সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণে মান্নান ও মোশারফ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘জিয়ার আদর্শে দেশ গড়ি, মানব কল্যাণে কাজ করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে লাহাপাড়া যুব সমাজ এবং সোনারগাঁও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও একই দিন সোনারগাঁও পৌরসভার ১, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বারের সভাপতিত্বে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম -সম্পাদক ও সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ শাফির উদ্দিন মজনু, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাইজুল ইসলাম সরকার সহ অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরজুড়ে মিছিল ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে সংগ্রামের চার দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়। ১১ জানুয়ারী এই কর্মসূচি শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ ও উৎসর্গ করার মাধ্যমে শুরু হয়। ফেডারেশনের নেতারা তাদের বক্তব্যে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

জেলা সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “১৯৮৫ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা প্রতিটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে ঐতিহাসিক ৯২’র আন্দোলন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, ফুলবাড়ি কয়লা খনি আন্দোলন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি, এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ প্রতিটি গণসংগ্রামে আমরা ছিলাম সোচ্চার।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জে ২০০৯ সাল থেকে তোলারাম কলেজ ও মহিলা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য বিরোধী আন্দোলন, ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ, এবং মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছাত্র ফেডারেশনই নেতৃত্ব দিয়েছে। ওসমান পরিবারের দখলদারিত্ব চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমরা নারায়ণগঞ্জে পরিবর্তনের বীজ বপন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সংগ্রামের এই ঐতিহ্য ধরে রেখে আগামীতে সব ধরনের দুর্নীতি, হিংসা, লোভ ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইউশা ইসলাম ও তাইরান আবাবিল রোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা নূর, অর্থ সম্পাদক শাহীন মৃধা, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুক্ত শেখ, প্রচার সম্পাদক রাতুল দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রায়, কার্যকরী সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস নিসা, এবং তোলারাম কলেজের সংগঠক রাইসা ইসলাম ও মুন্নী আক্তার প্রত্যাশাসহ আরও অনেকে।

কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন আগামী দিনের সংগ্রাম ও অগ্রযাত্রায় নিজেদের আরও সুসংগঠিত ও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, “আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের আত্মত্যাগ ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আমরা নতুন দিনের রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাব।”

এই উদযাপন শুধু অতীতের সংগ্রামের ইতিহাস নয়, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি সঞ্চয়ের একটি বার্তা।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের সকল সরকারি আইন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি ৯১ জন আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সকল আইন কর্মকর্তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

১১ জানুয়ারী শনিবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সকল সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাছানুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্ণী জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভাকেট খোরশেদ আলম মোল্লা ও জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ সহ সকল অতিরিক্ত পিপি, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত জিপি, সহকারী জিপি।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৫ আগস্টের পর সারাদেশের সবগুলো জেলা আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও কোথাও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়নি। নারায়ণগঞ্জেই প্রথম এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছেন সরকারি আইনজীবীরা তাদের নিজ উদ্যোগে।

এখানে আরো উল্লেখ্যযে, এর আগে গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৯১ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।

উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাঁদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে নোটিশে উল্লেখিত আইজীবীগণকে তাঁদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাময়িকভাবে নিয়োগ করা হলো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালততের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সরকারী কৌঁশুলী (জিপি) পদে অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা নিয়োগ পান।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুল পদে নিয়াগ পান সুলতানা নাজনীন, বোরহান উদ্দিন সরকার, মোহাম্মদ ওয়াসিম কাজী, মোঃ শাহজাদান দেওয়ান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, মাসুদা আক্তার, জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, নুরুন নাহার মায়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারি সরকারি কৌশলী পদে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মানিক মিয়া, এস এম সায়েম রানা, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন রেজা, মোহাম্মদ শরাফত আলী মিয়া, মোহাম্মদ বাছেদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম আনু, ফাতিমা খাতুন, মোঃ আকলাস ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আয়াতুল বোরহান, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মিয়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মোল্লা, খন্দকার আজিজুল হক হান্টু, ফাতেমা মাসুদ, সৈয়দ মশিউর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, সীমা সিদ্দিকী, মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন টুটুল, সুমন মিয়া, এস এম মাহমুদুল হক আলমগীর, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম রিপন, আজিজ আল মামুন, হামিদা খাতুন লিজা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মাসুম, ইসরাফিল, মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম টিটু, মাসুদা বেগম শম্পা, মোহাম্মদ ইকবাল মানিক, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মল্লিক।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আসমা হলেন বিথী, আমেনা আক্তার শিল্পী, মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বাবলু, মোহাম্মদ সাজেকুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ জামান হোসেন, মোহাম্মদ নয়ন ঢালী, জিয়াউল আহমেদ ভূইয়া জিয়া, মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান, নুরুল কাদের সোহাগ, হাফিজুর রহমান মাসুদ, মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, শামীমা নাজনীন, আল আমিন সাউদ, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সরকার, তমিজ উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, আক্তার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আদনান মোল্লা, ফারহানা ফাল্গুনী, মোহাম্মদ আল-আমিন।

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান কাজী রাশিদা আক্তার শাহীন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন মাসুম, এসএম তারিকুল ইসলাম বুলবুল, জুবের আলম জীবন, মোঃ শাহ আলম শামীম, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফাহিম, মোঃ আহসান হাবীব ভূইয়া গোলাপ, মোহাম্মদ ইসমাইল ভূইয়া, মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, মোঃ হুমায়ুন কোভিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী আজ্জম, মোহাম্মদ ইমরান হাসান, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মিয়া, মোহাম্মদ কাইয়ুম মন্ডল, মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, ফাতেমা আক্তার সুইটি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, গোলাম সারোয়ার বিশ্বাস, তেহেসিন হাসান দিপু, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ আকতার হোসেন, টুটুল সুলতানা, দিপু আহমেদ।

দলের অনেকেই নিজেকে জাহির করতে অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছে: আশা

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা বলেন, তারা বলেছিলেন নিরাপদ থাকতে হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা জরুরী, নইলে এ দেশ জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত হবে। একদিনে আওয়ামীলীগের ৫ লক্ষ লোককে মেরে ফেলবে বলেও তারা বলেছিলেন। অথচ মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে তিনি ও তার দোসররা পালিয়ে গেছেন।

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বন্দর চুনাভুড়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ইব্রাহিম।

আবুল কাউছার আশা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত দল বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করে তাদেরকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমাদের উপর যে জুলুম, অত্যাচার হয়েছে এতে করে তারা অনেক কিছুই পাওনা হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হয়নি, তাই বলে এই না যে পাওনা পরিশোধ হবে না। এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলেন আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা।

এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবে থাকেন। এখনো অনেক কিছু করেন, কখনো আনসার, কখনো চোর, কখনো রিকসাওয়ালার বেশে চলে আসেন। তবে যতই মুখোশ বদল করে চলেন না কেনো যখন বাংলাদেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা যখন লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসে তখন আর মুখোশধারীদের কোন অবস্থান থাকেনা। যারা অনলাইনে দেখছেন বা শুনছেন তাদের বলবো কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে মাফ চান, মানুষের কাছে মাফ চান।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। তারা শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কত মানুষ নিহত হয়েছে কিন্তু ক্ষমা চায় নি। তারা অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে গেছে। তাদের ভিতর কোন পরিবর্তন নেই, অনুশোচনা বোধও নেই। তারা হচ্ছে এক কথায় অহংকারী, আর অহংকারী সরাসরি আল্লাহর দুশমন। তাই তাদেরকে সাথে নেযার কোন কারন নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ভুল করছে, নিজেকে জাহির করার জন্য দল ভারি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছি।

এটা থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। দল করলে কোন ব্যাক্তির না শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লোক হতে হবে। মৃত্যুর ভয় আমার নেতৃরও ছিলো, বার বার তার উপর হামলা করা হয়েছে কিন্তু তার ভিতর সৎ সাহস ছিলো তাই তৃনমূলের কথা ভেবে তিনি কোথাও যান নি। তাই আমাদের কর্ম যাতে তাদের মত না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রিজিকে মালিক আল্লাহ, যেটা বরাদ্ধ আছে সেটা আসবেই। সেটা হালাল ভাবে নিবো নাকি হারাম ভাবে সেটার দায়িত্ব আমার। যারা হারামের পথে ছিলো তারা মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আপনার আমার অবস্থা যেন পালিয়ে যাওয়া দলের মত না হয়।

বক্তব্য শেষে আবুল কাউছার আশার সাথে তাল মিলিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জিসাদ এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন, ১৪নং ওয়ার্ডের মোঃ সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামীলীগ অপরাধ করেছে বলেই জনরোষের ভয়ে তারা পালিয়েছে: মামুন

ডেস্ক রিপোর্ট

সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, যারা পালিয়েছে, তাদেরকে কিন্তু আপনারা পালাতে বলেন নাই। তারা অপরাধ করেছে বলেই ভয়ে পালিয়ে গেছে, জনরোষের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা পালাতে পারেননি, এখনো এলাকায় আছেন, আপনারা শান্তিতে বসবাস করেন। কোন উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়াবেন না। আপনারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করবেন না। বিএনপিতে আপনাদের অনুপ্রবেশের কোন প্রয়োজন নাই। বিএনপি এমনিই মাটি ও মানুষের দল। বিএনপির জনসমর্থন সাধারণ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আপনাদের মত চিহ্নিত অপরাধীদের আমাদের দলে অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ আমরা দেবো না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কদমতলী এম.ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা এবং শীতবস্ত্র উপহার বিতরণে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অতীতে সমাজ এবং বিচার ব্যবস্থায় জুলুম-অত্যাচার চলতো। ভুমিদস্যুতা চলতো। মাদক ব্যবসা চলতো। মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। এই এলাকাকে সন্ত্রাসের জনপদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাদক ও অস্ত্রের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছিল। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সারাক্ষণ সতর্ক পাহাড়া দিচ্ছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা অশান্তি চাইনা, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টিকারী কোন দল নয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অকিল উদ্দীন ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, নাসিক ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

‘শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান পালিয়েছে, জনগণ সন্ত্রাসী চায় না’

সান নারায়ণগঞ্জ

স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সারাদেশে লুটপাট চালিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তোপের মুখে শামীম ওসমান বোরখা পরে পালিয়ে গেছে, তার ভাই সেলিম ওসমান এবং ভাতিজা আজমীর ওসমানও পালিয়েছে। জনগণ আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কাউকে বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসতে দেবে না।”

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় বন্দর রাজবাড়ী বালুর মাঠে বিএনপির উদ্যোগে মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহাম্মেদ, বন্দর থানা বিএনপি অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাসেল।

সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা সরকারের ব্যর্থতা ও লুটপাটের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন এবং জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

সোনারগাঁও বারদী ইউনিয়নে তারেক রহমানের ৩১ দফা প্রচারে আলোচনা সভা

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১দফা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বারদি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শীর্ষ নেতারা তারেক রহমানের ৩১ দফা জনগণ ও নেতাকর্মীদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরেন। ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বারদী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া হাই স্কুল মাঠে এই আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান মুন্সি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলী আজগর।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মেম্বার, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছাত্তার মেম্বার, করিম মেম্বার, বারদী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক মোঃ সেলিম হোসেন দিপু।

আরো উপস্থিত ছিলেন বারদী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, নাছির মেম্বার, ইমামুদ্দিন, দাইয়ান, রাজ্জাক মেম্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কমিটির সদস্য মোঃ জামাল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল খায়ের, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বিল্লাল মুন্সি, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামাল, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হালিম, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুল, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি পনির মুন্সি, দাইয়ান, হারুন, আমিনুল, বারদী ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক আব্দুল আলী, যুগ্ম আহবায়ক কামাল, মারুফ বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন, বারদী ইউনিয়ন কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, বারদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আইয়ুব, মোকুল, তোফাজ্জল, মামুন, হেলন, ফজুল, মোতালেব সহ কয়েক শত নেতা কর্মী।

জেলা বিএনপির কমিটি আনতে পাঁচ মোড়লের টানাটানি!

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটির নিয়ন্ত্রণ পেতে ৫ মোড়লের চলছে টানাটানি। নিজেরা নেতৃত্বে বসতে না চাইলেও তাদের অনুগামীদের নেতৃত্বে বসানোর লড়াইয়ে নেমেছেন তারা। গত ২৪ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় বিএনপি। তারপর থেকেই চলছে কারা আসছে জেলা বিএনপির নেতৃত্বে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা ও গুঞ্জন।

নেতাকর্মীরা বলছেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির রাজনীতিকে পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করেন এমন ৫জন শীর্ষ নেতা রয়েছেন, যাদেরকে নেতাকর্মীরা মোড়ল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এদের মাঝে আবার জেরা বিএনপির রাজনীতিতে দুটি সিন্ডিকেট রয়েছে। সিন্ডিকেট ভিত্তিক রাজনীতিতে দুইদিকের দুই শীর্ষ নেতা নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এদের মধ্যে একজন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, অপর সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান দিপু ভুঁইয়া।

বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম আজাদের নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটে আছেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি মুহাম্মদ শাহআলম, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহামুদ, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক।

অন্যদিকে দিপু ভুঁইয়ার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেটে আছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদু রহমান সুমন, সাবেক এমপি এম আতাউর রহমান খান আঙ্গুর, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দীন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি।

২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর গিয়াসউদ্দীন ও খোকনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর আজাদ সিন্ডিকেটের নেতারা ব্যাকফুটে ছিলেন। কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে তদন্ত কমিটির সুপারিশে জেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণার পর ফ্রন্টফুটে চলে আসছেন আজাদ অনুগামীরা। যদিও এদের মধ্যে আজহারুল ইসলাম মান্নানের সঙ্গে দুই সিন্ডিকেটের সকলের সঙ্গেই সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

এদিকে খবর বেরিয়েছে যে, জেলা বিএনপির কমিটির জন্য নজরুল ইসলাম আজাদ অনেক আগেই মামুন মাহামুদ ও মাসুকুল ইসলাম রাজীবের নেতৃত্বে কমিটির খসড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে জমা দিয়েছেন। যদি সিনিয়র জুনিয়র মিলিয়ে কমিটি হয় তাহলে পরের নামে চলে আসছে কাজী মনির অর্থবা মান্নান। এক্ষেত্রে আজাদ ‍অনুগামীদের সমস্যা হবে না। কিন্তু বিপাকে পড়েছেন দিপু ভুঁইয়া সিন্ডিকেট। দিপু ভুঁইয়া চাচ্ছেন গোলাম ফারুক খোকনকে আহ্বায়ক ও শহিদুল ইসলাম টিটুকে সদস্য সচিব পদে রেখে জেলা বিএনপির কমিটি আনতে। কিন্তু বিতর্কের কারনে খোকনের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। যদিও শেষতক খোকনকে টিকাতে না পারলে টিটুকে কমিটিতে আনার জোর লবিং করছেন দিপু ভুঁইয়া ও সুমন।

আরো জানাগেছে, দিপু ভুঁইয়া ও সুমন সিন্ডিকেটের সঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সখ্যতা রয়েছে। তিনি এই সিন্ডিকেটকে নানাভাবে সহযোগীতা করে আসছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, রিজভী মাহমুদুর রহমান সুমনের উকিল শ্বশুর। অন্যদিকে আজাদ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সখ্যতা আছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। কাজী মনির ও মির্জা ফখরুলের সম্পর্কে বন্ধুত্ব আছে। এই সিন্ডিকেটকে মির্জা ফখরুল নানাভাবে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।

যদিও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের বিষয়টি পুরোপুরি তারেক রহমানের ‍উপর নির্ভর করছে। অনেকেই জানিয়েছেন তারেক রহমান জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের জন্য সার্চ কমিটি গঠন করেছেন। সেই সার্চ কমিটি গোপনে কাজ করছেন। সার্চ কমিটি খসড়া কমিটি তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করে পাঠাবে। পরবর্তীতে তারেক রহমানের ব্যক্তিগত গোয়েন্দার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করবেন। কারো প্রেসক্রিপশনে একক কর্তৃত্ব বজায় রাখতে কারো মুঠোবন্ধি কমিটি দিবেনা বিএনপি।

 

স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনিত প্যানেলের নির্বাচনী প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট

‘হোসিয়ারি শিল্পের নতুন দিনের পরিবর্তনের সূচনা চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) নিবার্চনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেল এর সাধারণ গ্রুপের পরিচালক ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা নারায়ণগঞ্জের নয়ামাটি এলাকায় ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে দোয়া ও ভোট চাইলেন তাদের নির্বাচনি প্রচারনায়।

৮ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার (৯ই জানুয়ারি) সকালে উপরোক্ত প্যানেলের প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে হোসিয়ারী মালিক দের কাছে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

এসময় নির্বাচনি প্রচারনায় অংশগ্রহণ করেন সাধারণ গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মোঃ আওলাদ হোসেন, দিদার খন্দকার, বাবুল চন্দ্র দাস, মোঃ লুৎফর রহমান ফকির ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী মোঃ মাসুদ রানা, নারায়ণ চন্দ্র্র মজুমদার, মোঃ মোক্তার হোসেন, মোঃ মাসুম মোল্লা, মোঃ ফারুক হোসেন, ইবনে মোঃ আলো কাওসার। এ সময় হোসিয়ারী শ্লিপের মালিকরা তাদের লিফলেট সাদরে গ্রহণ করে প্রার্থীদের সাথে কুশলবিনিয়ম করেন।

হোসিয়ারী নির্বাচন: স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনিত প্যানেলের প্রচারণা

ডেস্ক রিপোর্ট:

‌’হোসিয়ারী শিল্পের নতুন দিনের পরিবর্তনের সূচনা চাই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশনের (২০২৫-২০২৭) নিবার্চনে স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরাম মনোনীত প্যানেল এর সাধারণ গ্রুপের পরিচালক ও এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থীরা নয়ামাটি এলাকায় ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ করে দোয়া ও ভোট চাইলেন তাদের নির্বাচনী প্রচারনায়।

৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে উপরোক্ত প্যানেলের প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি তুলে ধরে হোসিয়ারী মালিক দের কাছে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক পদপ্রার্থী ও রিয়া হোসিয়ারীর স্বত্বাধিকারী হাজ্বী মোঃ মোক্তার হোসেন প্রচারনা শেষে গণমাধ্যমকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবত হোসিয়ারী শিল্পের সাথে যুক্ত থেকে ব্যবসা পরিচালনা করছি। এবারই প্রথম এ নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি স্বতন্ত্র হোসিয়ারী মালিক ঐক্য ফোরামের প্যানেলে।

মোক্তার হোসেন আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদেরকে সহোযগিতা করা। প্রচারনা চালাতে গিয়ে হোসিয়ারী মালিকদের ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি আশাবাদী নির্বাচনে মালিকরা একটা পরিবর্তনের জন্য তাদের পছন্দের প্যানেলকে নির্বাচিত করবে।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন- সাধারণ গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী দিদার খন্দকার, নাজমুল হক, এসোসিয়েট গ্রুপের পরিচালক প্রার্থী মাসুদ রানা সহ অন্যান্যরা।

সর্বশেষ সংবাদ