার ও শেখ মুজিবরের কিচ্ছা কাহিনী শোনা যেত। সেখানে ব্যাঙর লাফ শিখানো হতো। কিভাবে ছাত্রদেরকে চরিত্র হরণ করা যায় সেগুলো শেখানো হতো। বিদেশী ও বিধর্মীও কার্যকলাপ বইতে উপস্থাপন করা হয়েছিল। সেটা থেকে ওই শিক্ষা ব্যবস্থা উত্তরোণের জন্য। ৩১ দফার মাধ্যমে তারেক রহমান অমল পরিবর্তনের মাধ্যমে সবার জন্য একটি গ্রহণযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আওতাধীন ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নে জনসম্পৃক্ততা ও লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে মহানগরীর মাসদাইর এলাকায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নারীদের জন্য বিনা পয়সার গ্রেজুয়্যাট পর্যন্ত বিনা থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সে শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাতিল করে বাজারমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে যার জন্য গরীবের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারেননি। আর গরিব মানুষেরা শিক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে তার জন্য ৩১ দফার মাধ্যমে তারেক রহমান সেই ব্যবস্থা করবেন‌ চালুর প্রণয়ন করেছে। আবারও খাল খননের মাধ্যমে দেশের কৃষি খেতে বিপ্লব ঘটানো হবে। চিকিৎসা সেবাকে মানুষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করা হবে।

মহানগর ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বিশেষ অতিথি নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাকিত মোস্তাকিম শিপলু, সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ সেলিম আহমেদ, আলমগীর হোসেন চঞ্চল, আক্তার হোসেন, ১৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন শেখ, সদর থানা কৃষক দলের আহ্বায়ক রানা মুন্সীসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আইনজীবী রমজান আলীর মৃত্যুতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা, দোয়া মাহফিল

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য ও সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. রমজান আলীর মৃত্যুতে ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১২ জানুয়ারি রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এজলাসে এই ফুলকোর্ট রেভারেন্স ও শোক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে সকাল সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে শোক সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী সমিতির বার ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এসময়ে প্রয়াত অ্যাডভোকেট রমজান আলীসহ আইনজীবী সমিতির সকল প্রয়াত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং সকল আইনজীবীদের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

শোকসভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, বর্তমান সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধান, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা সহ সিনিয়র আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট রমজান আলীর স্মরণে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্যে রাখেন এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল (পিপি) অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট নবী হোসেন, অ্যাডভোকেট আঃ গাফফার, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, অ্যাডভোকেট বোরহান উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবির, অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান শাহিন, অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান মোল্লা, অ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম শিমুল, অ্যাডভোকেট আজিজুল হক হান্টু, অ্যাডভোকেট শামসুল আরেফীন টুটুল, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন সবুজ, অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান রতন, অ্যাডভোকেট কায়সার আলম টুটুল।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আজিজ আল মামুন, সহ-সভাপতি মাইনুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম খান, কোষাধ্যক্ষ জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ন সম্পাদক শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, লাইব্রেরী সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক রাসেল প্রধান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আসমা হেলেন বিথি, সমাজ সেবা সম্পাদক ফজলুর রহমান ফাহিম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক মোজাম্মেল হক মল্লিক শিপলু, সদস্য ফাতেমা আক্তার, নুরুল কাদের সোহাগ, আবুল কালাম আজাদ, মো. সুমন মিয়া, আকতার হোসেনসহ সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে শীতবস্ত্র বিতরণে মাহাবুব উদ্দিন খোকন

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির আয়োজনে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।

শনিবার ১১ জানুয়ারি বিকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার খানপুর সরদারপাড়া এলাকায় শত শত শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দরা।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মহসিন উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক এনামুল খন্দকার স্বপন।

নারায়ণগঞ্জ সদর থানা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হক এর সঞ্চালনায় এ সময় শত শত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভা শেষে শত শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ।

যেসব অপকর্মের শাস্তিস্বরুপ বিএনপিতে ‘কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা’

সান নারায়ণগঞ্জ

রাজপথের যত ত্যাগী ও যতবড় নেতাই হোক ৫ আগস্টের হুজুগে দখলবাজি, চাঁদাবাজি, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী সহ অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সারাদেশে অপকর্মকারীদের বিরুদ্ধে তারেক রহমান জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছেন। অভিযুক্তদের সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার সহ অনেকের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দিচ্ছেন। তদন্ত কমিটি গঠন ও তদন্ত কমিটির সুপারিশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে বিএনপি।

নারায়ণগঞ্জে জেলা বিএনপি সহ এর বেশকটি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর দখলবাজি, চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্যমুলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার কারনে তাদের এসব কথা বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় বিএনপির নিজ নিজ সংগঠন। যদিও বিলুপ্ত কমিটির নেতারা নিজেদের পক্ষে ভুয়া দাবির ধুয়া তুলে প্রচারণায় ব্যস্ত থাকলেও তাদের অপকর্মের শাস্তিস্বরুপ যে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে সেটা জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। একই সঙ্গে বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের সামনের রাজনৈতিক ভবিষৎ অন্ধের দিকে চলে গেছে। মিথ্যা প্রপাগান্ডার ধুয়া তুলে খড় কুটো ধরে রাজনীতিকে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন বিলুপ্ত কমিটির নেতারা।

বিলুপ্ত কমিটির নেতারা দাবি করছেন, কমিটি ঘোষণা ও বিলুপ্ত করা দলের নিয়মতান্ত্রিক। এমনটা দাবি করে তাদের অপকর্ম আড়াল করার চেষ্টা করলেও দলটির গঠনতন্ত্রে আছে দলীয় নিয়ম অনুযায়ী কখনই কোনো ইউনেটে নেতৃত্বশূণ্য থাকবে না। অর্থাৎ কমিটি বিলুপ্ত করে সাথে সাথে কমিটি গঠন করতে হবে। একট কমিটির পর আরেকটি কমিটি। কিন্তু রাজনৈতিকবোদ্ধাদের মতে, যখনি নেতৃত্বশূণ্য থাকে তখনি বুঝতে হবে পূর্বের কমিটি এতটাই অপকর্মে জড়িত ছিল যে, নতুন কমিটি তৈরি না করেই নেতৃত্বশূণ্য রেখেই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হোন কেন্দ্রীয় নেতারা।

গত ২৪ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। গত ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীনকে আহ্বায়ক ও গোলাম ফারুক খোকনকে সদস্য সচিব করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গত ২০২৩ সালের ১৫ জুন জেলা বিএনপির সম্মেলনে তাদেরকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

৫ আগস্টের পর গিয়াসউদ্দীন ও খোকনের লোকজন মারাত্মকভাবে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আকবর দখলবাজি করতে গিয়ে একাধিকবার মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছেন। গিয়াস পন্থী ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ ও স্বেচ্ছাসেবক দলের থানা কমিটির আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন গ্রুপের মাঝে কয়েক দফা ঝুট দখল নিয়ে সংঘর্ষ হয়। গোলাম ফারুক খোকনের সঙ্গে দেশের একটি শীর্ষ ব্যবসায়ীর ছবি প্রকাশ নিয়েও তোলপাড় হয়। জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্তির পূর্বে জেলার সাতটি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ও আহতের ঘটনায় ৮২টি মামলা রুজু হয়, যার মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জে ৪০টি ও ফতুল্লা থানাতেই ২১টি, যা গিয়াসের নির্বাচনী এলাকা।

১২ ডিসেম্বর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাইনবোর্ড এলাকায় বাস ভাংচুর ও সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটায় গিয়াসপন্থী সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তাকে সরাসরি বিএনপি বহিষ্কার করে দেয়। গিয়াসউদ্দীনের ছেলে রিফাত জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব পদে বসে ইপিজেডের ঝুট নিয়ন্ত্রণে নামে। এ নিয়ে থানা কৃষকদলের আহ্বায়ক তৈয়ম হোসেন বাদী হয়ে মহানগর মহিলা দলের সদস্য সচিব আয়েশা আক্তার দিনা, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুকে আসামী করে কোর্টে মামলা করে দেয়। যদিও তারা সবাই ঝুট ব্যবসায় নেমেছেন। দাবি করেন বৈধ ঝুট ব্যবসায়ী!

যদিও নানা বিতর্কের কারনে ১ জানুয়ারী জেলা কৃষকদলের কমিটিও বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি। ২০২৪ সালের ১২ জানুয়ারী শাহিন মিয়াকে আহ্বায়ক ও কাউসার আহমেদ রিফাতকে সদস্য সচিব করে জেলা কৃষকদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল।

৫ আগস্টের পর নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারনে ১৭ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদল সহ তাদের আওতাধীন সকল ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। এর আগে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নাহিদ হাসান ভূঁইয়াকে সভাপতি ও জুবায়ের রহমান জিকুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি দেয় ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ। কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, সহসভাপতি সাগর সিদ্দিকী, সহসভাপতি আতা ই রাব্বি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক আবু তাহের রিফাত এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলন।

একই দিন নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের ৬ সদস্যের নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। কমিটিতে সভাপতি পদে রাকিবুর রহমান সাগরকে ও সাধারণ সম্পাদক পদে রাহিদ ইসতিয়াক সিকদার। কমিটিতে সিনিয়র সহসভাপতি শাহাজাদা রতন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আজিজুল ইসলাম রাজিব, যুগ্ম সম্পাদক ওসমান প্রীতম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাসেল।

৮ সেপ্টেম্বর নাসিকের ৭নং ওয়ার্ডে দখলবাজি ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম ঢালী ও মহানগর ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের অনুগামীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওইদিন রাতে ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয় ভাংচুর, বেগম খালেদা জিয়া ও জিয়াউর রহমান, তারেক রহমানের ছবি ভাংচুরের ঘটনা ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এ নিয়ে ১০ সেপ্টেম্বর পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ও মানববন্ধন করে একে অপরকে দোষারোপ করেন। ওই দিন নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে ৭নং ওয়ার্ডবাসী সাগরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি দখলবাজির অভিযোগ তুলেন। একই দিন সকালে সাগরের পক্ষে ও শামীম ঢালীর বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে মানবন্ধন ও সমাবেশ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।  

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য শামীম ঢালী বলেছিলেন, ‘আমাদের সিটির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগর এমন কোনো জায়গা নেই, যেখান থেকে চাঁদাবাজি করেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দোকানে চাঁদা তোলে, ময়লার গাড়ি থেকেও তিনি চাঁদা দাবি করেছেন। আমাদের ওয়ার্ডের পাশের ইপিজেডের ভেতরে কয়েকটি পোশাক কারখানায় হুমকি ধামকি দিয়ে ঝুট বের করছে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাগর। সাবেক যুবলীগ নেতা মতিউর রহমান মতি ও পানি আক্তারের বাহিনী নিয়ে এ সব চাঁদাবাজি করছেন তিনি। আমরা তাতে বাধা দেওয়ায় সাগরের সন্ত্রাসী বাহিনী বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করেছে। দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।

আড়াইহাজারে এ টু জেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এ টু জেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের ছোট বালাপুর গ্ৰামের নরুজ্জামানের মেয়ে রুজিনাকে পেটে বাচ্চা সুস্থ অবস্থায় ভর্তি করে। তখন ডিউটিরত ডাঃ সাইফুল ইসলাম রুজিনার গর্ভাবস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখে এবং তাকে চেকআপ করে রুজিনা সম্পুর্ন সুস্থ আছে এবং রাত ৪ ঘটিকায় নরমাল বাচ্চা প্রসব হবে বলে জানান।

রাত আড়াইটার দিকে ৪/৫ জন অনভিজ্ঞ নার্স দ্বারা রুজিনার নরমাল বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেন। একজন নার্স রাত ৩ টার দিকে জানায় রজিনা পুত্র সন্তান হয়েছে বলে মৃত বাচ্চা পরিবারের হাতে এনে দেয়। তখন পরিবারের লোকজন দেখতে পান বাচ্চার বুকে অতিরিক্ত চাপাচাপির কারণে নিলা ফুলা জখমপ্রাপ্ত এবং অন্ডকোষ মাত্রারিক্ত ফোলা, বাচ্চা নাড়াচাড়া এবং কান্না না করায় ম্যানেজার জহিরুল তড়িঘড়ি করে দায়সারা হওয়ার জন্য নবজাতককে মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন নবজাতক শিশু অনেক আগেই মারা গেছে।

তখন পরিবারের লোকজন বাচ্চাটিকে মাতুয়াইল থেকে এনে এটু জেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে জানান। এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম ভালো হবে না বলে ম্যানেজার জহিরুল হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে রুজিনার ভাই আসলাম শনিবার সকালে বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করছে: মাসুদুজ্জামান

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে। ফুটপাত, যানজট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা কাজ করবো। অতীতের ন্যায় কিছুই করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

১১ জানুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘আমার নারায়ণগঞ্জ’ এর আয়োজনে ‘আমরা কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই?’ এই প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে। কারন ডিসি-এসপি নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণের জন্য কোন কাজ করেনি। এসপির কাছ থেকে কোন প্রকার উপকার পাচ্ছে না জনগণ।তিনি শুধু ওসি-এসআইদের বদলি বানিজ্য নিয়ে কাজ করেন। অথচ তার অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যে মাদকের হাট, প্রশাসনের সকলে শুধু মুখে মুখে বলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে ঠনঠনে।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের নারায়গঞ্জের ঐতিহ্য শীতলক্ষ্যা নদী শেষ, নদী দূষণ সম্মিলিত ভাবে রূদ্ধ করতে হবে। সকল বিষয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্কার চাই, সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই, আলোচিত ত্বকী হত্যা সহ সকল হত্যার বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, বিকেএমইএ’র কমিটি কে ভাঙ্গা হয় নাই কেন আমি বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাব, শেখ হাসিনার দোসর সেলিম ওসমানের নির্দেশে একনো কিভাবে হাতেম সাহেবকে দিয়ে কমিটি পরিচালিত করা হচ্ছে। সকল বিষয়ে আমাদের অধিকার আদায় করবো। এনবিআরের সাথে আমরা কথা বলবো, ইনসেপ্টি নিয়ে কথা বলবো। কারন গার্মেন্টস বাঁচলে মালিক, শ্রমিক- কর্মচারী সকলে বাঁচবো, আর সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা কলমটাকে সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। কারন আপনাদের লেখায় অনেক কিছু হয়।

মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ এর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, নাগরিক কমিটির সভাপতি এ.বি. সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসি সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাজী নূর উদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপি আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর মাওলানা মোঃ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, নারায়ণগঞ্জ কলেজ এর অধ্যক্ষ ড. রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আবু জাফর বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, শ্রমিক নেতা এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবানী শংকর রায়, পরিবেশ আন্দোলন জেলা সভাপতি মোস্তফা করিম প্রমুখ।

’এনায়েতনগরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে দখলবাজি, চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করছে’

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির নাম ভেঙে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করলে তাকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবেনা বলে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নে বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনেকে লুটপাট, দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেয়া সত্বেও দলের লোকজন কোন ধরনের কর্ণপাত করছে না। তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে কোন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকে দলীয় ভাবে তার দায়ভার নিবে না। এমনকি তারেক রহমানের হুকুম পালন করতে না পারলে তার বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার নাই।

১১ জানুয়ারী শনিবার বিকালে এক বার্তায় বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ এমন হুশিয়ারী দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর সৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। ঠিকমত স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমাতে পারি নাই। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সৈরাচার হাসিনার পতনের হওয়ার সুবাধে শান্তিতে চলা ফেরা করতে পারছি এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমাতে পারছি। তাই বলে দলের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করতে হবে নাকি। বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসে নাই। তার পরও এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অনেকে বিএনপির নাম ভেঙে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি জবরদখল করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এখনো সময় আছে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে রাজনীতি করেন। নতুবা পরিনাম ভাল হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। এই শান্তিপ্রিয় দলকে কেউ অশান্তিতে পরিনত করার চেষ্টা করবে না। তারেক রহমান অশান্তিকারীদের ছাড় দিবে না। আওয়ামী লীগের মত হওয়ার কেউ চেষ্টা করবে না।

শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ আরো বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন অনেকে জাকির খানের লোক পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু সংবাদ আমাদের কানে আসছে। আমি তাদেরকেও সাবধান করে বলতে চাই, জাকির খান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোন প্রকার আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে না। কেউ যদি মনে করে থাকেন জাকির খানের নাম ভেঙে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করবেন তাহলে ভুল করবেন। কোন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের স্থান জাকির খানের কাছে নাই। তাই ভুল করেও জাকির খানের নাম ভেঙে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করার চেষ্টা না করার আহবান করা হলো।

‘বিএমটিএ’ নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন সম্পন্ন

সান নারায়ণগঞ্জ

বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমটিএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। ১১ জানুয়ারী শনিবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান (উজ্জ্বল) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, প্রধান উপদেষ্টা, ড্যাব ও এম-ট্যাব, নির্বাহী পরিচালক জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খাজা মঈনউদ্দিন মঞ্জু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ হাফিজুর রহমান এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি এন্ড ইমার্জেন্সি মোঃ মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আহবায়ক, (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও প্রধান উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস প্রিন্সিপাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সদস্য সচিব ড্যাব নারায়ণগঞ্জ জেলা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ, চিকিৎসা তত্বাবধায়ক, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ডাঃ মোঃ আবুল বাশার, সিভিল সার্জন নারায়ণগঞ্জ ও উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ডাঃ আবুল ফজল মুহম্মদ মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, এম ট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম মুসা লিটন।

 

সর্বশেষ সংবাদ