আড়াইহাজারে এ টু জেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে এ টু জেড হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে জানাযায় শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার উচিৎপুরা ইউনিয়নের ছোট বালাপুর গ্ৰামের নরুজ্জামানের মেয়ে রুজিনাকে পেটে বাচ্চা সুস্থ অবস্থায় ভর্তি করে। তখন ডিউটিরত ডাঃ সাইফুল ইসলাম রুজিনার গর্ভাবস্থার পরীক্ষা নিরীক্ষার কাগজপত্র দেখে এবং তাকে চেকআপ করে রুজিনা সম্পুর্ন সুস্থ আছে এবং রাত ৪ ঘটিকায় নরমাল বাচ্চা প্রসব হবে বলে জানান।

রাত আড়াইটার দিকে ৪/৫ জন অনভিজ্ঞ নার্স দ্বারা রুজিনার নরমাল বাচ্চা প্রসবের চেষ্টা করেন। একজন নার্স রাত ৩ টার দিকে জানায় রজিনা পুত্র সন্তান হয়েছে বলে মৃত বাচ্চা পরিবারের হাতে এনে দেয়। তখন পরিবারের লোকজন দেখতে পান বাচ্চার বুকে অতিরিক্ত চাপাচাপির কারণে নিলা ফুলা জখমপ্রাপ্ত এবং অন্ডকোষ মাত্রারিক্ত ফোলা, বাচ্চা নাড়াচাড়া এবং কান্না না করায় ম্যানেজার জহিরুল তড়িঘড়ি করে দায়সারা হওয়ার জন্য নবজাতককে মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন নবজাতক শিশু অনেক আগেই মারা গেছে।

তখন পরিবারের লোকজন বাচ্চাটিকে মাতুয়াইল থেকে এনে এটু জেড হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উল্টো মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে জানান। এ বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম ভালো হবে না বলে ম্যানেজার জহিরুল হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে রুজিনার ভাই আসলাম শনিবার সকালে বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে থানার ওসি এনায়েত হোসেন জানান ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করছে: মাসুদুজ্জামান

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে। ফুটপাত, যানজট নিরসনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা কাজ করবো। অতীতের ন্যায় কিছুই করতে দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ।

১১ জানুয়ারী শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ‘আমার নারায়ণগঞ্জ’ এর আয়োজনে ‘আমরা কেমন নারায়ণগঞ্জ চাই?’ এই প্রসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে। কারন ডিসি-এসপি নারায়ণগঞ্জের জনসাধারণের জন্য কোন কাজ করেনি। এসপির কাছ থেকে কোন প্রকার উপকার পাচ্ছে না জনগণ।তিনি শুধু ওসি-এসআইদের বদলি বানিজ্য নিয়ে কাজ করেন। অথচ তার অফিসের এক কিলোমিটারের মধ্যে মাদকের হাট, প্রশাসনের সকলে শুধু মুখে মুখে বলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে ঠনঠনে।

বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, আমাদের নারায়গঞ্জের ঐতিহ্য শীতলক্ষ্যা নদী শেষ, নদী দূষণ সম্মিলিত ভাবে রূদ্ধ করতে হবে। সকল বিষয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে সংস্কার চাই, সুশাসন নিশ্চিত করতে চাই, আলোচিত ত্বকী হত্যা সহ সকল হত্যার বিচার চাই।

তিনি আরও বলেন, বিকেএমইএ’র কমিটি কে ভাঙ্গা হয় নাই কেন আমি বানিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানাব, শেখ হাসিনার দোসর সেলিম ওসমানের নির্দেশে একনো কিভাবে হাতেম সাহেবকে দিয়ে কমিটি পরিচালিত করা হচ্ছে। সকল বিষয়ে আমাদের অধিকার আদায় করবো। এনবিআরের সাথে আমরা কথা বলবো, ইনসেপ্টি নিয়ে কথা বলবো। কারন গার্মেন্টস বাঁচলে মালিক, শ্রমিক- কর্মচারী সকলে বাঁচবো, আর সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা কলমটাকে সত্যের পথে পরিচালিত করবেন। কারন আপনাদের লেখায় অনেক কিছু হয়।

মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদ এর সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমেদ, নাগরিক কমিটির সভাপতি এ.বি. সিদ্দিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এডভোকেট মাহবুবুর রহমান মাসুম, আমরা নারায়ণগঞ্জবাসি সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হাজী নূর উদ্দিন আহমেদ, মহানগর বিএনপি আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগর আমীর মাওলানা মোঃ আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, নারায়ণগঞ্জ কলেজ এর অধ্যক্ষ ড. রুমন রেজা, নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা আবু জাফর বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগর এর সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, শ্রমিক নেতা এডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভবানী শংকর রায়, পরিবেশ আন্দোলন জেলা সভাপতি মোস্তফা করিম প্রমুখ।

’এনায়েতনগরে বিএনপির নাম ব্যবহার করে দখলবাজি, চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করছে’

সান নারায়ণগঞ্জ

বিএনপির নাম ভেঙে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করলে তাকে কোনোভাবে ছাড় দেয়া হবেনা বলে কঠোর হুশিয়ারী দিয়েছে ফতুল্লা থানা বিএনপির সহসভাপতি ও এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ।

তিনি বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনার পতনের পর ফতুল্লার এনায়েতনগর ইউনিয়নে বিএনপির নাম ব্যবহার করে অনেকে লুটপাট, দখলবাজি, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে বেড়াচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারী দেয়া সত্বেও দলের লোকজন কোন ধরনের কর্ণপাত করছে না। তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য করে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে কোন ধরনের সমস্যায় পড়ে থাকে দলীয় ভাবে তার দায়ভার নিবে না। এমনকি তারেক রহমানের হুকুম পালন করতে না পারলে তার বিএনপি রাজনীতি করার অধিকার নাই।

১১ জানুয়ারী শনিবার বিকালে এক বার্তায় বিএনপি নেতা শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ এমন হুশিয়ারী দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর সৈরাচার হাসিনা সরকারের আমলে হামলা মামলার শিকার হতে হয়েছে। ঠিকমত স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমাতে পারি নাই। পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াতে হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর সৈরাচার হাসিনার পতনের হওয়ার সুবাধে শান্তিতে চলা ফেরা করতে পারছি এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাসায় ঘুমাতে পারছি। তাই বলে দলের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করতে হবে নাকি। বিএনপি এখনো ক্ষমতায় আসে নাই। তার পরও এনায়েতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অনেকে বিএনপির নাম ভেঙে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি জবরদখল করছে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই এখনো সময় আছে তারেক রহমানের নির্দেশ মেনে রাজনীতি করেন। নতুবা পরিনাম ভাল হবে না।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি একটি শান্তিপ্রিয় দল। এই শান্তিপ্রিয় দলকে কেউ অশান্তিতে পরিনত করার চেষ্টা করবে না। তারেক রহমান অশান্তিকারীদের ছাড় দিবে না। আওয়ামী লীগের মত হওয়ার কেউ চেষ্টা করবে না।

শাহাদাত হোসেন শাহাদুল্লাহ আরো বলেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন অনেকে জাকির খানের লোক পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু সংবাদ আমাদের কানে আসছে। আমি তাদেরকেও সাবধান করে বলতে চাই, জাকির খান সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কোন প্রকার আশ্রয় প্রশ্রয় দিবে না। কেউ যদি মনে করে থাকেন জাকির খানের নাম ভেঙে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করবেন তাহলে ভুল করবেন। কোন সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজের স্থান জাকির খানের কাছে নাই। তাই ভুল করেও জাকির খানের নাম ভেঙে কেউ সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করার চেষ্টা না করার আহবান করা হলো।

‘বিএমটিএ’ নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন সম্পন্ন

সান নারায়ণগঞ্জ

বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট এসোসিয়েশন (বিএমটিএ) নারায়ণগঞ্জ জেলা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়। ১১ জানুয়ারী শনিবার বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তারুজ্জামান (উজ্জ্বল) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, প্রধান উপদেষ্টা, ড্যাব ও এম-ট্যাব, নির্বাহী পরিচালক জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন অধ্যাপক ডাঃ ফরহাদ হালিম ডোনার।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খাজা মঈনউদ্দিন মঞ্জু। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মোঃ বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব।

বিএমটিএ কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ হাফিজুর রহমান এবং মেডিকেল টেকনোলজিস্ট রেডিওলজি এন্ড ইমার্জেন্সি মোঃ মেহেদী হাসান এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, আহবায়ক, (ড্যাব) নারায়ণগঞ্জ জেলা ও প্রধান উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ভাইস প্রিন্সিপাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও সদস্য সচিব ড্যাব নারায়ণগঞ্জ জেলা অধ্যাপক ডাঃ মোঃ ফারুক আহমেদ, চিকিৎসা তত্বাবধায়ক, ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ও উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ডাঃ মোঃ আবুল বাশার, সিভিল সার্জন নারায়ণগঞ্জ ও উপদেষ্টা বিএমটিএ নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা ডাঃ আবুল ফজল মুহম্মদ মশিউর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, এম ট্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এ কে এম মুসা লিটন।

 

সোনারগাঁও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় কম্বল বিতরণে মান্নান ও মোশারফ

সান নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:

‘জিয়ার আদর্শে দেশ গড়ি, মানব কল্যাণে কাজ করি’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে লাহাপাড়া যুব সমাজ এবং সোনারগাঁও পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র উদ্যোগে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও একই দিন সোনারগাঁও পৌরসভার ১, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

সোনারগাঁও পৌর বিএনপির সভাপতি শাহজাহান মেম্বারের সভাপতিত্বে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন।

এ ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে হিসেবে উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম টিটু, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম -সম্পাদক ও সনমান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সংগ্রামী সভাপতি মোহাম্মদ শাফির উদ্দিন মজনু, বৈদ্যের বাজার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তাইজুল ইসলাম সরকার সহ অন্যান্যদের মাঝে আরো উপস্তিত ছিলেন সোনারগাঁও পৌরসভা বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শহরজুড়ে মিছিল ও সমাবেশের মধ্য দিয়ে সংগ্রামের চার দশক পূর্তি উদযাপন করা হয়। ১১ জানুয়ারী এই কর্মসূচি শহীদদের আত্মত্যাগকে স্মরণ ও উৎসর্গ করার মাধ্যমে শুরু হয়। ফেডারেশনের নেতারা তাদের বক্তব্যে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় ঐতিহ্য তুলে ধরেন এবং বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।

জেলা সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, “১৯৮৫ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের উত্তাল সময়ে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আমরা প্রতিটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছি। গোলাম আজমের বিচারের দাবিতে ঐতিহাসিক ৯২’র আন্দোলন, ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন, ফুলবাড়ি কয়লা খনি আন্দোলন, রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবি, এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ প্রতিটি গণসংগ্রামে আমরা ছিলাম সোচ্চার।”

তিনি আরও বলেন, “নারায়ণগঞ্জে ২০০৯ সাল থেকে তোলারাম কলেজ ও মহিলা কলেজে ভর্তি বাণিজ্য বিরোধী আন্দোলন, ত্বকী হত্যার প্রতিবাদ, এবং মাফিয়াতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ছাত্র ফেডারেশনই নেতৃত্ব দিয়েছে। ওসমান পরিবারের দখলদারিত্ব চিহ্নিত করার মাধ্যমে আমরা নারায়ণগঞ্জে পরিবর্তনের বীজ বপন করেছি। আমরা বিশ্বাস করি, সংগ্রামের এই ঐতিহ্য ধরে রেখে আগামীতে সব ধরনের দুর্নীতি, হিংসা, লোভ ও স্বজনপ্রীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব।”

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি সৌরভ সেন, সাধারণ সম্পাদক সৃজয় সাহা, সহ-সাধারণ সম্পাদক ইউশা ইসলাম ও তাইরান আবাবিল রোজা, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌমিতা নূর, অর্থ সম্পাদক শাহীন মৃধা, রাজনৈতিক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুক্ত শেখ, প্রচার সম্পাদক রাতুল দেওয়ান, দপ্তর সম্পাদক অপূর্ব রায়, কার্যকরী সদস্য জান্নাতুল ফেরদৌস নিসা, এবং তোলারাম কলেজের সংগঠক রাইসা ইসলাম ও মুন্নী আক্তার প্রত্যাশাসহ আরও অনেকে।

কর্মসূচি শেষে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন আগামী দিনের সংগ্রাম ও অগ্রযাত্রায় নিজেদের আরও সুসংগঠিত ও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে। নেতৃবৃন্দ ঘোষণা করেন, “আমাদের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের আত্মত্যাগ ও আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে আমরা নতুন দিনের রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাব।”

এই উদযাপন শুধু অতীতের সংগ্রামের ইতিহাস নয়, ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তি সঞ্চয়ের একটি বার্তা।

নারায়ণগঞ্জ আদালতের সকল সরকারি আইন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ

সান নারায়ণগঞ্জ

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়োগপ্রাপ্ত সরকারি ৯১ জন আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সকল আইন কর্মকর্তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।

১১ জানুয়ারী শনিবার দিনব্যাপী নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির তৃতীয় তলায় সকল সরকারি আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত হয়।

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকিরের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হাছানুল ইসলাম, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ডেপুটি এ্যাটর্ণী জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান ও আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান।

কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভাকেট খোরশেদ আলম মোল্লা ও জিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ সহ সকল অতিরিক্ত পিপি, সহকারী পিপি, অতিরিক্ত জিপি, সহকারী জিপি।

এখানে উল্লেখ্যযে, গত ৫ আগস্টের পর সারাদেশের সবগুলো জেলা আদালতে সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হলেও কোথাও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের এখন পর্যন্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়নি। নারায়ণগঞ্জেই প্রথম এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছেন সরকারি আইনজীবীরা তাদের নিজ উদ্যোগে।

এখানে আরো উল্লেখ্যযে, এর আগে গত ২৯ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জে জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৯১ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ।

উপ-সলিসিটর (জিপি-পিপি) মো. মাহরুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত নোটিশে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পূর্বে নিয়োগকৃত সকল আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাঁদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব হতে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে নোটিশে উল্লেখিত আইজীবীগণকে তাঁদের পেশাগত দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও সততা সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলার জেলা ও দায়রা জজ ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-এর প্রতিবেদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে সাময়িকভাবে নিয়োগ করা হলো।

নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালততের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, সরকারী কৌঁশুলী (জিপি) পদে অ্যাডভোকেট খন্দকার আবুল কালাম আজাদ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা নিয়োগ পান।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁশুল পদে নিয়াগ পান সুলতানা নাজনীন, বোরহান উদ্দিন সরকার, মোহাম্মদ ওয়াসিম কাজী, মোঃ শাহজাদান দেওয়ান, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর দেওয়ান, মাসুদা আক্তার, জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, নুরুন নাহার মায়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারি সরকারি কৌশলী পদে নিয়োগ পেয়েছেন মোহাম্মদ মানিক মিয়া, এস এম সায়েম রানা, মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন রেজা, মোহাম্মদ শরাফত আলী মিয়া, মোহাম্মদ বাছেদ মিয়া, রফিকুল ইসলাম আনু, ফাতিমা খাতুন, মোঃ আকলাস ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আয়াতুল বোরহান, মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন মিয়া।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান মোল্লা, খন্দকার আজিজুল হক হান্টু, ফাতেমা মাসুদ, সৈয়দ মশিউর রহমান শাহীন, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, সীমা সিদ্দিকী, মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন টুটুল, সুমন মিয়া, এস এম মাহমুদুল হক আলমগীর, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আনোয়ারুল আলম রিপন, আজিজ আল মামুন, হামিদা খাতুন লিজা, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মাসুম, ইসরাফিল, মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম টিটু, মাসুদা বেগম শম্পা, মোহাম্মদ ইকবাল মানিক, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক মল্লিক।

যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন আসমা হলেন বিথী, আমেনা আক্তার শিল্পী, মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বাবলু, মোহাম্মদ সাজেকুল ইসলাম মোল্লা, মোহাম্মদ জামান হোসেন, মোহাম্মদ নয়ন ঢালী, জিয়াউল আহমেদ ভূইয়া জিয়া, মোহাম্মদ সারোয়ার জাহান, নুরুল কাদের সোহাগ, হাফিজুর রহমান মাসুদ, মোহাম্মদ গোলাম হোসেন, শামীমা নাজনীন, আল আমিন সাউদ, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন সরকার, তমিজ উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ গোলাম সারওয়ার, আক্তার হোসেন, মাসুদুর রহমান, আদনান মোল্লা, ফারহানা ফাল্গুনী, মোহাম্মদ আল-আমিন।

চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান কাজী রাশিদা আক্তার শাহীন, মোহাম্মদ নুরুল আমিন মাসুম, এসএম তারিকুল ইসলাম বুলবুল, জুবের আলম জীবন, মোঃ শাহ আলম শামীম, মোহাম্মদ ফজলুর রহমান ফাহিম, মোঃ আহসান হাবীব ভূইয়া গোলাপ, মোহাম্মদ ইসমাইল ভূইয়া, মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া, মোঃ হুমায়ুন কোভিদ হৃদয়, মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী আজ্জম, মোহাম্মদ ইমরান হাসান, মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মিয়া, মোহাম্মদ কাইয়ুম মন্ডল, মোহাম্মদ ফারুক মিয়া, ফাতেমা আক্তার সুইটি, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, গোলাম সারোয়ার বিশ্বাস, তেহেসিন হাসান দিপু, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ আকতার হোসেন, টুটুল সুলতানা, দিপু আহমেদ।

দলের অনেকেই নিজেকে জাহির করতে অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছে: আশা

ডেস্ক রিপোর্ট

নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা বলেন, তারা বলেছিলেন নিরাপদ থাকতে হলে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা জরুরী, নইলে এ দেশ জঙ্গীবাদের রাষ্ট্রে পরিণত হবে। একদিনে আওয়ামীলীগের ৫ লক্ষ লোককে মেরে ফেলবে বলেও তারা বলেছিলেন। অথচ মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে তিনি ও তার দোসররা পালিয়ে গেছেন।

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে বন্দর চুনাভুড়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন ইব্রাহিম।

আবুল কাউছার আশা আরও বলেন, বাংলাদেশের সবচাইতে নির্যাতিত দল বিএনপির নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ধৈর্য্য ধারন করে তাদেরকে ভুল প্রমাণ করেছে। আমাদের উপর যে জুলুম, অত্যাচার হয়েছে এতে করে তারা অনেক কিছুই পাওনা হয়েছে। পাওনা পরিশোধ হয়নি, তাই বলে এই না যে পাওনা পরিশোধ হবে না। এখনো ইনিয়ে বিনিয়ে অনেক কথা বলেন আওয়ামী লীগের ভাইয়েরা।

এলাকায় থাকতে দেওয়া হয়েছে ভালোভাবে থাকেন। এখনো অনেক কিছু করেন, কখনো আনসার, কখনো চোর, কখনো রিকসাওয়ালার বেশে চলে আসেন। তবে যতই মুখোশ বদল করে চলেন না কেনো যখন বাংলাদেশের মানুষ, ছাত্র-জনতা যখন লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে আসে তখন আর মুখোশধারীদের কোন অবস্থান থাকেনা। যারা অনলাইনে দেখছেন বা শুনছেন তাদের বলবো কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর দরবারে মাফ চান, মানুষের কাছে মাফ চান।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ তার রাজনীতি করার অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। তারা শাপলা চত্বরে আলেমদের হত্যা করেছে, ডান্ডাবেড়ি পরিয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কত মানুষ নিহত হয়েছে কিন্তু ক্ষমা চায় নি। তারা অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়ে গেছে। তাদের ভিতর কোন পরিবর্তন নেই, অনুশোচনা বোধও নেই। তারা হচ্ছে এক কথায় অহংকারী, আর অহংকারী সরাসরি আল্লাহর দুশমন। তাই তাদেরকে সাথে নেযার কোন কারন নেই। আমাদের মধ্যে অনেকে ভুল করছে, নিজেকে জাহির করার জন্য দল ভারি করার জন্য অনুপ্রবেশকারীদের সুযোগ দিচ্ছি।

এটা থেকে আমাদেরকে সরে আসতে হবে। দল করলে কোন ব্যাক্তির না শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লোক হতে হবে। মৃত্যুর ভয় আমার নেতৃরও ছিলো, বার বার তার উপর হামলা করা হয়েছে কিন্তু তার ভিতর সৎ সাহস ছিলো তাই তৃনমূলের কথা ভেবে তিনি কোথাও যান নি। তাই আমাদের কর্ম যাতে তাদের মত না হয় সেজন্য সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। রিজিকে মালিক আল্লাহ, যেটা বরাদ্ধ আছে সেটা আসবেই। সেটা হালাল ভাবে নিবো নাকি হারাম ভাবে সেটার দায়িত্ব আমার। যারা হারামের পথে ছিলো তারা মাত্র ৪৫ মিনিটের আল্টিমেটামে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। আপনার আমার অবস্থা যেন পালিয়ে যাওয়া দলের মত না হয়।

বক্তব্য শেষে আবুল কাউছার আশার সাথে তাল মিলিয়ে স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা প্রকম্পিত করে তোলে নেতাকর্মীরা।

এসময় উপস্থিত সকলের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়।

নবীগঞ্জ কদম রসুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি জিসাদ এর সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোঃ আওলাদ হোসেন, ১৪নং ওয়ার্ডের মোঃ সোহেল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি হুমায়ুন মুন্না, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন, বন্দর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জুয়েল, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু আহমেদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আওয়ামীলীগ অপরাধ করেছে বলেই জনরোষের ভয়ে তারা পালিয়েছে: মামুন

ডেস্ক রিপোর্ট

সাধারণ জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, যারা পালিয়েছে, তাদেরকে কিন্তু আপনারা পালাতে বলেন নাই। তারা অপরাধ করেছে বলেই ভয়ে পালিয়ে গেছে, জনরোষের ভয়ে পালিয়ে গেছে।

আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা পালাতে পারেননি, এখনো এলাকায় আছেন, আপনারা শান্তিতে বসবাস করেন। কোন উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়াবেন না। আপনারা বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করবেন না। বিএনপিতে আপনাদের অনুপ্রবেশের কোন প্রয়োজন নাই। বিএনপি এমনিই মাটি ও মানুষের দল। বিএনপির জনসমর্থন সাধারণ মানুষের মধ্যেই রয়েছে। আপনাদের মত চিহ্নিত অপরাধীদের আমাদের দলে অনুপ্রবেশের কোন সুযোগ আমরা দেবো না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে কদমতলী এম.ডব্লিউ উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা এবং শীতবস্ত্র উপহার বিতরণে এসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, অতীতে সমাজ এবং বিচার ব্যবস্থায় জুলুম-অত্যাচার চলতো। ভুমিদস্যুতা চলতো। মাদক ব্যবসা চলতো। মানুষ সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে পারতো না। এই এলাকাকে সন্ত্রাসের জনপদ সৃষ্টি করা হয়েছিল, মাদক ও অস্ত্রের সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হয়েছিল। আমরা শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছি। আমাদের নেতা-কর্মীরা সারাক্ষণ সতর্ক পাহাড়া দিচ্ছে। আমাদের নেতৃবৃন্দ জনগণের পাশে রয়েছে। আমরা অশান্তি চাইনা, বিএনপি অশান্তি সৃষ্টিকারী কোন দল নয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক অকিল উদ্দীন ভুঁইয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মোশাররফ হোসেন ভুইয়া, নাসিক ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল রানা সহ অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

‘শামীম ওসমান, আজমেরী ওসমান, অয়ন ওসমান পালিয়েছে, জনগণ সন্ত্রাসী চায় না’

সান নারায়ণগঞ্জ

স্থানীয় জনগণ ও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, “২০০৮ সালে শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ১০ টাকা কেজি দরে চাল ও ঘরে ঘরে চাকরি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। আওয়ামী লীগ সারাদেশে লুটপাট চালিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। ১৫ বছর দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার তোপের মুখে শামীম ওসমান বোরখা পরে পালিয়ে গেছে, তার ভাই সেলিম ওসমান এবং ভাতিজা আজমীর ওসমানও পালিয়েছে। জনগণ আর কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দেখতে চায় না এবং কাউকে বিনা ভোটে ক্ষমতায় বসতে দেবে না।”

১০ জানুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৪টায় বন্দর রাজবাড়ী বালুর মাঠে বিএনপির উদ্যোগে মহানগরীর ২২নং ওয়ার্ডে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

বন্দর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহাম্মেদ, বন্দর থানা বিএনপি অ্যাডভোকেট রকিবুল হাসান শিমুল, বন্দর থানা যুবদলের সভাপতি আমির হোসেন, ২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি রাসেল।

সভায় বিএনপির অন্যান্য নেতারা সরকারের ব্যর্থতা ও লুটপাটের বিষয়ে কঠোর সমালোচনা করেন এবং জনগণকে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানান।

সর্বশেষ সংবাদ